বাড়ির পাঁচটি আলমারি ভেঙে সর্বস্ব নিয়ে চম্পরদায় চোর

House Theft: ভর সন্ধেতে জনবহুল এলাকায় অধ্যাপিকার বাড়িতে ভয়াবহ চুরি

হুগলি: ছুটির দিনে ভর সন্ধ্যেবেলায় জনবহুল এলাকায় অধ্যাপিকার বাড়িতে চুরি। কোন্নগরের ঘটনা। যে বাড়িতে চুরি হয়েছে তার পাশেই শাসকদলের দলীয় কার্যালয়। সেই অবস্থাতেও দুষ্কৃতীদের বেপরোয়া মনোভাবে অবাক হয়েছেন অনেকেই। বাড়িতে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

কোন্নগরের অরবিন্দ রোডের মতো ব্যস্ত এলাকায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুই টের পাননি। বাড়ির পাঁচটি আলমারি ভেঙে তা থেকে নদগ টাকা সমেত সোনা গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশ। দুষ্কৃতীদের সন্ধান পেতে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: তীব্র গরমে বন্যপ্রাণীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, জঙ্গলে বাড়ল কৃত্রিম জলাশয়

দেবযানী মিত্র নামে ওই অধ্যাপিকার বাড়িতে চুরি হয়। তিনি হাওড়ার একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। চুরির সময় বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ যখন তিনি বাড়ি ফেরেন তখনই ওই চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ হাজার নগদ টাকা ও সোনাদানা যা ছিল সবই ঝেঁটিয়ে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। তবে ঠিক কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও হিসেব করে উঠতে পারেননি ওই অধ্যাপিকা।

কোন্নগরের অরবিন্দ রোডের বাড়ি থেকে এদিন দুপুরেই আত্মীয় বাড়িতে গিয়েছিলেন দেবযানীদেবী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী তথা রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের পদস্থ কর্তা। সন্ধের পরে তাঁরা বাড়ি ফেরেন। তখনই দেখতে পান বাড়িতে আলো জ্বলছে। অথচ যাওয়ার সময় তাঁরা সব আলো বন্ধ করে গিয়েছিলেন। কিন্তু দরজা খুলে বাড়িতে ঢুকতেই মাথায় বাজ পড়ে ওই দম্পতির। তাঁরা দেখতে পান গোটা বাড়ি দু’টি তলা জুড়ে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। সমস্ত ঘরের দরজা খোলা, আলমারি ভাঙা। টাকা পয়সা, সোনাদানা কিছুই ফেলে রেখে যায়নি দুষ্কৃতীরা। ঘটনা জানাজানি হতেই তদন্ত নেমেছে পুলিস। স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে সন্ধের মুখে প্রাচীর টপকে দু’জন বাড়িতে ঢুকছে। কিন্তু বাড়ির পিছনের দরজা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ফলে এই দুঃসাহসী চুরির সঙ্গে জমাট বাঁধছে রহস্যও।

রাহী হালদার