বাঁকুড়া: ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা বিষ্ণুপুরে। ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং শিল্পের পীঠস্থান এই লোকসভা। রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রও এটি। বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর (তফসিলি জাতি), ইন্দাস (তফসিলি জাতি), সোনামুখি (তফসিলি জাতি) বাঁকুড়ার এই ছয়টি এবং পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এই সাতটি বিধানসভা মিলিয়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা।
পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ ষষ্ঠ দফা ভোট লাইভ
শনিবার এখানকার ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ২৬৮ জন ভোটার আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিজেদের জনপ্রতিনিধিকে বেছে নেবেন। পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৯১ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩৭৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের মাত্র দু’জন ভোটার রয়েছেন বিষ্ণুপুরে। ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটার রয়েছেন ৯,৪৮৯ জন। ১৮-১৯ বছর বয়সের ভোটার, অর্থাৎ প্রথমবারের ভোটারের সংখ্যা ৫০,৩৭৫ জন। ২০-২৯ বছরের ভোটার ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯১০ জন এবং ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটার আছেন ৫৬ জন।
আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে হানাবাড়ি বলে ভ্রম হতে পারে! আতঙ্ক নিয়েই চলছে পড়াশোনা
নির্বাচন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বিষ্ণুপুরকে। এখানে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার বিষ্ণুপুরে ভোটের লড়াই বেশ হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রধান দুই প্রতিপক্ষ বিজেপির সৌমিত্র খাঁ ও তৃণমূলের সুজাতা মণ্ডল। তাঁরা সম্পর্কে প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী হওয়ায় এই লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের লড়াই আলাদা করে আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছে। এছাড়াও লড়াইয়ে আছেন সিপিএমের শীতল কৈবর্ত। রামে চলে যাওয়া বাম ভোট ঘরে ফেরার আশায় আছেন তিনি।
২০১৯ এর লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে সৌমিত্র খাঁ ৭৮,০৪৭ ভোটে পরাজিত করেছিলেন তৃণমূলের শ্যামল সাঁতরাকে। এর আগে ২০১৪ সালে তৃনমূলের হয়ে এই কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এবার জিতে তিনি হ্যাটট্রিক করতে পারেন কিনা তারই অপেক্ষা।
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮৯০ টি এবং যার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৩২৩ টি। বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর মিলিয়ে মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা ৪৭ টি, পিডব্লুডি পরিচালিত বুথ ৪ টি এবং মডেল বুথের সংখ্যা ৩১ টি। নিরাপত্তার খাতিরে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর মিলিয়ে ১৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং ৬৫২১ জন পুলিশ মোতায়েন থাকছে।
ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুর লোকসভায় প্রবীণ নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা এবং ৪০ শতাংশের উপর বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে যারা আবেদন করেছিলেন তাঁদের ভোট বাড়িতে বসে নিয়ম মেনে ব্যালটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী