দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই বিপদে পড়েন মৎস্যজীবীরা। তখন তাঁদের উদ্ধার করতে উত্তাল সমুদ্রে পাড়ি দেয় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। বিপদ সঙ্কুল পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও উদ্ধার করেন মৎস্যজীবীদের। অথচ নির্দিষ্ট কিছু প্রশিক্ষণ থাকলে এমন বহু পরিস্থিতি মৎস্যজীবীরা নিজেরাই হয়ত এড়াতে পারবেন। সেই লক্ষ্যে মৎস্যজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করল ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী।
কোস্টগার্ড বা ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ভারতীয় জলসীমাকে বিদেশি শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মৎস্যজীবীদের জীবন রক্ষার কাজ করে চলেছে। মৎস্যজীবীদের উপকূলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা, যোগাযোগ রক্ষার যন্ত্রপাতির ব্যবহার সহ আরও একাধিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তাঁরা। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে কমিউনিটি ইন্টারাকশন প্রোগ্রাম (সিআইপি)। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে বিপদে পড়লে তাঁরা কীভাবে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পাবেন তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামান্য বৃষ্টিতেই জল থৈ থৈ, পাকা রাস্তায় চলছে নৌকা! ভাইরাল ভিডিও
এই নিয়ে সাউথ সুন্দরবন ফিশারম্যান ফিশ ওয়ার্কার ইউনিয়নের সম্পাদক হারাধন ময়রা জানান, এই কর্মসূচি আরও বেশি করে পালন করা উচিত। মৎস্যজীবীরা তাঁদের বিপদ সম্পর্কে সচেতন থাকবেন এর ফলে। এছাড়াও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী আমাদের দেশের মৎস্যজীবীদের উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে, তার থেকে মৎস্যজীবীরা যাতে রেহাই পায় ও সুস্থভাবে মাছ ধরতে পারে সেই দিকটিও এই কর্মসূচির মাধ্যমে জানা যাবে।
এ নিয়ে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে অনিমেষ সিনহা স্যার জানান, গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীরা যাতে কোনওরকম অসুবিধায় না পড়েন সেই দিকটি দেখতেই এই সিআইপি প্রোগ্রাম করা হয়েছে। এতে মৎস্যজীবীদের সুবিধা হবে। মৎস্যজীবীরাও এই প্রশিক্ষণ পেয়ে খুবই খুশি। এই কর্মসূচি আরও বেশি করে পালন করা হোক এটাই এখন চাইছেন তাঁরা।
নবাব মল্লিক