পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই বাংলাদেশে ফিরবে ভারতীয় পড়ুয়া 

Doctor Aspirant: ইউক্রেনের পর বাংলাদেশ, ভবিষ্যৎ অথৈ জলে! ডাক্তার হতে পারবে তো অর্ক?

নদিয়া: যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য মাত্র চার মাসের মাথায় ফিরতে হয়েছিল! এবারে ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশ থেকে ফিরল শান্তিপুরের ডাক্তারি পড়ুয়া। ছাত্রের সামনে বার বার একের পর এক বাধা।

নদিয়ার শান্তিপুরের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্র অর্ক সমাদ্দারকে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেন থেকে মাত্র চার মাসের মাথায় ফিরতে হয়েছিল। এরপর সে ভর্তি হয় বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের জেরে উত্তাল বাংলাদেশ থেকেও তাকে ফিরতে হয়েছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে তার সাক্ষাৎকারে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ অগাস্ট সে ভর্তি হয়। বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি ভারতীয় হিসেবে প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করেন যার মধ্যে ৫০ জন ছাত্র।

আরও পড়ুন: জুতোর ভিতর ওগুলো কী? মহিলার কাজ দেখে অবাক বিএসএফ, দেখুন কী কাণ্ড!

ছাত্র এবং ছাত্রী আবাস কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাই পরিস্থিতি প্রতিকূলে যেতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যার ফলে তাদের খুব বেশি অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয়নি। কলেজের কিছু কিছু ছাত্র সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলেও তারা কেউই আবাসিক ছিল না। ফরেন কান্ট্রি অর্থাৎ ভারতীয় কিংবা অন্যান্য দেশের দু’একজন ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও তারা এ ধরনের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। তবে কারফিউ থাকার কারণে এবং নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য বেশ খানিকটা চিন্তিত ছিল তারা।

আরও পড়ুন: ১৪ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয় জানেন? বিশেষজ্ঞের টিপস শুনলে চমকে যাবেন!

তবে সে দেশের সরকার এবং ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ওই জেলা আগরতলার কাছাকাছি হওয়ায় কিছুটা ভারতীয় নেটওয়ার্ক পাওয়ার কারণে নিয়মিত বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পেরেছিল। তবে, শেষমেশ গত দু’দিন আগে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে যার বাড়ি ফিরে যাওয়ার। সেই মতো পুলিশ এসকর্ট দিয়ে ভারতীয় দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় তারা কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই যে যার বাড়িতে পৌঁছেছে।

অর্ক জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে আবারও যেতে হবে। প্রসঙ্গত অর্ক পড়াশোনা করেছে রানাঘাট কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে, নিট পাশ করে ২০২১ সালে। তার বাবা কমল সমাদ্দার ইন্ডিয়ান পোস্টালে অন্য জেলায় কর্মরত। ছোট ভাই ক্লাস নাইনে পড়ে।

পরিবার জানায়, ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট পাশ করে অনেকেই সুযোগ পায় না সরকারি ভাবে এমবিবিএস পড়ার। তবে বেসরকারি কলেজগুলোতে যা খরচ তা মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে, বাধ্য হয়েই তখন ভিনদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির পরে বোঝা গিয়েছিল কত পরিমাণ ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করে। কারণ, রাশিয়া-ইউক্রেন-সহ কয়েকটি দেশে পড়াশোনার খরচ মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের মধ্যে।

Mainak Debnath