অঞ্জনা নদীর জল বেশিরভাগ সময় থাকে কালো

Anjana River: কবি-সাহিত্যিকদের প্রিয় অঞ্জনা নদী বাঁচাতে তৎপর নবীন প্রজন্ম

নদিয়া: অঞ্জনা নদী বাঁচাতে ফের পথে নামছে নাগরিকসমাজ। নদিয়ার গুরুত্বপূর্ণ নদী অঞ্জনা দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে জলের অভাবে। সেই সঙ্গে এই নদী দখলদারদের আগ্রাসনে ক্রমশ মুছে যেতে বসেছে। একদিকে উৎস্যমুখ জলঙ্গিতে জলের জোগানের ঘাটতি, আরেকদিকে কৃষ্ণনগর শহরে নদীর বুকেই গড়ে উঠেছে ইমারত। স্বাভাবিকভাবেই অঞ্জনা নদী তার গৌরব হারিয়েছে।

২০১৯ সালে কিশোর বাহিনীর উদ্যোগে দু’দিনের ৩২ কিমি পদযাত্রায় সামিল হয়েছিল নাগরিক সমাজ। কিছু সংস্কারের কাজও হয়েছিল বাদকুল্লা থেকে রানাঘাটে চূর্ণি নদী পর্যন্ত অংশে। বন্ধ হয়েছিল ইমারত গড়ার কাজ। গড়ে উঠেছিল অঞ্জনা নদী বাঁচাও কমিটি। জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরে আবারও দু’দিনের বড় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগর ৩২ কিমি নদী পাড়ের রাস্তা ধরে। এখন চলছে সেই প্রস্তুতি। তারই প্রস্তুতি হিসাবে অঞ্জনা নদী বাঁচাও কমিটি, কিশোর বাহিনী ও দোগাছি অঞ্জনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল নদীপারের গ্রামগুলি পরিদর্শন করে।

আর‌ও পড়ুন: একুশেই লক্ষ্য ১৯৭ টি দেশ ঘুরে দেখা! সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন লালগোলার প্রসেনজিৎ

বিভিন্ন সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, নদীকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিনিধি দলটি। প্রতিনিধিদলে বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, দীপক রায়, নিখিল হালদার, আমির চাঁদ শেখ, দেবাশিস হালদার, কিরিটি সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে আগত চূর্ণী নদী নদিয়ার রানাঘাটে এসে অঞ্জনা নাম নিয়েছে। আবার এই অঞ্জনা নদীকেই কোনও কোনও জায়গায় জলঙ্গি নদী নামেও ডাকা হয়ে থাকে। এই নদী নদিয়াবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের। এই নদীকে ঘিরেই বহু কবি-সাহিত্যিক লিখেছেন একাধিক কবিতা ও উপন্যাস। এই নদীর ওপর নির্ভর করে পেট চলে বহু মৎস্যজীবীর।

তবে দীর্ঘ বেশ কিছু বছর ধরে অঞ্জনা নদীর ওপর চলেছে পাশবিক অত্যাচার। তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ থেকে জলস্রোতে বয়ে আসা নানান বর্জ্য পদার্থ। এছাড়াও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা দান করা, নদীর জলভাগ ও পাড় বেআইনিভাবে দখল করে নেওয়ার মত ঘটনাও আছে। আর সেই কারণেই একাধিক স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন আজ গর্জে উঠেছে। বর্তমান প্রজন্ম’ও এই নদীর সংস্কারের বিষয়ে এগিয়ে এসেছে।

মৈনাক দেবনাথ