Tag Archives: Beaten to death

R G Kar murder:বন্ধ অস্ত্রোপচার, থমকে আউডোর! আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে চিকিৎসকরা

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারি পড়ুয়াকে নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। সেই আঁচ এবার শহরের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে। কোথাও বন্ধ হল চিকিৎসা পরিষেবা, কোথাও অপারেশন। শাস্তির দাবি ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবি তুলে আরজি কর হাসপাতালে সরব নার্সিং পড়ুয়ারা। আরজি কর থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করে বিচার চাইলেন তাঁরা।

অন্যদিকে, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। নবীন চিকিৎসকরা রোগী দেখা বন্ধ করেজরুরি বিভাগের সামনে জমায়েত হয়েছেন। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে সমস্ত অপারেশন বন্ধ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও।

শুধু শহর কলকাতায় নয়, জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।  বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে বাঁকুড়া সম্মেলনী সর্বত্র দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদের আঁচ।

ডাক্তারি ছাত্রীকে হাসপাতালের বিশ্রামকক্ষে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ পরিবারের। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয় রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে সেই ব্যক্তিই খুন করেছে কিনা তা এখনও প্রমাণিত নয়। তদন্তের খাতিরে আরও অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ধৃত সঞ্জয় রায় হাসপাতালের কেউ নয়৷ যদিও বহিরাগত ওই ব্যক্তির হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ছিল৷ গতকাল রাতে তাকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ৷ এর পর জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত৷ তার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ আজই অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হবে৷

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, একটি হেডফোনের তারের সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ যদিও এই তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

গতকাল সকালে আরজি কর হাসপাতালের চার তলায় সেমিনার রুম থেকে ওই তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়৷ উত্তর চব্বিশ পরগণাপ সোদপুরের বাসিন্দা ওই ডাক্তারি পড়ুয়া আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের পোস্ট গ্রাজুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ওই চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে৷ এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ রাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে নৃশংস ভাবে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়৷

খোসা ছাড়াতে গেলেই ভেঙে যায় ডিম? ‘এইগুলো’ করুন, নরম ডিমও গোটা হাতে পাবেন

Beaten to Death: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন! কলকাতার পর এবার তারকেশ্বরে

হুগলি: কলকাতার হোস্টেলের পর এবার হুগলির তারকেশ্বর, আবারও চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। কলকাতায় পড়ুয়াদের হোস্টেলের সামনে ঘোরাঘুরি করা ব্যক্তিকে টেনে ভেতরে ঢুকিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তারকেশ্বরে চোর সন্দেহে বিশ্বজিৎ মান্না নামে ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।

তারকেশ্বর থানার নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাবাঁধ এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে নিজের বাড়িতে শুয়ে ছিলেন বছর ২৩-এর যুবক বিশ্বজিৎ। সে পেশায় গাড়িচালক। বিকাশ সামন্ত ও তাঁর ছেলে দেবকান্ত সামন্ত এই দু’জন বিশ্বজিৎকে বাড়িতে ডাকতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চুরির অভিযোগে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিকাশ ও দেবকান্ত, বাবা-ছেলে মিলে কলের পাইপ ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

আর‌ও পড়ুন: গভীর রাতে ট্রাক-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ১, আহত ৩

জানা গিয়েছে, সামন্ত বাড়ির লকার থেকে সম্প্রতি ৫০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছিল। সেই ঘটনাতেই সন্দেহ গিয়ে পড়ে বিশ্বজিৎ মান্নার উপর। মারধোরের খবর শুনে ছুটে এসেছিলেন বিশ্বজিতের স্ত্রী ও তার মা। তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিশ্বজিৎ বারংবার কাকুতি মিনতি করে জানায় যে সে কোন‌ওরকম চুরি করেনি। তার পরেও বেধড়ক মারধর করা হয় বিশ্বজিতকে। রবিবার রাত দুটো নাগদ বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পর তারকেশ্বর থানার পুলিশ বিকাশ সামন্ত ও দেবকান্ত সামন্তকে আটক করেছে। মৃত বিশ্বজিতের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁর স্ত্রী কথা বলতে গিয়ে বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন। তাঁর একটাই দাবি, স্বামীকে যারা পিটিয়ে খুন করেছে তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তজুড়ে একের পর এক পিটিয়ে মারার ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসন। মানুষ যেভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাতে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে।

রাহী হালদার

Death: জয়পুর জঙ্গলে ভয়ঙ্কর ঘটনা! বোতলের পাশে পড়ে দুটি দেহ! যা ঘটল, চাঞ্চল্য বাঁকুড়াজুড়ে

জয়পুর, বাঁকুড়া: জঙ্গলে বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে। সোমবার সকালে ওই দম্পতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে জয়পুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বিশাখা দে ও গৌতম দে। বাড়ি ওন্দা থানা এলাকায়।

আরও পড়ুন: SSC-তে চাকরি গেল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের, কিন্তু বেতন ফেরত দিতে হবে কত জনকে? জানুন আসল তথ্য

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়পুরের জঙ্গলে দম্পতির মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল তার পাশেই পড়ে ছিল ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। পাশেই পড়ে ছিল বিষের বোতল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খেয়েই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন।

সোমবার সকালে ওন্দা থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দুটি শনাক্ত করেন দম্পতির ছেলে অপূর্ব দে। অপূর্ব দে-র দাবি, রবিবার সামান্য পারিবারিক অশান্তি হয়। এরপরই বাবা ও মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। অনেক জায়গায় খোঁজ চালিয়েও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। পরে থানার দ্বারস্থ হয়ে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরিও করেন অপূর্ব দে।