কোচবিহার: বেশ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে জল বেড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর। প্লাবন পরিস্থিতি ও ভাঙনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বহু এলাকায়। এই কারণে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষীরা। আর এর ফলেই বাজারের কমে গিয়েছে সবজির যোগান। দাম বেড়েছে প্রায় প্রত্যেকটি সবজির। তাই পকেটে চাপ পড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারের এসে সবজি কিনতে ব্যাপক নাজেহাল হচ্ছেন। বৃষ্টি পরিস্থিতি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন সবজি বিক্রেতারা। অন্যদিকে আবার সামনেই জামাইষষ্ঠী।
বাজারের এক সবজি বিক্রেতা দীপক বর্মন জানান, “বৃষ্টির ফলে বাজারে যোগান কমেছে সমস্ত সবজির। তাই জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির। আর বাজারের সবজির দামের এই বৃদ্ধির ফলে বিক্রি কমেছে। বর্তমানে পটলের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, করলার দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৬০ টাকা, ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা, বরবটির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা এবং লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।\”
ক্রেতারা বাজারে এসে সামান্য পরিমাণে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেশি জিনিস কেনার ইচ্ছে থাকলেও দামের জন্য পেরে উঠছেন না। বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা জয়রুল হক জানান, “বেগুনের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, কাকরোলের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, শশার কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা এবং দেশি আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে বৃষ্টি যদি না কমে এই দাম আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে ।”
বাজারে আরেক সবজি বিক্রেতা জয়রুল হক জানান, “বাজারের সবজির দাম শুনে বেশি সবজি কিনতে সাহস পাচ্ছেন না ক্রেতারা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ক্রেতাদের পকেটের মধ্যে আরও অসম্ভব চাপ পড়বে। তবে এই দাম তখনই কমবে যখন বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি না হয়ে একটানা রোদের দেখা মিলবে। যদি বৃষ্টি থাকে তবে দাম আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।” বর্তমান সময়ে বাজারের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে জামাইষষ্ঠী নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অধিকাংশ মানুষেরা।
Sarthak Pandit