শিলিগুড়ি: পর্যটকদের জন্য দারুন খবর। এবার উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাজলডোবা যাওয়া যাবে আরও তাড়াতাড়ি। ভোরের আলো’র পথে ক্যানাল রোডে সেতু সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো। এতদিন সেই ‘ভোরের আলো’য় পৌঁছতে নাজেহাল হতে হচ্ছিল পর্যটক সহ গ্রামবাসীদেরও।
প্রায় ২ বছর আগে, সাহুডাঙি থেকে গাজোলডোবা যাওয়ার পথে করতোয়া সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর সেই সেতু সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন থমকে ছিল। বিকল্প পথ হিসেবে সকলে আমবাড়ি হয়ে গাজোলডোবায় যাচ্ছিলেন। কেউবা নদী পার করে জঙ্গল হয়ে শহরে যাতায়াত করতেন। তবে সেই পথে যাওয়াটাও নিরাপদ নয়।
আরও পড়ুন: নেতাজিকে প্রণাম করে সুভাষগ্রামে প্রচারে সৃজন
আমবাড়ি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেট থাকায়, সেখানে দীর্ঘক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ। এবিষয়ে বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা মিলছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে অবশেষে করতোয়া সেতুর পাশে ডাইভারশন তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ডাইভারশন খুলে দিলেই এই রাস্তা দিয়ে ‘ভোরের আলো’ আরও তাড়াতাড়ি যাওয়া যাবে। স্থানীয় বাসিন্দা ভগবান সিংহ জানান, এই সেতু সংস্কারের কাজ বহুদিন ধরে আটকে ছিল। ফলে যাতায়াতে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেহেতু কোনও বড় গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না, তাই শুধুমাত্র বাইক নিয়েই পারাপার করা যায়। তবে গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে এই রাস্তা তৈরি হলে অনেকটাই সুবিধা হবে।
ব্রিজের কর্মরত সুপারভাইজার শরৎ চৌধুরি বলেন, বিগত এক বছর ধরে আমরা এই ব্রিজ মেরামতির কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। গজলডোবা যাওয়ার পথে করোতোয়া এবং নিম দুটি সেতু পরে। এই দুইটি সেতুর অবস্থাই খুব একটা ভাল নয়। তাই ডাইভারশন তৈরির কাজ চলছে। আগামী সাত দিনের মধ্যেই এটি খুলে দেওয়া যাবে। ডাইভারশন দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করা শুরু হলে পাশ দিয়ে নতুন ব্রিজ তৈরি করা হবে। অন্যদিকে গাজলডোবা ঘুরতে যাচ্ছিলেন শঙ্কর মাহাত। তিনি বলেন, এই ব্রিজটা তৈরি হয়ে গেলে সত্যিই আমাদের খুব সুবিধা হবে। নয়ত আমবাড়ি দিয়ে ঘুরে যেতে অনেকটাই সময় লাগে, মাঝে রেল ব্রিজ পড়ায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই ডাইভারশন দিয়ে যাতায়াতটা শুরু হলে অন্তত আধা ঘন্টা সময় বাঁচবে।
অনির্বাণ রায়