ফুলিয়া: সিভিক ভলেন্টিয়ারের তৎপরতায় প্রাণ ফিরে পেলেন এক যুবক। যখন রাজ্যে পুলিশের সহায়তায় সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চরমে, তখন সেই সিভিক পুলিশের তৎপরতাতেই প্রাণে বাঁচলেন এক যুবক। সূত্রের খবর, নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে কর্তব্যরত আধিকারিক মনিরুজ্জামান গত ২০ তারিখ মধ্যরাতে খবর পায় ফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা এক যুবক মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে কোনও ভুল পদক্ষেপ করতে চলেছে। এর পরই ফুলিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত দুই সিভিককে বিষয়টি দেখতে পাঠান ফুলিয়া ফাঁড়ির পুলিশ।
আরও পড়ুন- এটিই পৃথিবীর শেষ রাস্তা, এরপর দুনিয়া শেষ! ভুলেও একা যাবেন না, কারণ জানলে শিউরে উঠবেন!
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই সিভিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন এক যুবক। আর এর পরই উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে তড়িঘড়ি দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ওই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় ফাঁস মুক্ত করে বুকে পাম্প করে ও মাউথ ব্রিথিং পদ্ধতি অবলম্বন করে জ্ঞান ফিরিয়ে আনে। পরে তড়িঘড়ি ওই যুবককে প্রথমে ফুলিয়া হাসপাতাল ও পরে নদিয়া রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সুস্থ আছেন ওই যুবক। একদিকে যখন সিভিক এর উপস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশ্ন তুলছে এক শ্রেণীর মানুষ, তখন দুই সিভিক এর উপস্থিত বুদ্ধি ও তৎপরতায় এক যুবকের প্রাণ রক্ষার ঘটনা এক অন্য নজির সৃষ্টি করল।
তবে পুলিশের এই ভূমিকায় কুর্নিশ জানিয়েছে পরিবার, পাশাপাশি মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে যুবক, আর এই প্রসঙ্গেই মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দিলেন রানাঘাট পুলিশ জেলার এসডিপিও সবিতা গোটেয়াল, তিনি জানিয়েছেন, দিনরাত ২৪ ঘন্টা পুলিশ কর্মীরা মানুষের সেবায় কাজ করে থাকেন। বর্তমানে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য বিশেষ ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে, আগামী দিনে তারা আরও যদি প্রশিক্ষিত হতে পারে তাহলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস পাবে এই ভলেন্টিয়াররাই।
মৈনাক দেবনাথ