Tag Archives: Tarakeshwar

Sawan 2024: ভক্তির শক্তি অপার, শরীরে প্রতিবন্ধকতা কিন্তু মনে তো নেই, হুইল চেয়ারে করে বাবার মাথায় জল ঢাললেন দুই ভক্ত

হাওড়া: হুইল চেয়ার সম্বল করেই ৩৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শৈবতীর্থে প্রীতম, কুশল! শ্রাবণ মাসে সারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে শৈবতীর্থ হাজির হচ্ছে মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম শৈব তীর্থক্ষেত্র তারকেশ্বর। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমগম ঘটে তারকেশ্বরে। এখানের জল ঢালার রীতি হল মন্দির থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বের শ্যাওড়াফুলি। সেখান থেকে গঙ্গার জল নিয়ে ভক্তরা হাজির হয় তারকেশ্বরের শিব মন্দিরে। রীতি মেনে প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল ভেঙে তারকেশ্বরে পৌঁছল দুই বন্ধু।

বিশেষভাবে সক্ষম প্রীতম ও কুশল। হুইল চেয়ার বা ক্যাচার ছাড়া উঠে দাঁড়ানো ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। তবে মনের ইচ্ছা প্রবল। হুইল চেয়ারে ভর করেই প্রীতম পৌঁছে যায় খেলার মাঠে, আবার একই ভাবে সংসারের হাল ধরতে হাতের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রীতম।

আরও পড়ুন – Wildlife near You: জঙ্গল খুব ভাল লাগে, কলকাতা থেকে একটু দূরেই এই জেলাতেই ওয়াইল্ড লাইফের ছড়াছড়ি, যাবেন নাকি

অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনার কুশল পেশায় প্রাইভেট টিউটর। প্রতিদিনের ব্যস্ততার কাটিয়ে আর পাঁচ জনের মত কুশল ও প্রিতমের প্রবল ইচ্ছা জাগ্রত তারকেশ্বরের তারকনাথ এর কাছে পৌঁছে বাবার মাথায় জল ঢালবে। ইচ্ছে মতোই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল প্রায় ১ মাস আগে। অবশেষে সেই ইচ্ছে পূরণ, কষ্ট হলেও ইচ্ছে পূরণ করতে পেরে বেজায় খুশি দু’বন্ধু।

এ প্রসঙ্গে হাওড়ার প্রীতম মেদ্দা জানায়, হুইলচেয়ার ম্যারাথন বা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ খুব সাধারন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার হুইল চেয়ারে পাড়ি দিয়ে তারকেশ্বরের বাবার কাছে পৌঁছানো একটা অন্য অভিজ্ঞতা। কষ্টের মধ্যে দিয়েও রয়েছে আনন্দ। আগামী দিনে এভাবেই বাবার কাছে পৌঁছতে চাই।অন্যদিকে কুশল মন্ডল জানায়, বিশেষভাবে সক্ষম হলেও ইচ্ছা থাকে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মত জীবন কাটানো। সেই ইচ্ছে থেকেই দ্বিতীয়বার তারকেশ্বরে পৌঁছানো। বাবার কাছে প্রার্থনা জীবনের পথ আরও সহজ হোক।

হুইল চেয়ারে নির্ভর মানুষও যাতে ইচ্ছা পূরণ করতে পারে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এগিয়ে আসা। যদিও এই ইচ্ছে পূরণে সাধন মানুষের সহযোগিতা কাম্য।সাধারনের তারকেশ্বর তীর্থে পৌঁছন খুব সাধারন বিষয় হলেও, বিশেষ ভাবে সক্ষম প্রীতম ও কুশলের এই মনবল অনন্য। তীর্থক্ষেত্রে আশা হাজারওমানুষ কুর্নিশ জানিয়েছে দুই বন্ধুর প্রচেষ্টাকে।

Rakesh Maity

তারকেশ্বর যাওয়ার পথে একী দৃশ্য! শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপ, দেখুন ভিডিও

শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বরে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয়। শ্রাবণের প্রতি সোমবার ভিড় হয় সবথেকে বেশি। বাবা তারকনাথের মাথায় আসেন জল ঢালতে আসেন পূণ্যার্থীরা। পায়ে হেঁটে তারা যাত্রা শুরু করেন বৈদ্যবাটি থেকে। তবে সেখান পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য অনেক পুণ্যার্থীরাই নিচ্ছেন জীবনের ঝুঁকি। ভিড় বাসে ছাদের উপর উঠে তারা আসছেন জল ঢালতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতে হতে পারে বড় বিপদ। বড় বিপদ যাতে না ঘটে তার আগেই এবার শক্ত হাতে পদক্ষেপ নিল পুলিশ-প্রশাসন। বাসের মাথায় করে আশা পূর্ণ্যার্থীদের নামিয়ে দেওয়া হল বাস থেকে। এমনই চিত্র ধরা পড়েছে আরামবাগের গোঘাটে।

গোঘাটের ভিকদাস সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন বেসরকারি বাসের ছাদ থেকে নামিয়ে দিল পূণ্যার্থীদের। ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালতে জীবনকে হাতে করে নিয়ে নিত্যদিন যাচ্ছেন। কিন্তু তাদেরকে রক্ষা করতে দেখা গেল প্রশাসনকে। এদিন প্রত্যেকটা বেসরকারি বাস ও ছোট গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় যাত্রীদের পুলিশ কর্মীরা। বিভিন্ন এলাকার ভক্তদেরকে ছাদ থেকে নামাতে গেলে বচসার মধ্যে পড়তে হচ্ছে আধিকারিকদেরকে।

Sawan 2024: তারকেশ্বরে যাওয়ার আগেই উল্টে গেল পুণ্যার্থী বোঝাই পিকআপ ভ্যান! তারপর যা হল…

নদিয়া: শ্রাবণ মাস শিব ভক্তদের কাছে অতি পুণ্যের। বিশেষ করে শ্রাবণ মাসের সোমবারে বিভিন্ন তীর্থস্থানে পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ে। সেই সোমবারই ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে একটু জন্য রেহাই পেলেন একদল পুণ্যার্থী। তারকেশ্বরে যাওয়ার পথে উল্টে গেল পুণ্যার্থী বোঝাই পিকআপ ভ্যান। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন অনেকে।

সূত্রের খবর, রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকার জঙ্গিপুর থেকে ১৫ জনের একটি দল হুগলির তারকেশ্বরে যাচ্ছিলেন সোমবার বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালবেন বলে। কিন্তু মাঝ রাস্তায় ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ওই গাড়িতে থাকা এক ভক্ত জানান, সকালবেলা তাদের মধ্যে কিছু ছেলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, আর কয়েকজন জেগে ছিলেন। হঠাৎই গাড়িটি ডিভাইডারের উপর পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে যায়। এই ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আঘাত পান।

আর‌ও পড়ুন: ভেঙে পড়েছে বাঁশের সেতু, সমস্যায় একাধিক গ্রামের বাসিন্দা

তৎক্ষণাৎ এলাকাবাসী এবং স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাঁদেরকে জঙ্গিপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যে ১০ জন আহত হননি তাঁরা সেখান থেকে তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। এই ঘটনার পর ওই পিকআপ ভ্যানের চালক পালিয়ে গিয়েছেন।

মৈনাক দেবনাথ

pilgrims injured at tarakeshwar: তারকেশ্বরের জল ঢালতে ভয়ানক কাণ্ড! মাথায় ছাদের চাঙর ভেঙে পড়ে আহত ৬ পুন্যার্থী

Bangla News | তারকেশ্বরের জল ঢালতে এসে মাথায় ছাদের চাঙ্গর ভেঙে পড়ে আহত ৬ পুন্যার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থ ঘাট সংলগ্ন একটি অস্থায়ী দোকানে। সেখানে বসে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় তাদের মাথায় ভেঙ্গে পড়ে ছাদের ওই অংশ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই থেকে ন’জনের একটি পুণ্যার্থী দল তারকেশ্বরে শ্রাবনী মেলায় যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন।
রীতি অনুযায়ী তারকেশ্বরে শিবের মাথায় গঙ্গা জল  ঢালতে যাওয়ার আগে বৈদ্যবাটির নিমাইতীর্থ ঘাটে জল তুলতে যান পুণ্যার্থীরা। ক্ষীরপাই থেকে আসা এই দলটিও গিয়েছিলেন নিমাইতীর্থ ঘাটে জল তুলতে। সকালে বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। তাই খিদে পেয়ে যায় তাঁদের।

Sawan 2024: এক পা নিয়েই ১০০ কিলোমিটার! ৩১ লিটার জল বয়ে তারকেশ্বর যাত্রা গোবরডাঙার যুবকের

উত্তর ২৪ পরগনা: ক্যানসারে খোয়া গিয়েছে এক পা। তবু, আত্মবিশ্বাসে কমতি নেই গোবরডাঙার যুবক সৌমিক গোলদারের। মারণরোগ তাঁর শরীরে থাবা বসালেও কেড়ে নিতে পারেনি বেঁচে থাকার স্পৃহা। ঈশ্বরের প্রতি ভক্তিও অটুট রয়েছে সৌমিকের। এক পায়েই তাই গোবরডাঙা থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেন সৌমিক। কাঁধের বাঁকে ৩১ লিটার জল। সেই ওজন বয়ে দু’হাতে লাঠির উপর ভর দিয়ে তারকেশ্বর চললেন ২২ বছরের সৌমিক।

“ভোলেবাবা পার লাগাও, ত্রিশূলধারী শক্তি যোগাও”— এই মন্ত্রকে সঙ্গী করেছেন সৌমিক। গোবরডাঙা হিন্দু কলেজের ছাত্র সৌমিক গোলদার। বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন তিনি। মনের জোর থাকলে কোনও কিছুই যে অসম্ভব নয়, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন এই যুবক। পরিবারের অমত থাকলেও ছেলের জেদের কাছে নতি স্বীকার করতে হয়েছে বাবা-মাকেও। বাধ্য হয়েই বাবা বাসুদেব গোলদার এবং মা ইতিকা গোলদার ছেলের এই যাত্রা মেনে নিয়েছেন।

২০২০ সাল। বাবুপাড়ার বাসিন্দা সৌমিকের পায়ে থাবা বসিয়েছিল ক্যানসার। অপারেশন করে পায়ের কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে স্টিলের পাত বসানো হয় ওই পায়ে। এর পর আবারও ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুটি দুর্ঘটনায় চিরতরে পা হারাতে হয় তাঁকে। ক্যানসার ধরা পড়ার কারণে প্রায় ছ’টি কেমো এবং ৩২ টি রেডিয়েশন নিতে হয়েছিল সৌমিককে। তবুও কোন ভাবেই লড়াইয়ে হার মানেননি তিনি। কোনও কিছুই যে বাধা হতে পারে না, সেই বার্তা দেন এই যুবক। জীবন মানেই তাঁর কাছে লড়াই।

আরও পড়ুন- রাজ্যপালের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই শপথ গ্রহণ ৪ বিধায়কের! স্পিকার বললেন, ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’

যমুনা থেকে জল নিয়ে গোবরডাঙা কালীবাড়ির ষোলো শিবের মূর্তিতে জল ঢেলে সৌমিক রওনা দেন তারকেশ্বরের উদ্দেশে। পথে ঝড়-জল-রোদ অতিক্রম করে তাঁর এই লক্ষ্যপূরণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বন্ধুরা। কারও বাড়ি বনগাঁ, কারুর মছলন্দপুর ও হাবড়াতে হলেও সৌমিকের সঙ্গে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবেন বন্ধুরাও। এর আগে এক পায়ে সাইকেল চালিয়ে অযোধ্যা যাত্রা করেছিলেন যুবক। এবার যাচ্ছেন পায়ে হেঁটে তারকেশ্বর, তাই সৌমিক গোলদারকে কুর্নিশ করছেন গোবরডাঙার মানুষজন।

রুদ্র নারায়ণ রায় 

Special Local Train for Tarkeswar: লোকাল ট্রেনের বিরাট সুযোগ! শ্রাবণ মাসে তারকেশ্বর যাবেন আরও সহজে, শ্রাবণী মেলায় স্পেশ্যাল ব্যবস্থা

তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা বাংলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নির্ঘণ্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা সারা বাংলা জুড়ে অসংখ্য ভক্তদের আকর্ষণ করে। যারা শিবের উপাসক বা শিবের আশীর্বাদ নিতে আসেন। শ্রাবণ মাসে মেলা অনুষ্ঠিত হয় শিবের 'জলাভিষেক' উপলক্ষ্যে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা শিবের 'জলাভিষেক' অনুষ্ঠানে তারকেশ্বরে আসেন। শ্রাবণী মেলার সময়, তারকেশ্বর এবং শেওড়াফুলি স্টেশনে প্রচুর ভক্তদের ঢল দেখা যায়। যারা উৎসব ও ধর্মীয় রীতিতে অংশ নিতে আসেন।
তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা বাংলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নির্ঘণ্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা সারা বাংলা জুড়ে অসংখ্য ভক্তদের আকর্ষণ করে। যারা শিবের উপাসক বা শিবের আশীর্বাদ নিতে আসেন। শ্রাবণ মাসে মেলা অনুষ্ঠিত হয় শিবের ‘জলাভিষেক’ উপলক্ষ্যে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা শিবের ‘জলাভিষেক’ অনুষ্ঠানে তারকেশ্বরে আসেন। শ্রাবণী মেলার সময়, তারকেশ্বর এবং শেওড়াফুলি স্টেশনে প্রচুর ভক্তদের ঢল দেখা যায়। যারা উৎসব ও ধর্মীয় রীতিতে অংশ নিতে আসেন।(রাকেশ মাইতি)
সেই দিক থেকে ভক্তদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে।তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষ্যে পূর্ব রেলওয়ে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন! পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগ শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরে ছয় (৬) জোড়া অতিরিক্ত ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা। হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় প্রতি রবিবার, সোমবার এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে চলবে।
সেই দিক থেকে ভক্তদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে।তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষ্যে পূর্ব রেলওয়ে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন! পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগ শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে তারকেশ্বরে ছয় (৬) জোড়া অতিরিক্ত ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা। হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় প্রতি রবিবার, সোমবার এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে চলবে।
হাওড়া থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি হাওড়া থেকে সকাল ০৪:০৫ এবং দুপুর ১২:৫০ এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৫:৩৫ এবং দুপুর ০২:২০ এ তারকেশ্বরে পৌঁছাবে। একই ভাবে, শিব দর্শনের পর ভক্তদের হাওড়া ফেরত নিয়ে আসার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি তারকেশ্বর থেকে সকাল ১০:৫৫ এবং রাত ০৯:১৭ এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে দুপুর ১২:৩০ এবং রাত ১০:৪৫ এ হাওড়ায় পৌঁছাবে।
হাওড়া থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি হাওড়া থেকে সকাল ০৪:০৫ এবং দুপুর ১২:৫০ এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৫:৩৫ এবং দুপুর ০২:২০ এ তারকেশ্বরে পৌঁছাবে। একই ভাবে, শিব দর্শনের পর ভক্তদের হাওড়া ফেরত নিয়ে আসার জন্য, ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি তারকেশ্বর থেকে সকাল ১০:৫৫ এবং রাত ০৯:১৭ এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে দুপুর ১২:৩০ এবং রাত ১০:৪৫ এ হাওড়ায় পৌঁছাবে।
এছাড়াও, শেওড়াফুলি থেকে সাধারণত পবিত্র গঙ্গার জল তারকেশ্বরে জলাভিষেকের জন্য নিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব বিবেচনা করে, পূর্ব রেলওয়ে শেওড়াফুলি এবং তারকেশ্বরের মধ্যে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। শেওড়াফুলি – তারকেশ্বর ইএমইউ স্পেশাল শেওড়াফুলি থেকে সকাল ০৬:৫৫, সকাল ০৯:২০, বিকেল ০৪:২০ এবং সন্ধ্যা ০৭:৪০ এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৭:৪৫, সকাল ১০:১৫, বিকেল ০৫:১০ এবং রাত ০৮:৩০ এ তারকেশ্বরে পৌঁছাবে।
এছাড়াও, শেওড়াফুলি থেকে সাধারণত পবিত্র গঙ্গার জল তারকেশ্বরে জলাভিষেকের জন্য নিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব বিবেচনা করে, পূর্ব রেলওয়ে শেওড়াফুলি এবং তারকেশ্বরের মধ্যে ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। শেওড়াফুলি – তারকেশ্বর ইএমইউ স্পেশাল শেওড়াফুলি থেকে সকাল ০৬:৫৫, সকাল ০৯:২০, বিকেল ০৪:২০ এবং সন্ধ্যা ০৭:৪০ এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৭:৪৫, সকাল ১০:১৫, বিকেল ০৫:১০ এবং রাত ০৮:৩০ এ তারকেশ্বরে পৌঁছাবে।
অপরদিকে, তারকেশ্বর – শেওড়াফুলি ইএমইউ স্পেশাল তারকেশ্বর থেকে সকাল ০৫:৫৫, সকাল ০৮:১০, দুপুর ০২:৫০ এবং সন্ধ্যা ০৬:৪০ এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৬:৪৫, সকাল ০৯:০৩, বিকেল ০৩:৪০ এবং সন্ধ্যা ০৭:৩০ এ শেওড়াফুলিতে পৌঁছাবে।
অপরদিকে, তারকেশ্বর – শেওড়াফুলি ইএমইউ স্পেশাল তারকেশ্বর থেকে সকাল ০৫:৫৫, সকাল ০৮:১০, দুপুর ০২:৫০ এবং সন্ধ্যা ০৬:৪০ এ ছাড়বে এবং যথাক্রমে সকাল ০৬:৪৫, সকাল ০৯:০৩, বিকেল ০৩:৪০ এবং সন্ধ্যা ০৭:৩০ এ শেওড়াফুলিতে পৌঁছাবে।
পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র বলেন, নিয়মিত ট্রেন চলার পাশাপাশি, এই ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনগুলি তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার সময় রবিবার, সোমবার এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে চালানো হবে।
পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী কৌশিক মিত্র বলেন, নিয়মিত ট্রেন চলার পাশাপাশি, এই ইএমইউ স্পেশ্যাল ট্রেনগুলি তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার সময় রবিবার, সোমবার এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলিতে চালানো হবে।
যেমন ১৭.০৭.২০২৪, ২১.০৭.২০২৪, ২২.০৭.২০২৪, ২৮.০৭.২০২৪, ২৯.০৭.২০২৪, ০৪.০৮.২০২৪, ০৫.০৮.২০২৪, ১১.০৮.২০২৪, ১২.০৮.২০২৪, ১৫.০৮.২০২৪, ১৮.০৮.২০২৪ & ১৯.০৮.২০২৪। এই বিশেষ ট্রেনগুলি রুটের সব স্টেশনে থামবে।
যেমন ১৭.০৭.২০২৪, ২১.০৭.২০২৪, ২২.০৭.২০২৪, ২৮.০৭.২০২৪, ২৯.০৭.২০২৪, ০৪.০৮.২০২৪, ০৫.০৮.২০২৪, ১১.০৮.২০২৪, ১২.০৮.২০২৪, ১৫.০৮.২০২৪, ১৮.০৮.২০২৪ & ১৯.০৮.২০২৪। এই বিশেষ ট্রেনগুলি রুটের সব স্টেশনে থামবে।

Beaten to Death: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন! কলকাতার পর এবার তারকেশ্বরে

হুগলি: কলকাতার হোস্টেলের পর এবার হুগলির তারকেশ্বর, আবারও চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। কলকাতায় পড়ুয়াদের হোস্টেলের সামনে ঘোরাঘুরি করা ব্যক্তিকে টেনে ভেতরে ঢুকিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তারকেশ্বরে চোর সন্দেহে বিশ্বজিৎ মান্না নামে ওই যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।

তারকেশ্বর থানার নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাবাঁধ এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে নিজের বাড়িতে শুয়ে ছিলেন বছর ২৩-এর যুবক বিশ্বজিৎ। সে পেশায় গাড়িচালক। বিকাশ সামন্ত ও তাঁর ছেলে দেবকান্ত সামন্ত এই দু’জন বিশ্বজিৎকে বাড়িতে ডাকতে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চুরির অভিযোগে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিকাশ ও দেবকান্ত, বাবা-ছেলে মিলে কলের পাইপ ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

আর‌ও পড়ুন: গভীর রাতে ট্রাক-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ১, আহত ৩

জানা গিয়েছে, সামন্ত বাড়ির লকার থেকে সম্প্রতি ৫০ হাজার টাকা চুরি গিয়েছিল। সেই ঘটনাতেই সন্দেহ গিয়ে পড়ে বিশ্বজিৎ মান্নার উপর। মারধোরের খবর শুনে ছুটে এসেছিলেন বিশ্বজিতের স্ত্রী ও তার মা। তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বিশ্বজিৎ বারংবার কাকুতি মিনতি করে জানায় যে সে কোন‌ওরকম চুরি করেনি। তার পরেও বেধড়ক মারধর করা হয় বিশ্বজিতকে। রবিবার রাত দুটো নাগদ বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পর তারকেশ্বর থানার পুলিশ বিকাশ সামন্ত ও দেবকান্ত সামন্তকে আটক করেছে। মৃত বিশ্বজিতের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁর স্ত্রী কথা বলতে গিয়ে বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন। তাঁর একটাই দাবি, স্বামীকে যারা পিটিয়ে খুন করেছে তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তজুড়ে একের পর এক পিটিয়ে মারার ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসন। মানুষ যেভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাতে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে।

রাহী হালদার