বাগানিয়ার বাজার

Alternative Income: ‘বাগানিয়ার বাজার’ চা বাগানের মহিলাদের মাথা তুলে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের ফসল

আলিপুরদুয়ার: আগে থেকেই নিজের হাতে বিভিন্ন সংস্কৃতির পোশাক তৈরি করতেন। এবারে নিজেদের তৈরি সেই পোশাক বিক্রির দোকান দিলেন মধু চা বাগানের মহিলারা। নাম দিয়েছেন ‘বাগানিয়ার বাজার’।

স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষে প্রথমে জৈবসার তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন মহিলারা। জৈব সারের ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করার পর তাঁরা শুরু করেন গয়না তৈরির কাজ। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন সংস্কৃতির নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাক তৈরির কাজ। চা বলয়ের আদিবাসি সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের পোশাক তৈরির কাজ শুরু করেন মহিলারা। সেই পোশাক নিয়ে তাঁরা বিভিন্ন প্রদর্শনীতেও যান। সেইসব জায়গায় ভাল সাড়াও পেয়েছিলেন।

আর‌ও পড়ুন: দিদিকে বলো-তে এক ফোনেই সমাধান, ছুটে এলেন মন্ত্রী

এবার স্থায়ী দোকানের ভাবনা থেকেই হাসিমারা এলাকায় শুরু করেছেন বাগানিয়ার বাজার। এই বিষয়ে মধু বাগানের সমবায় সমিতির সম্পাদিকা কণিকা ধানওয়ার বলেন, বর্তমানে আমাদের সমতিতে ১০২ জন সদস্যা রয়েছেন। সকলেই মধু চা বাগানের। এই বাগানের কাজে সীমাবদ্ধ না থেকে বিকল্প আয়ের খোঁজে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছি।সম্প্রতি সরকারি সহায়তায়’ বাগানিয়ার বাজার’ শুরু করেছি।

ডুয়ার্সে এই প্রথম আদিবাসি সহ নানান সম্প্রদায়ের পোশাক বিক্রির জন্য এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মধু চা বাগানের মহিলাদের।
বাগানের শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাতে শুধু চা বাগানের ওপর নির্ভর করে না থাকে, বিকল্প আয়ের পথও যাতে বেছে নেয়, সেই লক্ষ্যে গত এক বছর আগে বাগানের বেশ কিছু শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা মিলে সমবায় সমিতি তৈরি করেন। সেই সমিতির হাত ধরেই ধীরে ধীরে ছবিটা বদলাচ্ছে।

অনন্যা দে