Tag Archives: Fashion
Siliguri News: এবার পুজোয় ট্রেন্ডিং দেবীর হাতে তৈরি গামছা ফ্যাশন! জেনে নিন দাম, কোথায় পাবেন
শিলিগুড়ি: গামছা শুধু গা মোছার জন্য নয়, এর ইতিহাস জড়িয়ে আছে গ্রামবাংলার আবেগের সঙ্গেও। এই আবেগকে প্রতিনিয়ত আমাদের ফ্যাশনশিল্পীরা ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন পোশাক পরিধেয়তে। অসমের লাল সাদা গামছা, বাংলার গামছা কিন্তু জগৎজুড়ে বিখ্যাত। এই গামছাকে সঙ্গে করেই ফ্যাশনের দিক বদলেছে শিলিগুড়ির দেবী।
অসম এবং বাংলার এই গামছা দিয়ে এবার নানান সাজের পোশাক ব্লাউজ, কুর্তা, পাজামা ,ছোট ব্যাগ থেকে শুরু করে নানা জিনিস বানিয়ে চমক শিলিগুড়ির প্রধান নগরের বাসিন্দা দেবী দের। গামছা দিয়ে তৈরি এই সমস্ত পোশাকের চাহিদা এত যে জোগান দেবার জো নেই। তাই দেবীর পরবর্তী পরিকল্পনা, মহিলাদের এই সম্পর্কে অবহিত করা এবং কর্মসংস্থানের একটা জায়গা খুঁজে বের করা। তিনি ইতিমধ্যেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের বিনামূল্যে সেলাই এর প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বহু দেশের চায়ের ডাক টিকিট! চা-কাহিনি সংগ্রহ করাই নেশা জলপাইগুড়ির এই ব্যক্তির
অসমের গামছায় চারদিকে রঙিন সুতার ব্যবহার থাকে। আর মাঝখানটা থাকে সাদা। বিহু উৎসবের সঙ্গেও গামছার বিশেষ সম্পর্ক আছে। যুবকরা মাথায় গামছা বেঁধে বিহু নৃত্যে অংশ নেয়। প্রথমে এক বিহু উৎসবে গিয়েই দেবীর মাথায় আসে যে সমস্ত জায়গায় সম্বর্ধনার ক্ষেত্রে হোক বা অন্য ক্ষেত্রে এই গামছাগুলি বহুল ব্যবহৃত। তাই এই গামছা দিয়ে যদি পোশাক তৈরি করা যায় তবে কেমন হয়। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। এই কাজ এতটাই সুনাম পেয়েছে যে তাঁর তৈরি গামছার পোশাক পরে একটি আস্ত ফ্যাশন শো ইতিমধ্যেই অসমে হয়ে গিয়েছে।
তারপর ধীরে ধীরে তিনি বাংলার গামছা দিয়ে কাজ শুরু করেন। প্রচুর জায়গায় তাঁর গামছা দিয়ে তৈরি পোশাক পরে র্যাম্পে হেঁটেছেন মডেলরা। এই পোশাকের চাহিদা এতটা বেশি যে, জোগান মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন দেবী। তাই দেবী শিলিগুড়ির বিভিন্ন মহিলাকে একত্রিত করে তাঁদের এই কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা করেছেন।
অনির্বাণ রায়
Durga Puja 2024: নক্সীকাঁথার নকশা পেখম মেলেছে শাড়ির জমিন জুড়ে, পুজোর আগে তুঙ্গে চাহিদা, জানুন কোথায় পাবেন
বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: পুজোর আগে ভালো চাহিদা রয়েছে এই শাড়ির। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। তবে এই শাড়ির দাম কত জানেন ? জানলে কিছুটা অবাক হবেন ! পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও এখন এই শাড়ির কাজ হচ্ছে। কলকাতায় এখন এই শাড়ির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । এই শাড়ির নাম ‘গাছি তসর’।পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক মহিলা কাঁথাস্টিচের শাড়ি, পাঞ্জাবী, কুর্তি, দোপাট্টা, মহিলাদের কাঁথাস্টিচের পোশাক, বিছানার চাদর তৈরি করেন।
গ্রামের মহিলারা বহু বছর ধরে জড়িয়ে রয়েছেন কাঁথাস্টিচ শিল্পের সঙ্গে। কেউ মা-কাকিমার হাত ধরে শিখেছেন কাপড়ের উপর সুতোর নকশার এই কাজ। আবার কেউ বিয়ের পর গ্রামে এসে প্রতিবেশীদের দেখেই শিখেছেন কাঁথাস্টিচের কাজ। ছুঁচ-সুতো নিয়ে বসে শাড়িতে নকশা ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা। ব্যাঙ্গালোর সিল্ক বা তসরের একটি শাড়ির উপর বিভিন্ন সূক্ষ্ম কারুকার্য তাঁরা ফুটিয়ে তোলেন । তবে এখন এই মহিলারা গাছি তসর শাড়ির কাজে বেশি জোর দিয়েছেন। শিল্পী পারুল খাতুন জানিয়েছেন, “এই শাড়ির বিক্রি বেড়েছে। পুজোর আগে এর ভাল চাহিদা রয়েছে।”
সর্বপ্রথম শিল্পীদের শাড়ির থান কিনতে হয়। পরবর্তীতে সেই থানের মধ্যে যে নকশা হবে সেই নকশা ডিজাইনারের কাছ থেকে করিয়ে নিয়ে আসতে হয়। শাড়ির মধ্যে নকশা ছাপার কাজ সম্পূর্ণ হলে তারপর মহিলা শিল্পীরা তাদের কাজ শুরু করেন। সুঁচ – সুতো নিয়ে সেই নকশা তৈরির কাজ শুরু করেন শিল্পীরা। এক একটা শাড়ির নকশা শেষ করতে প্রায় ছ’মাস সময় লাগে বলেই জানা গিয়েছে। শিল্পীরা শাড়ির মধ্যে নকশা বোনার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারলে তবেই বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন। শাড়ির মধ্যে নকশা বোনার কাজ শেষ হলে তারপর সেই শাড়ি অথবা পোশাক নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির জন্য।
আরও পড়ুন : মাটিতে মেশান এক চিমটে এই জিনিস! বারান্দার টবেই ঝাঁকড়া হয়ে উঠবে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছ
বর্তমানে এই গ্রামগুলিতে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে পনেরো হাজার টাকা দামের শাড়িও তৈরি হয়। যার মধ্যে সবথেকে দাম বেশি ‘গাছি তসর’ শাড়ির। এই শাড়ির দাম শুরু হয় বারো হাজার টাকা থেকে। এবং সর্বোচ্চ পনেরো হাজার টাকা দামেরও এই শাড়ি রয়েছে। পুজোর আগে চাহিদা বেড়েছে এই শাড়ির। বিক্রিও হচ্ছে দেদার।
Deepika Padukone’s Maternity Fashion: ঐতিহ্য-আধুনিকতার মেলবন্ধন, দেখুন অন্তঃসত্ত্বা দীপিকা পাড়ুকোনের ফ্যাশনফাইল
Fashion Tips: বর-কনে নয়! বিয়েবাড়ির মধ্যমণি হবেন আপনিই! মেনে চলুন এই ৫ বিষয়, সকলের নজর ঘুরে যাবে
বিয়ের মরশুম তো চলছেই! বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতেই হয়। খানাপিনা, নাচ-গান আনন্দ তো আছেই। তার সঙ্গে কেমন সাজ হবে, সেটা আগে থেকেই পরিকল্পনা করা আবশ্যক। যদি বিয়েবাড়ি কিংবা অনুষ্ঠান বাড়িতে সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চান, তাহলে মেনে চলতে হবে কয়েকটি বিষয়। রইল সেই সংক্রান্ত কিছু টিপস।
লেহেঙ্গা চোলি:
বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা লেহেঙ্গা চোলি বেছে নেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে জমকালো হয়, ফলে এই অনুষ্ঠানের জন্য নির্দ্বিধায় বেছে নেওয়া যেতে পারে ভারি কাজের লেহেঙ্গা। আর এমনিতে নানা ডিজাইনের নানা কাজের লেহেঙ্গা চোলি পাওয়া যায়। এমনকী নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাজের মানানসই লেহেঙ্গাও বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
গাউন:
অনেকেই বিয়ের অনুষ্ঠানে পরার জন্য গাউন বেছে নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রেও বিভিন্ন স্টাইলের গাউন বাজারে পাওয়া যায়। আর সবথেকে বড় কথা হল, ওয়েস্টার্ন এবং ভারতীয় উভয় ধরনের গাউনই বিয়েবাড়ির জন্য বেছে নেওয়া যায়। তবে কালো কিংবা লাল রঙের গাউন থাকলে বিষয়টা একেবারে জমে যাবে।
ক্লাচ অথবা পোটলি:
সাজের সঙ্গে মানানসই ক্লাচ অথবা পোটলি বেছে নিতে হবে। আজকাল তো বিভিন্ন মাপের, বিভিন্ন ডিজাইনের ক্লাচ কিংবা পোটলি পাওয়া যায়। এটা আসলে সাজ সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না? সঙ্গীকেও সন্দেহ! কোন ভয়ঙ্কর রোগ বাসা বেঁধেছে
আরও পড়ুন: লিচুর মতোই দেখতে! লিচু নয় এই ফল! রয়েছে হাজারও উপকারিতা, কোথায় পাবেন জেনে নিন
ডিজাইনার ব্লাউজ:
যদি একটা সাধারণ শাড়ি পরে বিয়েবাড়ি যাওয়ার কথা ভাবেন, তাহলে একটা জমকালো ডিজাইনার ব্লাউজ কিন্তু পুরো লুকটাই বদলে দিতে পারে। তাই ডিজাইনার ব্লাউজ তৈরি করে রাখা যেতে পারে। এতে নিজের পছন্দের ডিজাইন দিয়ে ব্লাউজ বানানো যাবে। এছাড়া রেডিমেড ব্লাউজও বিক্রি হয়।
শারারা সেট:
সুফি নাইট হোক কিংবা বিয়ের সঙ্গীত, ওয়ার্ড্রোবে একটা স্টাইলিশ শারারা রাখতেই হবে। থ্রি-পিস শারারা দারুণ বিকল্প হতে পারে। কারণ একটা সুন্দর ব্লাউজ কিংবা ক্রপ টপের সঙ্গে পরা যেতে পারে শারারা সেটের প্যান্টের অংশটি। সঙ্গে দোপাট্টা ক্যারি করা যেতে পারে।
গরমে সাদা জামা-কাপড় পরলে লাভ অনেক! শুনলে অবাক হবেন, যেমন রাহুল গান্ধি পরেন
কলকাতা: প্রচণ্ড গরম। হাঁসফাস অবস্থা মানুষের। বাংলায় বৃষ্টির দেখা নেই। এই পরিস্থিতিতে খাওয়া-দাওয়া ও পোশাক পরিচ্ছদে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত সবার।
অনেকেই গরমের সময়ও গাঢ় রঙের জামা-কাপড় পরেন। এতে কিন্তু অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। লোকসভা ভোটের আগে রাহুল গান্ধির কয়েক মাসব্যপী ভারত জোড়ো যাত্রার কথা সবার প্রায় জানা। সেই গোটা ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধি কিন্তু সাদা রঙের টি-শার্ট পরে কাটান।
আরও পড়ুন- অসমের শাড়ি ভেবে কিনে খুব ঠকছেন, কারণ..
এমনকী শীতের সময়ও রাহুল গান্ধিকে দেখা যায় টি শার্ট পরে আছেন। আর বেশিরভাগ সময় তিনি পরেছিলেন সাদা রঙের টি শার্ট। গরমে সাদা টি শার্ট বা সাদা রঙের জামা-কাপড় পরার ফায়দা অনেক। আজ আমরা সেই ব্যাপারে জেনে নেব-
সাদা জামাকাপড় পরলে গরম কম অনুভব হবে। কারণ সাদা রঙ সূর্যের রশ্মি রিফ্লেক্ট করে। ফলে শরীরের তাপের প্রভাব পড়ে কম। গাঢ় রঙের জামাকাপড় পরলে সূর্যের রশ্মির প্রভাব শরীরে পড়ে বেশি।
অনেকেই জানেন না, গাঢ় রঙের জামাকাপড়ের থেকে সাদা রঙের কাপড়ে কিন্তু ঘামের দাগ কম বোঝা যায়। গরমের এই সময় বাইরে বেরোলেই ঘাম হবে, এটাই স্বাভাবিক। সব সময় তো আর জামাকাপড় বদলে ফেলা সম্ভব নয়। তাই সাদা জামাকাপড় পরলে ঘামের দাগ কম বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন- মাত্র ৫ মিনিটে লিচু দিয়ে ৪টি ফেসপ্যাক বানিয়ে ফেলুন, ত্বকের সৌন্দর্য ঠিকরে বেরবে!
পাতলা সাদা রঙের জামাকাপড় পরলে গরমের এই সময় আরাম হবে। খাদি, লিনেন জাতীয় জামাকাপড় এই সময়ে খুবই আরামদায়ক।
সাদা জামাকাপড় গরমের এই সময় আপনাকে ফ্রেশ লুক দিতে পারে। আপনাকে আরও ঝকঝকে দেখাতে পারে সাদা রঙের আউটফিটে।
সাদা রঙের জামাকাপড় মেন্টেইন করা একটু চাপের। কারণ তাতে কোনও রঙ লাগলে স্পষ্ট বোঝা যাবে। তবে কখনওই অন্য রঙের জামাকাপড়ের সঙ্গে সাদা রঙের শার্ট বা টি শার্ট ধোবেন না।
বি টাউনে কিয়ারা থেকে ক্যাটরিনা ,টাই-ডাই ট্রেন্ড এখন দারুন হিট
বর্তমানে ফ্যাশন দুনিয়ায় টাই -ডাই এর ট্রেন্ড সুপারহিট। নতুন ধরণের শিল্প শৈলীতে নিজের সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে এখন টাই -ডাই এর জবাব নেই। স্মার্ট লুক এবং রঙচঙে স্টাইলিশ পোষাক এখন বলিউডের তারকাদের প্রথম পছন্দ। আজকাল তারকা থেকে সাধারণ মানুষ অনেকেই টাই-ডাই এর প্রেমে পড়েছে। প্যান্ট হোক বা সোয়েটার, টি-শার্ট বা লাউঞ্জওয়্যার , তারকাদের বিভিন্ন পোষাকে এখন টাই -ডাই এর প্রবণতা বেড়েছে।
বলিউডের বহু সেলিব্রিটিই ফ্যাশনের নতুন ট্রেন্ড এই টাই -ডাই এর ওপর নিজেদের মোহর লাগিয়েছেন। সুক্ষ অথচ রঙিন প্রিন্টের এই ফ্যাশনেবল পোষাক দোকান থেকে শপিং মল , বুটিক থেকে ফ্যাশন শোরুম সব জায়গাতেই পছন্দের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তারকাদের এই আধুনিক ফ্যাশন ট্রেন্ডের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপরেও , তাই নিউ জেনেরেশনের মধ্যে এর চাহিদাও দিন দিন বেড়ে চলেছে।
১. অনন্যা পান্ডে :
বলিউডের তারকা অনন্যা পান্ডে গোলাপি রঙের টাই -ডাই সোয়েটার এবং সঙ্গে হালকা রঙের জিন্স পরে একদম অন্যরকম দেখাচ্ছিলেন। তার ওপরের টাই -ডাই টপে বোতামের পরিবর্তে সেফটি-পিন এনক্লোজার ব্যবহার করা হয়েছে যা রোদ্দুরে তার রূপকে আরও ফুটিয়ে তুলছিল। টপ এবং জিনসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাদা স্নিকার্স এবং হার্ট আকৃতির কানের দুল এবং খ্রিস্টান ডিওর পার্স স্টাইল তার চেহারায় আলাদা দ্যুতি এনে দিয়েছে। তার সৌন্দর্যকে সম্পূর্ণ করে তুলেছে অন-ফ্লিক মেকআপ। আপনিও কি তার এই সৌন্দর্যে প্রভাবিত হয়ে টাই -ডাই ফ্যাশন অনুসরণ করতে চান , তবে দেরি না করে আপনিও টাই -ডাই ফ্যাশন ট্রাই করুন।
View this post on Instagram
২. ক্যাটরিনা কাইফ :
ক্যাটরিনা কাইফ তার চেহারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হাফ হাতাযুক্ত একটি ঢিলেঢালা বেগুনি রঙের টাই-ডাই টপ পড়েছিলেন। এবং তার সঙ্গে ম্যাচিং করে ঢিলেঢালা প্যান্ট পড়েছিলেন যা জারা থেকে নেওয়া। তার এই হালকা পোষাক একটি আরামদায়ক দিন উপভোগ করার জন্য একদম পারফেক্ট ম্যাচ ছিল। খুব বেশি মেকআপ তিনি ব্যবহার করেননি , বরং ডিউয়ি মেক আপ , হালকা গোলাপি লিপস্টিক তার নির্ভেজাল রূপকে দ্বিগুন করে তুলছিল। ফটোশুটের সময় তার কানে সোনার হুপ্স চার আর কোনো ভারী অলংকার ছিলনা।
View this post on Instagram
৩.কিয়ারা আদভানি :
খোলা চুল এবং হালকা মেক আপে একদম অন্যরকম দেখাচ্ছিল কিয়ারাকে। ডিপ নেকলাইন এবং ব্যাকলেস ডিটেল সমেত হল্টার নেকযুক্ত সবুজ এবং সাদা রঙের ব্র্যালেট পরে ফটোশুট করছিলেন তিনি। টপের সঙ্গে হাই ওয়েস্ট প্যান্ট খুব মানানসই হয়েছিল তার পোষাকের সঙ্গে। চেহারায় হালকা মেক আপ , গলায় সোনার চেইন ,কানে হুপ কানের দুল এবং হাতে কয়েকটি সোনার রিং তার চেহারায় নতুন লুক যোগ করেছে। এই পোষাকের সঙ্গে সাদা স্ট্র্যাপি হিলের জুতো অবশ্যই তার সাজসজ্জাকে সম্পূর্ণ করে তুলেছিল।
View this post on Instagram
৪.কৃতি স্যানন :
রংবেরঙের টাই-ডাই ফ্যাশনে আকৃষ্ট কৃতী স্যানন লাইনট্রিপের একটি স্ট্র্যাপলেস সাদা এবং নীল মিডি গাউন পড়েছিলেন। সুইটহার্ট নেকলাইন এবং কর্সেট বডিসযুক্ত এই ফ্লোয়ি স্কার্টটি তার পোষাকের প্রিন্ট এবং রঙকে আরও বেশি করে হাইলাইট করছিল। তাছাড়া কানে সোনার কানের দুল এবং পায়ে নিয়ন-সবুজ পাম্প তার সৌন্দর্যকে দ্বিগুন করে তুলেছিল।
View this post on Instagram
৫.তারা সুতারিয়া :
সাদা এবং নীল টাই-ডাই টি-শার্ট এবং ম্যাচিং শর্টস সাদা তারা সুতারিয়াকে আরও লাবণ্যময় করে তুলেছিল। তার এই পোষাকের সঙ্গে কাল জুতো খুব খুব মানানসই হয়েছিল এবং তার রূপকে সম্পূর্ণ করে তুলেছিল।
View this post on Instagram
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
History of High Heels: নারী নয় বরং পুরুষদের জন্যই তৈরি হয়েছিল হাই হিল জুতো! অবাক করবে হাই হিলের ইতিহাস
Origin of High Heels: জুতো এবং আরও বিশেষ করে হিলওয়ালা জুতো এখন ফ্যাশনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে উঠেছে। পেনসিল হিল হোক বা ফ্ল্যাট হিল, উচ্চতা বাড়িয়ে তোলা এই হাই হিলের চাহিদা সবসময়ই তুঙ্গে থাকে। ফ্যাশন দুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই জুতো। তবে জানলে অবাক হবেন, হিলওয়ায়া জুতো কিন্তু মহিলাদের জন্য নয়, মূলত পুরুষদের জন্যই ডিজাইন করা হয়েছিল।
হাই হিলের জন্মের উত্স খুঁজতে হলে যেতে হবে ১৫ শতকের পারস্যে বা আধুনিককালের ইরানে। ঐতিহাসিকরা জানিয়েছেন, মূলত সৈন্যরা তাদের পা রক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য হাই হিল পরত। সেই সময়ে ঘোড়াই ছিল প্রাথমিক বা একমাত্র পরিবহণের মাধ্যম। শুধু তাই নয়, সামরিক অভিযানের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল ঘোড়া। তাই ঘোড়ায় চড়ে যাতায়াত বা যুদ্ধ দুইয়ের উদ্দেশ্যেই হাই হিল পরা পুরুষদের জন্য আবশ্যিক হয়ে ওঠে। হাই হিল পুরুষদের পা আটকে রাখতে সাহায্য করত এবং পাদানিতে দাঁড়ানোর প্রয়োজন হলে ভারসাম্যও বজায় রাখত।
আরও পড়ুন- এবার বদলে যেতে চলেছে লখনউয়ের নাম? নতুন নাম নিয়ে যোগীর ট্যুইটে শুরু জোর জল্পনা!
#39 High heels were invented for men in the 15th century. Soldiers usually wore it to look taller and more formidable. pic.twitter.com/2KM3XumUNi
— Miran Jaff (@miranburhan97) June 4, 2020
পারস্যের লোকজন যখন ইউরোপে পাড়ি দেয় তাঁদের সঙ্গেই হিল জুতোর ব্যবহারও ইউরোপের সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ে। ডেইলি আর্ট ম্যাগাজিনের মতে, বাটা শু মিউজিয়ামের পরিচালক এবং সিনিয়র কিউরেটর এলিজাবেথ সেমেলহ্যাক জানিয়েছেন, পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং পারস্যের শাসক শাহ আব্বাসের (১৫৮৮-১৬২৯) এর মধ্যে মিত্রতার পর ১৬ শতকে ইউরোপীয় পুরুষদের মধ্যে হাই হিলের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়। সেই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অশ্বারোহী বাহিনী ছিল শাহ আব্বাসের এবং সৈন্য ও যুদ্ধের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে হাই হিলকে বেশ পুরুষালি হিসেবে দেখা হত সেই সময়।
মধ্যযুগের অনেক চিত্রশিল্পেই দেখা যায় পুরুষ অভিজাতরা উঁচু হিল পরতেন যাতে তাঁদের আরও লম্বা এবং আরও শক্তিশালী দেখায়। Hyacinthe Rigaud-এর আঁকা পঞ্চদশ লুইয়ের প্রতিকৃতিতে দেখা যায় একটি কমলা রঙের ব্লক হিল জুতো পরে লম্বা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। ভেনিস এবং ইতালিতেও পুরুষ অভিজাতরা হাই হিল পছন্দ করতেন।
?- “Joyeuse”, the french coronation sword
“Joyeuse” is the name of Charlemagne’s sword in the Chanson de Roland, and also the name of a sword used during the coronation of the kings of France since the 13th century.
?- Portrait of Louis XIV (1702) by Hyacinthe Rigaud pic.twitter.com/CfEzijikSG
— ????? ??? ???? ?? ?????? (@SalonDesArtsOff) June 30, 2020
আরও পড়ুন- দেখুন ভিডিও: ছেড়ে গিয়েছে মা, কুকুরের কাছে বড় হচ্ছে বাঘের তিন ছানা!
তবে আধুনিককালে হিলের ব্যবহার বদলেছে। ফ্যাশনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হাই হিল। রিহানা, কিম কার্দাশিয়ান, বেলা হাদিদ এবং ইরিনা শাইকের মতো সেলিব্রিটিদের হাত ধরে ২০২২ সালে ফ্যাশনে ফিরেছে স্ট্র্যাপি হিল। স্কোয়ার-টো স্যান্ডেলের জনপ্রিয়তার কৃতিত্ব জুতো ডিজাইনার আমিনা মুয়াদ্দির। আর আরাম চাইলে ব্লক হিলও হতে পারে আপনার জন্য সেরা।