কাজে ব্যস্ত প্যান্ডেল কাপড় শিল্পী

Durga Puja 2024: সামনেই দুর্গাপুজো, চরম ব্যস্ততায় এই শিল্পীরা! দেখুন

কোচবিহার: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। আর এই পুজোকে ঘিরে বাঙালির মধ্যে উন্মাদনা থাকে চরমে। আর পুজো করতে প্রয়োজন হয় বাঁশ আর কাপড় সহযোগে তৈরি প্যান্ডেলের। অতীতে অস্থায়ী বাঁশের ছাউনি আর কাপড়ের ভাঁজেই তৈরি হতো এই প্যান্ডেল। তবে বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়ার পাল্টেছে সেই পুরোনো নিয়ম। এখন দুর্গাপুজো হোক কিংবা হোক কালীপুজো, থিমের লড়াই লেগেই থাকে সর্বত্র। আর এই থিমকে তৈরি করতে প্রয়োজন উন্নত মানের প্যান্ডেল। তবে কতখানি দক্ষতায় যে গড়ে ওঠে এই দৃষ্টিবিলাস সেটা সত্যি অকল্পনীয়। বহু মানুষের রুটি-রুজির নির্ভর করে প্যান্ডেলের কাপড়ের শিল্পের ওপর।

জেলার বেশকিছু বেকার যুবক-যুবতীদের, বৃদ্ধ কারিগরের এই পেশায় কর্মসংস্থান খুঁজে নিয়েছেন। প্যান্ডেল কাপড়ের শিল্পী আমির হোসেন জানান, বেশ কিছুটা সময় হয়েছে তিনি এই কাজ শুরু করেছেন। তবে দুর্গা পুজোর সময় তাঁদের খুবই চাপ থাকে। মূলত তাঁরা যে কাপড় তৈরি করেন। সেই প্যান্ডেলের কাপড় সমস্ত ধরনের প্যান্ডেল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পুজোর আগে প্যান্ডেলের কাপড়ের অর্ডার সাপ্লাই করার প্রচুর চাপ থাকে। শুধু কোচবিহার নয়, জেলার বাইরেও গিয়ে থাকে এই প্যান্ডেলের কাপড়।

আরও পড়ুন: রেল চালকের তৎপরতা! পৃথক দুটি ঘটনায় প্রাণ বাঁচল বন্যপ্রাণের 

এই বিষয়ে সুবল চন্দ্র নন্দী এবং পীযুষ নন্দী জানান, শুধু দুর্গাপুজো নয়। অন্যান্য বিগ বাজটের পুজোর প্যান্ডেলের বরাত‌ও আসে এইসব শিল্পীদের কাছে। জোরকদমে চলে প্যান্ডেলের কাপড় তৈরির কাজ। কোচবিহার থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় যায় তাঁদের বানানো এই কাপড়। এখনও মাঝে মধ্যে রাত জাগতে হলেও, পুজোয় কয়েকদিন আগে থেকে প্রতিদিন রাত জাগতে হয়। তখন চাপ থেকে অনেকটাই বেশি।

বর্তমানে জেলায় এবং বাইরে যেভাবে এই থিম প্যান্ডেলের চাহিদা বেড়েই চলেছে ক্রমশ। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই শিল্পীরা দুর্গা পুজোর সময় বেশ অনেকটাই মুনাফা অর্জন করতে পারেন। বছরের অন্যান্য সময়ে মুনাফার পরিমাণ কম থাকলেও এই সময়ে মুখে হাসি ফোটে শিল্পীদের।

সার্থক পন্ডিত