পূর্ব বর্ধমান: সামনেই দুর্গাপুজো, আর পুজো এগিয়ে আসতেই দেদার বিক্রি হচ্ছে কাটোয়ার টিনেরঢাক। রাজ্যের সমস্ত জেলার পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডেও পাড়ি দিচ্ছে এই লোহার তৈরি ঢাক৷ তবে শুধু ভিন রাজ্য নয়, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার এই টিনের ঢাক পৌঁছে গিয়েছে বিদেশের মাটিতেও। কাটোয়ার এই টিনেরঢাক দেশ বিখ্যাত! রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ী এবং ঢাকিরা প্রতি বছর পুজোর সময় কাটোয়া শহরে এসে এই ঢাক কিনে নিয়ে যান। দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, বীরভুম, মুর্শিদাবাদ, হুগলি বিভিন্ন জেলাতে নিয়ে যাওয়া হয় এই ঢাক। বাংলাদেশেও পাড়ি দিয়েছে এই টিনেরঢাক।
আরও পড়ুন: পদধূলি পড়েছিল ওয়ারেন হেস্টিংসের! ৩৫৯ বছরের পুজো আজও সেরা আভিজাত্যে
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মাধবীতলা এলাকায় উত্তম দাস নামের এক ঢাক ব্যবসায়ী আছেন। তিনি নিজেকে এইঢাকের আবিষ্কারক বলে দাবি করেন। তবে তিনি হটাৎ কেন এরকমঢাক তৈরি করলেন? এর পিছনে একটা কারণ আছে। উত্তম দাস এই বিষয়ে জানিয়েছেন, আমার বাড়িতে বিশ্বকর্মা পুজোতে একজন বয়স্ক মানুষ ঢাক বাজাতে আসতেন। তিনি প্রথম বলেছিলেন যে একটা টিনের ঢাক বানিয়ে দিতে। কারণ কাঠের কাঁধে নিয়ে বাজাতে তার কষ্ট হত। সেই সময় আমি টিনের ঢাক প্রথম বানানোর চেষ্টা করি। তবে প্রথমে ভালোনা হলেও পরবর্তিতে কদর বেড়েছে।
টিনের ঢাক প্রস্তুতকারীদের একাংশ জানান, এবার টিনেরঢাকের চাহিদা বেশ ভালো। কাঠের চেয়ে ওজনে হালকা হওয়ায় এইঢাকের চাহিদা বেড়েছে রাজ্যে। উত্তম দাস জানিয়েছেন এইবছর এখনও পর্যন্ত তিনি ৩,৫০০-এর বেশি টিনেরঢাক বিক্রি করেছেন। পুজোর আগে আরও ঢাক বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করে রয়েছেন। কাঠের ঢাকের থেকে এই টিনেরঢাকের দামও অনেক কম ।
বর্তমানে একটা কাঠের ঢাক কিনতে গেলে দাম পড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেখানে টিনেরঢাকের খরচ মাত্র ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। দাম কম হওয়ার কারণে এবং ওজনে হালকা হওয়ার জন্য প্রতিবছরের মতএবারেও ব্যাপক চাহিদা টিনেরঢাকের।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী