ভোট দেওয়ার পর ভোটারকে দেওয়া হচ্ছে রসগোল্লা

Nadia News: ভোট দিলেই মিলবে ইয়া বড় পাঁচটি রসগোল্লা! ৮০ বছরের নির্বাচনে এটাই ঐতিহ্য

শান্তিপুর: এক রাজনৈতিক দলের পাউরুটি কলা, অন্য জনের ঘুগনি কিংবা আলুর দম আর লুচি রাজনৈতিক সৌজন্যতায় মিলেমিশে এক হত একসময়। এখনও গ্রামগঞ্জে এই রকম দৃষ্টান্ত একেবারে হারিয়ে যায়নি। এরখমই এক ভোটকেন্দ্রে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই দেখা মিলল বেনজির দৃষ্টান্ত। কে জিতল কে হারলো সেটা বড় কথা নয়, কাকে ভোট কে দিল সেটাও বড় নয়, যাকে খুশি ভোট দিলেই মিলবে ইয়া বড় ২০ টাকা দামের পাঁচটি রসগোল্লা!

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের ৭ জেলায় ভয়ঙ্কর হড়পা বানের আশঙ্কা! সতর্ক করল হাওয়া অফিস

নদিয়ার শান্তিপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৪৪ সালে। সে সময় থেকেই এই আভ্যন্তরীণ পরিচালন কমিটির ভোট হয়ে আসছে। তবে মাঝে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল বিভিন্ন কারণে। তবে ভোটারদের মিষ্টি খাওয়ানো সেই আমল থেকে আজ পর্যন্ত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে তবে সেই সময় পাঁচটি মিষ্টির দাম ছিল দু পয়সা। শান্তিপুরের তাঁতিদের নিয়ে এই সমবায় সদস্য ছিল ৩৮০ জন যা বর্তমানে ১১৩। সদস্যদের মধ্য থেকেই কুড়ি জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতেন। যার মধ্যে নয় জনকে বেছে নেওয়া হত পরিচালন কমিটির সদস্য হিসাবে, তারাই পরবর্তীতে বসে সভাপতি, সম্পাদক, কোষাধক্ষ্য, গুরুত্বপূর্ণ পদ বণ্টন করে নিতেন নিজেদের মধ্যে।

আরও পড়ুন: পলিগ্রাফে রাজি হলেও নার্কো টেস্টের অনুমতি দেয়নি সঞ্জয়! কেন আলাদা এই দুই পরীক্ষা?

তিনি জানাচ্ছেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এবং নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল সেই মর্মে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আবেদন জমা দেন ২০ জন। ইতিমধ্যেই ভোটার লিস্ট অর্থাৎ সদস্যদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবারের ভোটে মৃত ভোটারের সংখ্যা চার। এখানে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত নির্বাচন হয়।”

অন্যদিকে হ্যান্ডলুম দফতরের মাধ্যমে সোসাইটির তত্ত্বাবধানে তাঁতিদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে থাকে সরকার। এখানে সকল শেয়ার হোল্ডার সমিতির সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মালিক। সারা বছর বিভিন্ন কাজকর্ম চালানোর জন্য পাঁচ বছর অন্তর হয় সাধারণ নির্বাচন।