![জামাইষষ্ঠীর আগেই ঠাকুরনগর রেলস্টেশন এলাকায় মাত্র দেড়শ টাকায় ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে জামাই! অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/HYP_4484817_screenshot_20240611_164539_video_player_watermark__2.jpg)
![সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক যুবক ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে দুহাতে দুটি আমের থলি নিয়ে ঠাকুরনগর স্টেশন এলাকার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/HYP_4484817_screenshot_20240611_164643_video_player_watermark__1.jpg)
![যুবকের সামনের দিকে বুকে ও পেছনের দিকে পিঠে ঝোলানো রয়েছে দুটি ব্যানার। যেখানে লেখা আছে](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/HYP_4484817_screenshot_20240611_164954_video_player_watermark__5.jpg)
![স্টেশন এলাকায় যুবকের এই কীর্তি দেখে সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীরা সকলেই অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন। অনেকেই আবার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই জামাইকে দেখে রীতিমতো হেসে লুটোপুটি](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/HYP_4484817_screenshot_20240611_165050_video_player_watermark__7.jpg)
![সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল। অনেকেই এই জামাই এর ভিডিও শেয়ার করে জামাই ভাড়া করার প্রস্তাব দিচ্ছেন বিশেষ এই দিনে](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/HYP_4484817_screenshot_20240611_164933_video_player_watermark__6.jpg)
![তবে জানা যায়, ইয়ার্কির ছলেই বন্ধুরা মিলে মশকরা করতে এমন ভিডিও করা হয়েছে। এই কান্ড দেখে আশপাশের মানুষজন কি রিঅ্যাকশন দেয় সেটাই ক্যামেরাবন্দি করা ছিল মূল লক্ষ্য](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/HYP_4484817_screenshot_20240611_164735_video_player_watermark__3.jpg)
পশ্চিম বর্ধমান: উত্তরবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গ এই মুহূর্তে তীব্র গরমে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে। প্যাচপ্যাচে ঘাম নিয়েই এবার জামাইষষ্ঠী সারতে হচ্ছে জামাইদের। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে এবারের জামাইষষ্ঠীর রীতিতে। অনেকেই অনেক চেষ্টা করেও জামাইয়ের জন্য পছন্দসই মিষ্টি কিনতে পারেননি। কারণ এই গরমে মিষ্টি তৈরির কারিগররা ভালভাবে কাজ করতে পারছেন না।
মিষ্টি তৈরির ক্ষেত্রে কারিগরদের সারাক্ষণ প্রবল উত্তাপে জ্বলতে থাকা উনুন বা ভিয়েনের সামনে কাজ করতে হয়। দুধ জাল দেওয়া, সেটাকে ভালমত পাক দিয়ে নির্ধারিত মাত্রায় নিয়ে আসা এই সব কিছুই উনুনে হয়। কিন্তু এই তীব্র গরমে মিষ্টি তৈরির কারিগররা সহজে উনুনের সামনে যেতে চাইছেন না। আর তাতেই জামাইদের পাতে মিষ্টিতে টান পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গাতেই চাহিদা অনুযায়ী মিষ্টি পাননি শ্বশুররা।
আরও পড়ুন: বর্ষা আসতেই জল বেড়েছে তোর্ষায়, দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছে মধুপুর
যে কারণে প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠীতে যে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দোকানগুলিতে পাওয়া যায়, সেখানে এবারে মিষ্টির ভ্যারাইটি অনেক কম। শহরের বিভিন্ন নামিদামি দোকানগুলিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, যেখানে প্রত্যেক বছর জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি বানানো হয়, সেখানে দু-এক রকমের সন্দেশ ছাড়া আর তেমন কিছু নেই। তাছাড়াও জামাইষষ্ঠীর আগে মিষ্টির দোকানগুলিতে যেভাবে লম্বা লাইন দেখা যায়, সেই ছবিটাও এবার যেন অনেকটাই ফিকে হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজার ভীষণভাবে খারাপ। প্রথমত কারিগররা মিষ্টি তৈরি করতে পারছেন না। তীব্র গরমের কারণে তাঁরা বেশিক্ষণ উনুনের সামনে থাকতেই পারছেন না। ফলে মিষ্টি তৈরিতে টান পড়েছে। আবার মানুষজনও সেইভাবে দোকানে আসছেন না। জামাইষষ্ঠীতে যে লাভের আশা মিষ্টি বিক্রেতাদের থাকে, এবারে সেই লাভে ভাটা পড়ছে। আবার গরমের ছোবলে জামাইদের পাতেও মিষ্টিতে টান পড়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, জামাইষষ্ঠীতে বিভিন্ন রকম মিষ্টি সাজিয়ে জামাইয়ের পাতে তুলে দিতে হয়। এটাই রীতি। কিন্তু দোকানে এবছর সেইভাবে ভ্যারাইটি মিষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। খালি জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বানানো কিছু সন্দেশ রয়েছে। আবার অনেক দোকানে তো সারা বছর যেরকম মিষ্টি পাওয়া যায়, তার থেকেও কম মিষ্টি রয়েছে এই সময়। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই গরমের কারণে জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠান তাঁরা বাতিল করেছেন। নমো নমো করে সেরে ফেলছেন নিয়ম রক্ষার কাজটুকু।
নয়ন ঘোষ
মাজদিয়া: বয়স ১০০ কাছাকাছি হলেও আজও নিয়ম নিষ্ঠা মেনে বৃদ্ধা করে চলেছেন ৬০ উর্ধ্ব জামাইয়ের ষষ্ঠীর বরণ। বারাসাতের বাসিন্দা ফুলিতা দা, বয়স প্রায় ১০০ কাছাকাছি হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই জামাই এর বয়সও ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে। তবে বয়স বেড়ে গেলেও বাঙালি রীতিনীতিতে ভাটা পড়েনি এতটুকুও। আজও প্রতিবছর জামাইষষ্ঠীর দিনে জামাইকে বরণ করার জন্য আসেন তিনি। এবং ৬০ ঊর্ধ জামাই ও তার স্ত্রী এবং পুত্রও শাশুড়ি মায়ের থেকে আশীর্বাদ নিতে অপেক্ষা করে থাকেন এই দিনটির জন্য।
সম্পূর্ণ বাঙালি প্রথায় ফুলিতা দেবী বরণ করেন তাঁর জামাইকে। আসনে বসে থাকেন জামাই, এবং তার পাশে স্ত্রী ও পুত্র। এরপর জামাইয়ের সামনে দেওয়া হয় ফলাহার। যার মধ্যে থাকে দই চিড়ে আম কাঁঠাল কলা ইত্যাদি। প্রথমে গঙ্গাজল সহযোগে পান পাতা দিয়ে শাশুড়ি মা তার জামাই ও মেয়েকে করেন বরণ। এরপর ধান-দুর্বা দিয়ে জামাই এবং মেয়ে এবং তার সঙ্গে নাতিকেও করেন আশীর্বাদ। তারা সকলেই বৃদ্ধা ফুলিতা দেবীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। এরপর পাঁচ রকমের গোটা ফল কাঁসার থালায় জামাইয়ের হাতে তুলে দেন শাশুড়ি। তারপর তাকে দেওয়া হয় তালপাতার পাখা দিয়ে হাওয়া, যেটি অন্যতম রীতি জামাই ষষ্ঠীর। এরপর নিজের হাতে খাইয়ে দেন জামাইকে দই এবং মিষ্টি।
বছরের পর বছর এভাবেই চলে আসছে জামাইষষ্ঠীর নিয়ম এবং নিষ্ঠা নদিয়ার মাজদিয়ার দাঁ পরিবারে। বৃদ্ধা ফুলিতা দেবী জানান তিনি যতদিন জীবিত থাকবেন এবং তার সামর্থ্য থাকবে ততদিন এই রীতিনীতি পালন করে যাবেন তিনি। শাশুড়ি মায়ের নিজের জামাইয়ের প্রতি স্নেহ ও শ্রদ্ধা দেখে অসম্ভব খুশি ৬০ ঊর্ধ্ব জামাই স্বয়ং বিনয় কুমার পোদ্দার। তিনি জানান ভীষণই ভাল লাগছে আমার, এটি আমার পরম সৌভাগ্য যে এই বয়সেও আমার শাশুড়ি মা জামাইষষ্ঠীর রীতিনীতি পালন করে যাচ্ছেন। তার জন্য আমি কৃতার্থ।
স্বাভাবিকভাবেই জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব ছাপিয়ে এই বাঙালি অনুষ্ঠানের যে রীতিনীতি আজও বজায় রেখেছেন ফুলিতা দেবী তা সমাজের চোখে স্থাপন করেছে দৃষ্টান্ত।
Mainak Debnath
সমীর রুদ্র, নদিয়া: আজ জামাইষষ্ঠী, শ্বশুর-শাশুড়ি থেকে মেয়ে-জামাইরা বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন এই দিনটির অপেক্ষায়। কিন্তু তেহট্টের বেতাই দক্ষিণ জিতপুর এলাকার জামাইরা শ্বশুরবাড়ি যেতেই ভয় পাচ্ছেন। কারণ ওই এলাকায় কয়েকদিন ধরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি ক্ষ্যাপা হনুমান। অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে মানুষের উপর।
হনুমানের আক্রমণে একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। এই ঘটনা চাউর হতেই শ্বশুর বাড়ি ষষ্ঠীতে আসতে ভয় পাচ্ছেন জামাইরা। হনুমানের আক্রমণের ফলে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। দিন কয়েক আগেই সুকদেব সরকার নামে এক যুবককে বাড়ির ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল হনুমানটি।
আরও পড়ুন: ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব’, প্রবল রুষ্ট মমতা! কার উপর ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী? তুমুল শোরগোল
পড়ে গিয়ে কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচলেও হাত ভেঙেছে ওই ব্যক্তির। গুরুতর আঘাত লেগেছে চোখেও। এছাড়াও এলাকার অসংখ্য মহিলাকে কামড়ে নিতম্বের মাংস তুলে নিয়েছে।
হনুমানের আক্রমণ থেকে বাদ পড়ছে না এলাকার কচিকাচারাও। বাধ্য হয়ে এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি সেই প্রভাব পড়েছে জামাইষষ্ঠীতে। এলাকায় হনুমানের আক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ষষ্ঠীতে এলাকায় আসতে ভয় পাচ্ছেন জামাইরা। যে কারণে জামাইষষ্ঠীর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। যদিও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর।
হুগলি: জামাইষষ্ঠীর মাংস কিনতে বেরিয়ে যুবকের মর্মান্তিক পরিণতি। লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হল গোঘাটের প্রতীক ঘোষের। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বাড়িতে দিদি-জামাইবাবুর আসার কথা। সেই আনন্দে টাকা নিয়ে মাংস কিনতে বেরিয়েছিলেন প্রতীক ঘোষ। কিন্তু হুগলির গোঘাটের বেঙ্গাই এলাকায় লরির ধাক্কায় মুহূর্তের মধ্যে সব শেষ হয়ে যায়। মৃতের বাড়ি গোঘাটের সেনাই গ্রামে।
আরও পড়ুন: নলকূপের জল পানের পরই ঢলে পড়লেন টোটো চালক! গোটাটা দেখে ভয় পাবেন আপনিও
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিদি-জামাইবাবু আসবে বলে আনন্দে বাইক নিয়েই বেরিয়েছিলেন প্রতীক। বেঙ্গাই এলাকায় মাংসের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ উল্টো দিক থেকে আসা কোতুলপুরগামী একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। লরির চাকার তলায় পিষে যায় ওই যুবক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। উপস্থিত সকলে মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় কার্যত হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। রক্তাক্ত মৃতদেহ বেশ কিছুক্ষণ ধরে রাস্তাতেই পরে থাকতে দেখে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রথমে বিষ্ণুপুর-আরামবাগ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের ঘিরেও দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এই পথ অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ বুঝিয়ে সুুঝিয়ে অবরোধ তোলে।
রাহী হালদার
জামাইষষ্ঠীতে অমিল টাটাকা ইলিশ। জামাইয়ের পাতে পড়বে স্টোরের ইলিশ। ভারত এবং বাংলাদেশে এখন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। তাই জামাইষষ্ঠীতে ভরসা স্টোরে রাখা মায়ানমারের ইলিশ।
বাঁকুড়া: জামাইয়ের মঙ্গল কামনা করে যুগ যুগ ধরে জামাইষষ্ঠী করে থাকেন শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। এই লৌকিক আচার এক আধুনিক উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে। বারো মাসে তেরো পার্বণ এর মধ্যে এক পার্বণ এই জামাইষষ্ঠী। আর তার আগেই যেন বাজার আগুনে গরম বাঁকুড়ায়। কি ভাবছেন মিষ্টি, মাছ, দই কেনার বাজার গরম! মোটেই না, আসলে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত সূর্যের তাপে পুড়ছে বাঁকুড়া।
সেই কারণেই জামাই ষষ্ঠীর বাজার সকাল থেকেই থমথমে। ফলের দোকানে পচে যাচ্ছে সব ধরনের ফল আর মিষ্টির দোকানে মাছি তারাচ্ছেন বিক্রেতারা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাঞ্জাবির দোকানে জামাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে যেতেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই গরম তাই অনলাইনই যেন ভরসা। জামাইষষ্ঠীর বাজারের ছবিটা অনেকটা এমনই ধরা পড়ল মঙ্গলবার।
তবে ধুঁকে ধুঁকে যেটুকু বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যেই সন্তুষ্ট থাকছেন ব্যবসায়ীরা। আবার বাজার কম থাকায় দামও বেশ কিছুটা বেড়েছে। ফলের দোকানে হাই ডিমান্ড আম, লিচুর। বাঁকুড়ার বাজারে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বিক্রি হচ্ছে একাধিক প্রজাতির আম। লিচুর দাম ১২০-১৫০ টাকা কিলো।
আরও পড়ুনঃ Jamai Sasthi 2024: মিষ্টিতেই মিটবে ফলের স্বাদ! জামাইষষ্ঠীতে অভিনব আইটেম মিলছে এই মিষ্টির দোকানে
মিষ্টির দোকানে গতানুগতিক দই, মিষ্টিতেই মজেছে মানুষ। ছানার পায়েস, আম দই, বাটার রোল বিক্রি হচ্ছে বেশ ভাল। নতুন আর পুরাতনের মিশ্রণ করেই জামাইয়ের মুখে মিষ্টি তুলে দিতে চাইছেন বাঁকুড়ার শশুর-শাশুড়িরা। এবার ঘুরে দেখা হল পাঞ্জাবির বাজার। ৩৫০-৪০০ টাকার হাত কাটা পাঞ্জাবি, ফতুয়া এবং কুর্তা থেকে শুরু করে রাজকীয় চড়ামূল্যের পাঞ্জাবি, সবকিছু নিয়েই বসে আছেন দোকানের মালিকরা। তবে বিক্রি হচ্ছে না সেইভাবে। সকলেই দুষছেন গরমকে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
দক্ষিণ ২৪ পরগনা : বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের মধ্যে অন্যতম হল জামাইষষ্ঠী। মূলত জামাইষষ্ঠী বাঙালির কাছে এক অন্য ধরনের উৎসব। এটি সাধারণত জৈষ্ঠ মাসের ষষ্ঠী তিথিতেই এই জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়। প্রতিটি বাঙালি জামাইকে শ্বশুড়বাড়ির তরফে এই দিনই আলাদাভাবে আমন্ত্রণ করা আদর আপ্পায়ন হয়।
বুধবার ১২ই জুন এবারের জামাইষষ্ঠী। এই দিনে জামাইকে বিভিন্ন ধরনের রকমারি ফলের বাহার তাকে সাজিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার জামাইষষ্ঠীতে এক নতুনত্বের স্বাদ পাওয়া গেল জয়নগরের একটি মিষ্টির দোকানে। বিভিন্ন মিষ্টি মিঠাইয়ের মধ্যে থাকছে রকমারি ফলের স্বাদ। এক ঢিলে দুই পাখির সমান। এই মিষ্টিতে জামাইষষ্ঠীর দিন জামাই যদি এক কামড় দেয় তাতে যেমন মিষ্টির স্বাদ তার পাশাপাশি থাকছে বিভিন্ন ফলের স্বাদ।
এক কথা বলাই যেতে পারে মিষ্টির মধ্যেই ফলের বিভিন্ন ধরনের রকমারি টেস্ট। তাই জামাইকে আলাদা করে ফল না দিলেও চলে। আর তাই নাওয়া খাওয়া ভুলে ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে তাদের এই মিষ্টি তৈরি। অর্থাৎ জামাইদের আদরের জন্য মাছ মাংস পাশাপাশি মিষ্টি কেনার হিড়িক থাকে শ্বশুর-শাশুড়িদের মধ্যে। আর তাই এই ধরনের মিষ্টি জামাইদের হাতে তুলে দিতে মিষ্টি দোকানে পড়েছে লম্বা লাইন।
আরও পড়ুনঃ Howrah News: সোনার গয়না কিনতে গিয়ে দোকানে যা কাণ্ড ঘটল, জানলে অবাক হবেন আপনিও
তবে এমন মিষ্টি কিন্তু জয়নগরের এই দোকান ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যাবে না বলেই জানিয়েছেন ওই মিষ্টি ব্যবসায়ী। তাহলেও এই নতুন আইটেম বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যেও। আপনিও যদি আপনার জামাইকে এই স্বাদ দিতে চান তাহলে চলে আসনু জয়নগরের এই দোকানে।
সুমন সাহা