মিশ্র চাষে উৎপাদন করা ফসল হাতে কৃষক

Mixed Cultivation: পুরনো প্রথা ছেড়ে মিশ্র পদ্ধতিতে চাষ করুন, অনেক বেশি লাভ হবে

কোচবিহার: লাভের মুখ দেখতে বহু কৃষক এখন চিরাচরিত চাষের পথ ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছেন। কেউ বিকল্প চাষ শুরু করেছেন, আবার কেউ অন্যভাবে জীবিকার কথা ভাবছেন। তবে আজ আপনাদের মিশ্র চাষের কথা বলব, যা করলে কৃষক হিসেবে আপনি অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

সাধারণত কৃষকেরা লাভের মুখ দেখতে গিয়ে চিরাচরিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এতে আজকাল আর খুব একটা লাভ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করলে কৃষক হিসেবে আপনি অনেকটাই বেশি আয় করতে পারবেন। অল্প সময়ে, অল্প জায়গায় এবং অল্প খরচে বেশি লাভ পাওয়া সম্ভব হবে। অল্প জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণ চাষ করা সম্ভব এই পদ্ধতিতে। ধারাবাহিক চাষের পাশাপাশি মিশ্র পদ্ধতির চাষ করা খুব একটা বেশি কষ্টসাধ্য পদ্ধতি নয়।

আরও পড়ুন: বর্ষার শুরুতেই ফুঁসছে টাঙ্গন নদী, ভাঙন আতঙ্কে গোটা এলাকা

কোচবিহারের কৃষক নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, তিনি মিশ্র পদ্ধতির চাষাবাদের মাধ্যমে চাল কুমড়ো ও মিষ্টি কুমড়া ফলিয়েছেন। এই চাষের মাধ্যমে তিনি অধিক পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে পারছেন। এভাবে চাষ করার মাধ্যমে তাঁর খরচ অনেকটাই কম হয়েছে। অল্প জায়গায় অনেকটা বেশি পরিমাণ চাষ করতে পেরেছেন। তাই তো তিনি সকল কৃষকদের মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাল কুমড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে তাঁর ৫ কাঠা জমিতে খরচ হয়েছে এক হাজার টাকা। শুধু মাথায় রাখতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ সার ও কীটনাশক যেন প্রয়োগ করা হয়।

বর্তমানে সেখানকার আরও অনেক কৃষক এই মিশ্র পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য এগিয়ে আসছেন। তাঁরাও অনেকটাই লাভের মাত্রা দেখতে পারছেন এভাবে চাষ করার মাধ্যমে। প্রথমে জমি চাষ করে তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হয়। তারপর বীজ রোপণ করে দিলেই গাছ ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে আরেকটু সার প্রয়োগ করতে হয়। মাঝেমধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তাহলে এই গাছ থাকে তরতাজা এবং কোন‌ও রোগ পোকার আক্রমণ হয় না। খরচের পরিমাণও হয় অনেকটাই কম। খুচরো কিংবা পাইকারি দু’ভাবেই বিক্রি করা সম্ভব এই ধরনের ফসল।

সার্থক পণ্ডিত