পুজোয় হোক গামছা ফ্যাশন 

Siliguri News: এবার পুজোয় ট্রেন্ডিং দেবীর হাতে তৈরি গামছা ফ্যাশন! জেনে নিন দাম, কোথায় পাবেন

শিলিগুড়ি: গামছা শুধু গা মোছার জন্য নয়, এর ইতিহাস জড়িয়ে আছে গ্রামবাংলার আবেগের সঙ্গেও। এই আবেগকে প্রতিনিয়ত আমাদের ফ্যাশনশিল্পীরা ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন পোশাক পরিধেয়তে। অসমের লাল সাদা গামছা, বাংলার গামছা কিন্তু জগৎজুড়ে বিখ্যাত। এই গামছাকে সঙ্গে করেই ফ্যাশনের দিক বদলেছে শিলিগুড়ির দেবী।

অসম এবং বাংলার এই গামছা দিয়ে এবার নানান সাজের পোশাক ব্লাউজ, কুর্তা, পাজামা ,ছোট ব্যাগ থেকে শুরু করে নানা জিনিস বানিয়ে চমক শিলিগুড়ির প্রধান নগরের বাসিন্দা দেবী দের। গামছা দিয়ে তৈরি এই সমস্ত পোশাকের চাহিদা এত যে জোগান দেবার জো নেই। তাই দেবীর পরবর্তী পরিকল্পনা, মহিলাদের এই সম্পর্কে অবহিত করা এবং কর্মসংস্থানের একটা জায়গা খুঁজে বের করা। তিনি ইতিমধ্যেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের বিনামূল্যে সেলাই এর প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: বহু দেশের চায়ের ডাক টিকিট! চা-কাহিনি সংগ্রহ করাই নেশা জলপাইগুড়ির এই ব্যক্তির

অসমের গামছায় চারদিকে রঙিন সুতার ব্যবহার থাকে। আর মাঝখানটা থাকে সাদা। বিহু উৎসবের সঙ্গেও গামছার বিশেষ সম্পর্ক আছে। যুবকরা মাথায় গামছা বেঁধে বিহু নৃত্যে অংশ নেয়। প্রথমে এক বিহু উৎসবে গিয়েই দেবীর মাথায় আসে যে সমস্ত জায়গায় সম্বর্ধনার ক্ষেত্রে হোক বা অন্য ক্ষেত্রে এই গামছাগুলি বহুল ব্যবহৃত। তাই এই গামছা দিয়ে যদি পোশাক তৈরি করা যায় তবে কেমন হয়। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। এই কাজ এতটাই সুনাম পেয়েছে যে তাঁর তৈরি গামছার পোশাক পরে একটি আস্ত ফ্যাশন শো ইতিমধ্যেই অসমে হয়ে গিয়েছে।

তারপর ধীরে ধীরে তিনি বাংলার গামছা দিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রচুর জায়গায় তাঁর গামছা দিয়ে তৈরি পোশাক পরে র‍্যাম্পে হেঁটেছেন মডেলরা। এই পোশাকের চাহিদা এতটা বেশি যে, জোগান মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন দেবী। তাই দেবী শিলিগুড়ির বিভিন্ন মহিলাকে একত্রিত করে তাঁদের এই কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা করেছেন।

অনির্বাণ রায়