Tag Archives: Tourist

Rasikbeel Mini Zoo: মা হয়েছে রিমঝিম ও গরিমা, নতুন সদস্যদের দেখতে পর্যটকদের ভিড় রসিকবিলে

কোচবিহার: জেলার একমাত্র মিনি চিড়িয়াখানা এই রসিকবিল মিনি জু। দীর্ঘ সময় এখানে দুই চিতাবাঘ ছিল। তবে গত বছর এই চিড়িয়াখানায় কয়েকটি নতুন চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়। চলতি বছরের শুরুতেই এই চিড়িয়াখানায় দুই চিতাবাঘ রিমঝিম ও গরিমা নতুন শাবকের জন্ম দিয়েছে। এই প্রথম রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রে চিতাবাঘের এনক্লোজারে রিমঝিম ও গরিমার কোল আলো করে জন্ম হয়েছে সাতটি ফুটফুটে শাবকের। এই কারণেই খুশির আমেজ রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রে। নতুন শাবকদের নিয়ে রসিকবিল মিনি চিড়িয়াখানায় চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২টি।

কোচবিহার বন বিভাগের এডিএফও বিজনকুমার নাথ জানান, রিমঝিমের চারটি ও গরিমার তিনটি সন্তান হয়েছে৷ মা ও সন্তানরা সকলেই সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসকরা সবসময় ওদের উপর নজরে রাখছেন৷ গত ২ এপ্রিল তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছিল গরিমা ও ১৪ এপ্রিল রিমঝিম আরও চারটি সন্তানের জন্ম দেয়। আপাতত দুটি নাইট শেল্টারে মা ও তাদের সন্তানদের আলাদাভাবে রাখা হয়েছে৷ এনক্লোজারের বাকি তিন পুরুষ বাঘ যাতে কোনওভাবেই তাদের বিরক্ত না করে সেদিকে খেয়াল রাখছেন বনকর্মীরা৷

আরও পড়ুন: বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে সুন্দরবনে বায়ো ভিলেজ, গড়ে উঠছে মডেল গ্রাম

তিনি আরও জানান, এদিকে এনক্লোজারে যে নাইট শেল্টারে সদ্যোজাতরা সহ রিমঝিম ও গরিমা রয়েছে সেদিকে যাতে পর্যটকরা যাতায়াত না করেন সেজন্য এনক্লোজারের একদিক উঁচু করে ঢেকে রাখা হয়েছে৷ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিতাবাঘ দুটির খাদ্য তালিকায় বদল আনা হয়েছে। সদ্যোজাতদের মাতৃদুগ্ধ পান করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পরিবর্তন। তাই চিতাবাঘ দুটিকে আগে একবেলা মাংস খাওয়ানোর নিয়ম থাকলেও, এখন দু’বেলা মাংস খাওয়ানো হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেই সঙ্গে মাংসের সুপ জাতীয় খাবার, ভিটামিন এসব দেওয়া হচ্ছে।

সার্থক পণ্ডিত

Lok Sabha Election 2024: সম্ভাবনা থেকেও পর্যটন মানচিত্রে নেই দাঁতন, ভোটের আগে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবাসীর নতুন দাবি

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটের সময় সর্বত্র জোরকদমে প্রচার চলছে। এই সময় রাজনৈতিক দলগুলো আমজনতা কী চাইছে সেই দিকে নজর দেয়। কিন্তু বাংলা-ওড়িশা সীমান্তের এই বাসিন্দারা কী চাইছে সেদিকে সকলের নজর আছে কি? আসুন এই প্রতিবেদনে প্রতিবেশীর রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত বাংলার নাগরিকদের দাবিদাওয়ার দিকে নজর দেওয়া যাক।

বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকা দাঁতন। এখানকার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন। দাঁতনে রয়েছে ঐতিহাসিক মোগলমারি বৌদ্ধবিহার, রয়েছে প্রাচীনতম শ্যামলেশ্বর মন্দির, রয়েছে দাঁতনের প্রাচীন মুনসেফ কোর্ট সহ নানান প্রাচীন স্থাপত্য। কিন্তু ক্রমে তা ধ্বংসাবশেষে পরিণত হচ্ছে। বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকা পর্যটন মানচিত্রে এক অন্যতম দিশা, লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের দাবি দ্রুত দাঁতনকে আনতে হবে পর্যটন মানচিত্রে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের শুধু নয়, ভারতবর্ষের পর্যটনে নতুন দিশা দেখাবে।

আর‌ও পড়ুন: শিক্ষকদের নিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন শান্তিরাম

পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকায় রয়েছে দাঁতন। দাঁতন শুধু একটি প্রান্তিক এলাকার শহর নয়, বিখ্যাত প্রাচীন ইতিহাস কেন্দ্র হিসেবেও। রয়েছে বেশ কয়েকশো বছরের পুরানো ঐতিহাসিক মোগলমারী বৌদ্ধবিহার। তার পাশেই অবস্থিত প্রাচীন রাজবাড়ি। রয়েছে মানব সৃষ্ট বিশালাকার শরশঙ্কা দিঘি। স্বাভাবিকভাবে পর্যটনের এক নতুন ডেস্টিনেশন হওয়ার যাবতীয় উপাদান নিয়ে অবস্থান করছে দাঁতন।

বেশ কয়েকবার দাঁতনকে কেন্দ্র করে সার্কিট টুরিজমের চিন্তা ভাবনা নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীদের দাবি দাঁতনকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে হবে পর্যটনের নতুন ক্ষেত্র। যেখানে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসবেন জানতে পারবেন দাঁতনের ইতিহাস। শুধু তাই নয়, বাড়বে কর্মসংস্থানও। প্রসঙ্গত বছরখানেক আগেই এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের টুরিস্ট গাইডের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বাকি পরিকাঠামো গড়ে না ওঠায় বিশেষ একটা লাভ হয়নি।

রঞ্জন চন্দ

Bangla Video: পর্যটক টানতে বড় সিদ্ধান্ত এই পুরসভার, থাকবে বোটিং-এর ব্যবস্থা

আলিপুরদুয়ার: শহরের সাতটি ঝিল ও তার আশেপাশের এলাকা সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই পুরপ্রধানের উদ্যোগে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। সংস্কারের পর শহরের ঝিলে করা হবে বোটিং-এর ব্যবস্থা।

বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ আসছিল, আলিপুরদুয়ার পুরসভার জলাশয়গুলো দখল করে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ কর জানান, কোনও জায়গায় ঝিল দখল হলে সেগুলো দখলমুক্ত করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ঝিলগুলির সৌন্দর্যয়ন করা হবে। সেগুলির স্বচ্ছতা ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: সকালে দোকানে কাজ করে রাত জেগে পড়া, উচ্চমাধ্যমিকে ৯০% পেয়ে চমক অনুজা’র

আলিপুরদুয়ার শহরের ঝিলগুলি সংস্কারের জন্য রাজ্য পরিবেশ দফতরের কাছে দ্রুত বরাদ্দ চেয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। পরিবেশ দফতরের আধিকারিকরা এসে খতিয়ে দেখেছেন ঝিলের পরিস্থিতি। পুর এলাকার ঝিলগুলি কচুরিপানা ও জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। আবার কোনও কোনও জলাশয় মাটি দিয়ে বুজিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
অভিযোগ, পুরসভার ময়লা ফেলার স্থায়ী ভাগাড় না থাকায় কোনও কোনও ঝিলে আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে। এর ফলে ঝিলগুলি দূষিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সহ কয়েকটি ঝিলে শীতের মরশুমে পরিযায়ী পাখিরাও দলে দলে আসত। এখন আর তার দেখা মেলে না। সেজন্য স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরাও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি ১, ৮, ৯, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা সাতটি বড় ঝিলের দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল। অবশেষে তাতেই সিলমোহর পড়ল।

অনন্যা দে

Bangla Video: পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! এবার ঘুরতে গিয়ে আর‌ও সুবিধা

শিলিগুড়ি: পর্যটকদের জন্য দারুন খবর। এবার উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাজলডোবা যাওয়া যাবে আরও তাড়াতাড়ি। ভোরের আলো’র পথে ক্যানাল রোডে সেতু সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো। এতদিন সেই ‘ভোরের আলো’য় পৌঁছতে নাজেহাল হতে হচ্ছিল পর্যটক সহ গ্রামবাসীদেরও।

প্রায় ২ বছর আগে, সাহুডাঙি থেকে গাজোলডোবা যাওয়ার পথে করতোয়া সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর সেই সেতু সংস্কারের কাজ দীর্ঘদিন থমকে ছিল। বিকল্প পথ হিসেবে সকলে আমবাড়ি হয়ে গাজোলডোবায় যাচ্ছিলেন। কেউবা নদী পার করে জঙ্গল হয়ে শহরে যাতায়াত করতেন। তবে সেই পথে যাওয়াটাও নিরাপদ নয়।

আরও পড়ুন: নেতাজিকে প্রণাম করে সুভাষগ্রামে প্রচারে সৃজন

আমবাড়ি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেট থাকায়, সেখানে দীর্ঘক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বলে অভিযোগ। এবিষয়ে বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা মিলছিল না বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে অবশেষে করতোয়া সেতুর পাশে ডাইভারশন তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ডাইভারশন খুলে দিলেই এই রাস্তা দিয়ে ‘ভোরের আলো’ আরও তাড়াতাড়ি যাওয়া যাবে। স্থানীয় বাসিন্দা ভগবান সিংহ জানান, এই সেতু সংস্কারের কাজ বহুদিন ধরে আটকে ছিল। ফলে যাতায়াতে নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেহেতু কোন‌ও বড় গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারে না, তাই শুধুমাত্র বাইক নিয়েই পারাপার করা যায়। তবে গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে এই রাস্তা তৈরি হলে অনেকটাই সুবিধা হবে।

ব্রিজের কর্মরত সুপারভাইজার শরৎ চৌধুরি বলেন, বিগত এক বছর ধরে আমরা এই ব্রিজ মেরামতির কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। গজলডোবা যাওয়ার পথে করোতোয়া এবং নিম দুটি সেতু পরে। এই দুইটি সেতুর অবস্থাই খুব একটা ভাল নয়। তাই ডাইভারশন তৈরির কাজ চলছে। আগামী সাত দিনের মধ্যেই এটি খুলে দেওয়া যাবে। ডাইভারশন দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করা শুরু হলে পাশ দিয়ে নতুন ব্রিজ তৈরি করা হবে। অন্যদিকে গাজলডোবা ঘুরতে যাচ্ছিলেন শঙ্কর মাহাত। তিনি বলেন, এই ব্রিজটা তৈরি হয়ে গেলে সত্যিই আমাদের খুব সুবিধা হবে। নয়ত আমবাড়ি দিয়ে ঘুরে যেতে অনেকটাই সময় লাগে, মাঝে রেল ব্রিজ পড়ায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই ডাইভারশন দিয়ে যাতায়াতটা শুরু হলে অন্তত আধা ঘন্টা সময় বাঁচবে।

অনির্বাণ রায়

Tourism: জলদাপাড়া ও বক্সা জঙ্গলজুড়ে দেখা নেই পর্যটকের! কারণ জানালেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা

আলিপুরদুয়ার: এবারে গরমের ছুটিতে পাহাড়মুখী পর্যটকেরা। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার পর্যটন শিল্পে দেখা গিয়েছে ভাটা।

আরও পড়ুনঃ ICSE-তে নজর কাড়া সাফল্য উত্তরবঙ্গের! রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম ওদলাবাড়ির স্বপ্নজিৎ!

জঙ্গলভিত্তিক পর্যটন শিল্প আলিপুরদুয়ারে। তবে শুধু জঙ্গল নয় এখানে এলে দেখা যায় ভুটান পাহাড়ের সৌন্দর্য। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলার চিলাপাতা, রাজাভাতখাওয়া, বক্সা, জয়ন্তী, জলদাপাড়া পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এলাকায় যেমন পর্যটকদের থাকার হোটেল রয়েছে, তেমনই রয়েছে হোমস্টে। এলাকার বাসিন্দারা দুটো টাকা লাভের আশায় এই হোমস্টের ব্যবসা চালাচ্ছেন। সমস্তরকমের সুবিধা থাকে হোমস্টে গুলিতে।

প্রতিবছর গরমের ছুটিতে প্রচুর পর্যটকদের আগমন হয় ডুয়ার্সে। এবার আর দেখা নেই পর্যটকদের। হাতে গোনা পর্যটকদের দেখে মন ভরছে না পর্যটন ব্যবসায়ীদের। পর্যটক না দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তাঁদের অনুমান অত্যাধিক গরমের কারণে কেউ আসতে চাইছে না ডুয়ার্স-এ। এবছর অতিরিক্ত গরম পড়ায় সব পর্যটক পাহাড় মুখো হচ্ছে ডুয়ার্সে আসছে না পর্যটক। এমনকী পর্যটকদের পছন্দের জায়গা চিলাপাতাতে পর্যটকদের দেখা নেই। ভোট, গরমের ছুটি একসঙ্গে শুরু হওয়ার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জুন মাসের মাঝে বর্ষার কারণে বন্ধ হয়ে যাবে জঙ্গল। পর্যটক তখন এমনিও আসবে না বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

বক্সাতেও এক ছবি। পর্যটন ব্যবসায়ী লাল সিং ভুজেল জানান, “বক্সার পর্যটন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বন দফতর এক একসময় এক এক আইন লাগু করছে। আগে জয়ন্তী পর্যটকরা নিজেদের গাড়ি নিয়ে যেত এখন সেটা নিয়ে যেতে পারে না। প্যাকেজ ট্যুরিজম পর্যটকদের পছন্দ নয়।” গরমের ছুটিতে কী ব্রাত্য থেকে যাবে আলিপুরদুয়ার পর্যটন? উঠছে প্রশ্ন।

Annanya Dey

Historical Tourism: বখতিয়ার খলজির লুণ্ঠনের চিহ্ন থেকে হোসেন সাহেবের কাছারি, সব থেকেও পর্যটনে নেই এই জেলা

উত্তর দিনাজপুর: বাংলার এই জেলায় তেমন উল্লেখযোগ্য কোন‌ও পর্যটন কেন্দ্র নেই, যা কিছুটা ব্যতিক্রম বৈকি। তবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও শুধুমাত্র পরিকল্পনার অভাবে আজও অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির, জমিদার বাড়ি এমনকি সর্বোপরি কুলিক পক্ষী নিবাস।

উত্তর দিনাজপুর জেলায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান আছে। পুরনো জমিদার বাড়িগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক নিদর্শন আছেন। তা নিয়ে ইতিহাসের গবেষকদের পাশাপাশি সাধারণ পর্যটকদের একাংশেরও বেশ কৌতুহল আছে। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবের কারণে এইসব নিদর্শন সাধারণ মানুষ তথা পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। জেলা সংগ্রহালয়ে সংগৃহীত শিলালেখ, স্তম্ভ লেখ, তাম্রলেখ, প্রাচীন প্রত্নসম্পদগুলি আজও মানুষের থেকে বহু দূরে। শুধুমাত্র কুলিক পাখিরালয়ের উপর ভরসা করে দাঁড়িয়ে রয়েছে জেলার পর্যটন। তাও সেটা যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিকাশ ঘটানো হয়নি বলে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ।

আর‌ও পড়ুন: ইংরেজ আমলে ছিল রেলের সদর দফতর, আজ সেই স্টেশনে ‘ঘুঘু’ চড়ে

পর্যটকদের আকর্ষণ করার মত নানাবিধ সম্ভারে ভরপুর রায়গঞ্জ সহ গোটা জেলা। এখানেই রয়েছে ইটাহার থানা এলাকার দুর্গাপুর এবং চুরামন এলাকায় রয়েছে প্রাচীন জমিদার বাড়ি। ৫০০ বছরের পুরনো শিব মন্দির। এই এলাকাগুলিতে এখনও জমিদার ভূপালচন্দ্র রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি এবং জগৎবল্লভ রায় চৌধুরীর বাড়ির ধ্বংসাবশেষ বর্তমান। এছাড়াও রায়গঞ্জ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে বাহিন এলাকায় অবস্থিত জমিদার ঈশ্বরচন্দ্র রায় চৌধুরীর জমিদার বাড়ি। নাগর নদীর তীরে এই সাবেক বাড়ি আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। এছাড়া এই জেলায় রয়েছে বিন্দলের ভৈরবী মন্দির, মহানন্দা ও সুই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে রাজা রাম পালের রাজধানীর আমাতির ধ্বংসাবশেষ, কালিয়াগঞ্জে বক্তিয়ার খলজির দ্বারা লুণ্ঠিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধমঠ।

এছাড়াও জেলায় রয়েছে হোসেন শাহের কাছারি বাড়ি, পাঁচ ভাইয়া এলাকায় রংপুরের রাজা গোপাল লালের দ্বিতল কাছারি বাড়ির মতন নানান ঐতিহাসিক স্থান। এছাড়াও রয়েছে অসুরাগরের আকবরের শাসনকালের বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু এইসব অঞ্চলের বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি আজ দেখাশোনা ও জন সচেতনতার অভাবে প্রতিদিন একটু একটু করে হারিয়ে যেতে বসেছে। জেলার ভ্রমণপিপাসু মানুষদের মধ্যে অনেকেই আক্ষেপ প্রকাশ করেন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক পর্যটনের স্থান রয়েছে যেসব এলাকায় পর্যটনের কোন‌ও সম্ভাবনাই ছিল না। তবুও শুধুমাত্র সঠিক পরিকল্পনা থাকার ফলে আজ সেই সব এলাকাগুলির দেশের পর্যটনের মানচিত্রে নিজেদের আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলায় এতকিছু ঐতিহাসিক স্থান থাকার পরেও পর্যটনের দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। সঠিক পরিকল্পনা করলে পর্যটনের হাত ধরে রাজ্যের এই অন্যতম পিছিয়ে পড়া জেলার আর্থিক মানচিত্রটাই বদলে যেতে বলে তাঁদের অভিমত।

আর‌ও পড়ুন: তীব্র গরমে বিধ্বস্ত ডুয়ার্সের চা শিল্প, ভবিষ্যৎ নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন

জানা যায় ২০০৪ সালে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া তে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে জেলা সংগ্রাহালয় প্রস্তুত করা হলেও পর্যটক এর অভাবে আজ সেই সংগ্রহলয়টি ধুঁকছে। জেলের মানুষই তেমনভাবে এখনও জানেন না সংগ্রাহালয়টির অস্তিত্ব সম্পর্কে। তাই জেলার ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে উত্তর দিনাজপুর জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

পিয়া গুপ্তা

European Tourist: শিংওয়ালা হাতি! কাজিরাঙা’কে ভালবেসে ইউরোপীয় পর্যটকের শরীরজুড়ে ইউনিকর্নের ট্যাটু

নিজস্ব প্রতিবেদন: একশৃঙ্গ গণ্ডারের জন্য বিশ্বের দরবারে অতি সমাদ্রিত অসমের কাজিরাঙা জাতীয় অভয়ারণ্য। তবে গত কয়েক বছর ধরে বাঘের কারণেও পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে কাজিরাঙা। ফলে প্রতিবছর বহু বিদেশি পর্যটক এখানে ছুটে আসেন। তবে এবার এক অন্যরকম বিদেশী পর্যটকের দেখা মিলল এখানে। কাজিরঙা ও তার পরিবেশের প্রতি মুগ্ধতা থেকে নিজের কল্পনা মিশিয়ে এক অদ্ভুত ধরনের শিংওয়ালা হাতি, গণ্ডারের ট্যাটু পিঠ জুড়ে করেছেন মিত্তিয়াস রোগার নামে ওই সুইডিস পর্যটক।

আর‌ও পড়ুন: রোজ সকালে কাঁচা হলুদের রস খান, ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না এই রোগগুলো

শিংওয়ালা ঘোড়া, হাতি এইসব প্রাণী বিভিন্ন দেশ, জাতির পুরাণে, কল্পনায় যুগ যুগ ধরে জায়গা পেয়েছে। এদের আমরা ইউনিকর্ন বলে জানি। আজও অনেকে বিশ্বাস করেন এই বিশ্বে ইউনিকর্ন সত্যি আছে। যদিও বিজ্ঞান সেই দাবির স্বপক্ষে কথা বলে না। তবে কাজিরাঙার প্রতি ভালোবাসা থেকে সুইডিস পর্যটক মিত্তিয়াস রোগার হাতির ইউনিকর্নের এক বিশাল ট্যাটু এঁকেছেন নিজের গোটা পিঠ জুড়ে।

কাজিরাঙার বিপুল জীববৈচিত্র্য, এখানকার সবুজের মন কেড়ে নেওয়া এবং সামগ্রিকভাবে এই এলাকার পরিবেশ সুইডেনের এই পর্যটকের মনে ভালমত জায়গা করে নিয়েছে। তাই বারবার তিনি কাজিরাঙায় ছুটে আসেন। তবে এবার তাঁর শরীরের এই ট্যাটু সাড়া ফেলে দিয়েছে অসমের উপজাতি ও সেখানে আসা বাকি বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে।

Bihu Festival: চিড়ে, দই, লাড়ু, পিঠে খাওয়ার জন্য এই সময় বিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা!

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহুর সময় অসমে বিদেশি পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যায় প্রতিবেশী রাজ্যটির একেকটি জনজাতি এক এক রকম ভাবে তাদের দেহ উদযাপন করে তার নাম আলাদা রীতিনীতি ও আলাদা। একই উৎসবকে ঘিরে এই বিপুল বৈচিত্র দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। আর এই সময় অসমে এসে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলির স্বাদে মজেন বিদেশি পর্যটকরা। তাঁদের একটা বড় অংশের গন্তব্য হয় কাজিরাঙার একটি বিশেষ গেস্ট হাউস। সেখানে এসে পর্যটকরা ঐতিহ্যবাহী চিড়ে, দই লাড়ু, পিঠে ইত্যাদি দেশীয় খাবারের স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি যাবতীয় অনুষ্ঠান দেখতে পান।

আর‌ও পড়ুন: কুলবুধি নাচ দেখেছেন? হাসিতে ফেটে পড়বেন

বিহুর দিন বর্গাস গেস্ট হাউসের কর্মচারীরা ঐতিহ্যবাহী অসমীয়া পোশাকে সেজে পর্যটকদের সামনে আসেন। এইভাবেই তাঁরা বছরের পর বছর অসমীয়া সংস্কৃতি বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের সামনে তুলে ধরছেন। পাশাপাশি বিহু উপলক্ষে এই গেস্ট হাউসের নানারকম অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

বিহু শুধু অসমীয়দের কাছে ঐতিহ্যবাহী উৎসব বা অনুষ্ঠান নয়। তার হাত ধরে বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকার অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। পর্যটকদের আগমনের ফলে নানান কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষরাও দুটো পয়সা আয় করতে পারছেন। পাশাপাশি অসমের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে আরও দূরদূরান্তে।

Lok Sabha Election 2024: ভোটের মধ্যেই দার্জিলিঙে পর্যটকদের ভিড়

দার্জিলিং: শৈল শহর দার্জিলিং বারংবার পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এরই মাঝে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট। এই দফায় দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হচ্ছে। তবে ভোটের আবহের মধ্যেও বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি পর্যটকদের আনাগোনায়।

সমতলের তীব্র গরম থেকে বাঁচতে বহু পর্যটক এই সময় ছুটছেন পাহাড়ের দিকে। আর এই ছবি ধরা পড়ছে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন এলাকায়। শুক্রবার সকাল থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়েছে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন প্রান্তে। টয় ট্রেন দার্জিলিঙের একটি অন্যতম আকর্ষণ এবং হেরিটেজ।

দার্জিলিঙের এক পর্যটক গরিমা যাদব জানান, তিনি শুধু মুম্বই থেকে এসছেন দার্জিলিঙের পরিবেশকে উপভোগ করতে। ইতিমধ্যেই তাঁরা দার্জিলিঙের টয় ট্রেনে চড়েছেন। তাঁর এবং তাঁর বাচ্চাদের বেশ অনেকটাই আনন্দ হয়েছে টয় ট্রেনে ওঠার পর। আগামী দিনে তাঁরা দার্জিলিং এলে আবারও টয় ট্রেনে চড়বেন।

আর‌ও পড়ুন: সাফাই কর্মীদের জন্য বিরাট আয়োজন! ঠিক কী হল

তবে এই বিষয়টি কিন্তু একেবারেই প্রভাব ফেলেনি পর্যটকদের আনাগোনের মধ্যে। পর্যটকেরা একেবারে নির্বিঘ্নেই ঘুরে বেড়াতে পারছিলেন দার্জিলিঙের বিভিন্ন এলাকায়। মুম্বই থেকে আসা আরেক পর্যটক ঋতুজা যাদব জানান, এখন এখানে বেশ আরাম। বরং শীতের পোশাক পরে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। বিষয়টি তাঁরা বেশ অনেকটাই উপভোগ করছেন। শুধুমাত্র তাঁরাই নয় গরম থেকে বাঁচতে আরও বহু পর্যটক দার্জিলিঙে এসেছেন।

যেখানে ভোটের পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকম বিচ্ছিন্ন ঘটনার ছবি সামনে উঠে আসে। সেখানে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন পর্ব শুরুর সময় থেকেই শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে হচ্ছে। এই বিষয়টি পর্যটকদের জন্য অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে পর্যটকদের। পর্যটকেরা নির্বাচনের মাঝেও নির্বিঘ্নে দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। এবং ঘুরে বেড়াতে পারছেন বিভিন্ন এলাকায়। মূলত এই কারণেই নির্বাচনের দিন সকালেও বহু পর্যটককে দেখা গেল দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে। এছাড়া টয় ট্রেনের স্টেশনে পর্যটকদের বেশ অনেকটাই ভিড় চোখে পড়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

Dooars Resort: এখানে রাখা থাকত বাঘের দুধ! বন্ধ ‘উল্টো ঘর’ আবার খুলবে?

জলপাইগুড়ি: বন্ধ হল ডুয়ার্সের জনপ্রিয় উল্টো ঘরের দরজা। ঘুরতে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে পর্যটকদের। অবশেষে এটি চালু করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কর্ণধার। কিন্তু কেন উল্টো ঘরের দরজা বন্ধ হল জানেন ?

ডুয়ার্সের বানারহাট থানা এলাকায় থাকা ফান সিটি রিসর্ট অর্থাৎ উল্টো বাড়ি তার অভিনবত্বের জন্যে ডুয়ার্সের অন্যতম একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। বাঘের দুধ থেকে শুরু করে উল্টো গাড়ি, উল্টো বাথরুম সহ পর্যটকদের বিভিন্ন মনোরঞ্জন করার সুবন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে। কিন্তু সেখানে অবৈধ কারবার চালানোর অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসীরা। সরকারি জমি দখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাজ থেকে বের করে দেওয়া, কর্মীদের নিয়মিত বেতন না দেওয়া, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের ঘর ভাড়া দেওয়া সহ একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে। এরই পাশাপাশি, রিসর্টে অস্ত্র হাতে ঢুকে কর্মীদের অশ্লীল গালিগালাজ ও ধমক দিয়ে বার করে দেয় দুষ্কৃতীরা।একইসঙ্গে রিসর্টের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ফলে উল্টো ঘর রিসর্ট ও বিনোদন পার্ক বন্ধ হয়ে যায়।

আর‌ও পড়ুন: রোদের মধ্যে রিলস তৈরি করতে গিয়ে কিশোরীর মৃত্যু

যদিও গ্রামবাসীদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন এই রিসর্টের কর্ণধার জিয়াউর রহমান। তিনি আবার দুই রিসর্টটি খুলতে চেয়ে বানারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর জিয়াউরবাবু জলপাইগুড়িতে এসে পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

সুরজিৎ দে