Tag Archives: Jamai Sasthi Spacial
Jamai Sasthi 2024 Market Price: ভাল ইলিশ কোথায়? মাছ-মাংস-ফল-সবজির আগুন দাম, কী খাওয়াবেন জামাইকে? জামাইষষ্ঠীর আগে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে
বর্ধমান: রাত পোহালেই বুধবার জামাই ষষ্ঠী। কিন্তু জামাইয়ের পাতে কি দেবেন তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই শ্বশুর শাশুড়িদের। ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। তেমন ইলিশের দেখা নেই। চিংড়ি, পমফ্রেটের দামও আকাশছোঁয়া। সব মিলিয়ে বর্ধমানে জামাই ষষ্ঠীর আগে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গৃহস্হের কপালে।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। পয়লা বৈশাখ দিয়ে শুরু হয় পার্বন। এর পরই জামাইষষ্ঠী। এই দিনে জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেন শাশুড়ি। সেই সুযোগে জামাইষষ্ঠীর দিনে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কবজি ডুবিয়ে ভুরিভোজ সারেন জামাইরা। তবে এবার যা গরম তাতে ভরপেট খাওয়া নিয়ে চিন্তায় জামাইরা।
আগুন দর ফলের বাজারেও। ভালো মানের আমের তেমন দেখা নেই। অন্য বছর এই সময় হিমসাগর আমের রমরমা চলে। দামও থাকে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই। কিন্তু এবার ফলন অনেকটাই কম হয়েছে। বর্ধমানের বাজারে সেভাবে দেখা নেই মালদার আমের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্যবার পূর্বস্থলী, হুগলির পোলবা দাদপুরের আম চাহিদা মেটাতো অনেকটাই। কিন্তু এবার স্থানীয় এই আমের যোগান কম। তাই বাইরের রাজ্যের আমের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সেই আমের দামও বেশি আবার মানও খুব একটা ভালো নয়। এদিন বর্ধমানে হিমসাগর আম বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি একশো টাকায়।
শশা পঞ্চাশ টাকা কেজি। আপেল দুশো টাকা কিলো। একশো গ্রাম জামের দাম পঞ্চাশ টাকা। ডালপালা সহ লিচু দেড়শো টাকা কেজি। সবজির দামও আকাশ ছোঁয়া। মাঝারি ফুলকপি চল্লিশ টাকা পিস। দেশি পটল ষাট টাকা কেজি। ঝিঙের কেজি প্রতি দাম পঞ্চাশ টাকা। ভালো বেগুনেরও দাম তাই। বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র দাবদাহে সবজির ফলন কমছে। চাহিদার তুলনায় যোগান অনেকটাই কম। সেই কারণেই দিন দিন সবজির দাম বাড়ছে।
জামাইয়ের পাতে পাঁঠার মাংস তো থাকবেই, সেই সঙ্গে চাই ইলিশও। কিন্তু বাজারে ভালো ইলিশের তেমন যোগান নেই। যা আছে তার বেশিরভাগই মায়ানমারের ইলিশ। তারও দাম আকাশছোঁয়া। সাত আটশো গ্রামের ইলিশের দাম দেড় হাজার টাকা কেজি। ভালো সাইজের পমফ্রেট ছশো সাতশো টাকা কেজি। গলদা চিংড়ির দামও তেমনটাই। কাটা কাতলা মাছ সাড়ে তিনশো টাকা কেজি। স্বাভাবিক ভাবেই সব জিনিসের অগ্নিমূল্য চিন্তায় ফেলেছে মধ্যবিত্তকে।
Jamai Sasthi 2024: বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী? ট্রেন্ডিং কোন পোশাক বাজার মাতাচ্ছে জানেন
উত্তর দিনাজপুর: বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী। প্রথমবারের জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠানে নতুন জামাই কিংবা শাশুড়ির জন্য কী পোশাক নেবেন বুঝতে পারছেন না? জামাইয়ের জন্য কেমন পোষাক নেওয়া ভাল তা নিয়ে চিন্তা করতে করতেই অনেক শাশুড়ির গলদঘর্ম অবস্থা। তবে আর ভাববেন না, সেই চিন্তা দূর করব আমরা।
জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পোশাক বাছাই করা নিয়ে শুধু শাশুড়িদের চিন্তায় পড়তে হয় তা নয়, জামাইরা শাশুড়িদের কী উপহার তানিয়া চিন্তায় পড়ে যান অনেকে। তবে এবারের জামাইষষ্ঠীর আগে বাজারে এসেছে নতুন ট্রেন্ডিং পোশাক। উত্তর দিনাজপুরের বিখ্যাত কাপড় বিক্রেতা সুভাষচন্দ্র রায় জানান, জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পোশাক বাছাই করার আগে আভিজাত্যের কথা যেমন মাথায় রাখতে হবে তেমনই এই গরমে আরামের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। তাই জামাইষষ্ঠীতে পাঞ্জাবির থেকে ট্র্যাডিশনাল কিছু হতে পারে না। তাই জামাইকে দেওয়ার জন্য শাশুড়িরা বেছে নিতে পারেন পাঞ্জাবি। এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ট্রেন্ডিং হল চিকেন কারির পাঞ্জাবি।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিকের রমরমায় অবলুপ্তির পথে হুগলির বেত শিল্প
এছাড়াও এই গরমে পাঞ্জাবি পরতে না চাইলে সুতির কুর্তা কিংবা বোম্বে ফ্যাশনেবল টি-শার্ট ছাড়াও সিল্ক ও প্রিন্টের উপরে বিভিন্ন ধরনের শার্ট’ও রয়েছে। তবে শুধু তো জামাই বরণে নয়, শাশুড়িদের জন্য উপহারেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ির কালেকশন। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ট্রেন্ডিং হল মলমল শাড়ি, ঢাকাই শাড়ি। এছাড়া সিল্ক, লিনেন, জামদানি সহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ির কালেকশন রয়েছে। ৭০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের কালেকশন পেয়ে যাবেন।
জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে জামাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসে টুলটুলি বৈশ্য জানান, জামাইয়ের জন্য শুধু পাঞ্জাবি নিলে হবে না, সাথে প্যান্ট-শার্ট নিতে হবে। জামাই বরণ এবং জামাইষষ্ঠীর উপহারে আলাদা আলাদা পোশাক কিনতে হচ্ছে।
পিয়া গুপ্তা
Jamai Sasthi 2024: জামাইষষ্ঠী এলেই আশায় বুক বাঁধেন ওঁরা
দক্ষিণ দিনাজপুর: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে বাঁশ দিয়ে তৈরি ডালি কুলোর দাম আজও প্রায় একই জায়গায় রয়েছে। বালুরঘাট শহর লাগোয়া ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রী এলাকার বহু মাহালি সম্প্রদায় মানুষ আজও পূর্বপুরুষদের এই কাজকে ধরে রেখেছেন। তবে জামাইষষ্ঠীতে বাঁশের ডালি, কুলোর দাম না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিজয়শ্রী গ্রামের বাসিন্দারা। এই এলাকার বাসিন্দারা বাঁশের ডালি, কুলো বানিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সারা বছর ধরেই তাঁরা ডালি, কুলো তৈরি করেন। উৎসব অনুষ্ঠানগুলোতে তাঁদের দিন-রাত কাজ করতে হয় বেশি বিক্রির আশায়।
এই বিষয়ে বাঁশের তৈরি শিল্প বিক্রেতারা জানান, এক একটি বাঁশ ৭০- ৯০ টাকায় কিনতে হয়। তা দিয়ে সকাল থেকেই বাঁশ কাটা, বেতি তোলা আর সেই বেতি দিয়ে ডালি কুলো তৈরির কাজ করতে হয়। জামাইষষ্ঠীর বাজারে একেকটি ডালির দাম ২০ টাকা থেকে ৮০ টাকা অবধি। তবে অত্যাধুনিক জিনিসের ভিড়ে সেই মূল্যটুকুও তাঁরা পান না বলে অনুযোগ করেন।
আরও পড়ুন: জল সমস্যার প্রভাবে অস্থির ওঁরা, বন্ধ রোজগার
এই গ্রামে প্রায় অর্ধ-শতাধিক পরিবার এই শিল্পের উপর প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। বাঁশ দিয়ে তৈরি খই চালা, ডোল খাঁচা, খাটি ডালি, টুকরি ডালি, ঝুড়ি সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেই চলে তাঁদের জীবন সংসার। প্রকৃতপক্ষে বাঁশ-বেতের স্থান অনেকটাই প্লাস্টিক সামগ্রী দখল করে নিয়েছে। আর তাই জামাইষষ্ঠীর সময় কিছুটা হলেও বিক্রির আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা।
সুস্মিতা গোস্বামী
Hilsha Fish: জামাইয়ের পাতে কোল্ড স্টোরেজের বাসি ইলিশ নাকি, তাজা ইলিশ, শাশুড়ি মায়েরা এখনই জেনে নিন, রইল মেগা আপডেট
Jamai Sasthi Vegetable Price: জামাইষষ্ঠীর আগেই পকেটে কোপ! আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে দাম বাড়ছে সবজির! কিনতে গিয়েই মাথায় হাত
কোচবিহার: বেশ কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে জল বেড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের সমস্ত নদীর। প্লাবন পরিস্থিতি ও ভাঙনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বহু এলাকায়। এই কারণে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষীরা। আর এর ফলেই বাজারের কমে গিয়েছে সবজির যোগান। দাম বেড়েছে প্রায় প্রত্যেকটি সবজির। তাই পকেটে চাপ পড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারের এসে সবজি কিনতে ব্যাপক নাজেহাল হচ্ছেন। বৃষ্টি পরিস্থিতি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন সবজি বিক্রেতারা। অন্যদিকে আবার সামনেই জামাইষষ্ঠী।
বাজারের এক সবজি বিক্রেতা দীপক বর্মন জানান, “বৃষ্টির ফলে বাজারে যোগান কমেছে সমস্ত সবজির। তাই জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির। আর বাজারের সবজির দামের এই বৃদ্ধির ফলে বিক্রি কমেছে। বর্তমানে পটলের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, করলার দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৬০ টাকা, ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা, বরবটির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা এবং লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।\”
ক্রেতারা বাজারে এসে সামান্য পরিমাণে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেশি জিনিস কেনার ইচ্ছে থাকলেও দামের জন্য পেরে উঠছেন না। বাজারের আরেক সবজি বিক্রেতা জয়রুল হক জানান, “বেগুনের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, কাকরোলের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৬০ টাকা, শশার কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা এবং দেশি আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে বৃষ্টি যদি না কমে এই দাম আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে ।”
বাজারে আরেক সবজি বিক্রেতা জয়রুল হক জানান, “বাজারের সবজির দাম শুনে বেশি সবজি কিনতে সাহস পাচ্ছেন না ক্রেতারা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ক্রেতাদের পকেটের মধ্যে আরও অসম্ভব চাপ পড়বে। তবে এই দাম তখনই কমবে যখন বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি না হয়ে একটানা রোদের দেখা মিলবে। যদি বৃষ্টি থাকে তবে দাম আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।” বর্তমান সময়ে বাজারের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধিতে জামাইষষ্ঠী নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অধিকাংশ মানুষেরা।
Sarthak Pandit
Jamai Sasthi Special Sweets: জামাইষষ্ঠীতে চেটেপুটে সাফ হবে থালা, জামাই আদরে এবার পাতে রাখুন চকলেট পোহা পিঠে ও লাড্ডু! কোথায় পাবেন?
উত্তর ২৪ পরগনা: এবার জামাইষষ্ঠীতে জামাই আদরে, পাতে পড়তে চলেছে এই বিশেষ চকোলেট মিষ্টি। ইতিমধ্যেই এই মিষ্টি তৈরির জন্য কারিগর রত্ন সম্মান পেয়েছেন অশোকনগরের প্রসিদ্ধ মিষ্টি ব্যবসায়ী দীপক পাল।
এক স্বনামধন্য চকোলেট কোম্পানির তরফ থেকে এই বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয় অশোকনগর কল্যাণগড় বাজারের বিখ্যাত মিষ্টির দোকান পাল সুইটস এর মালিক দীপক বাবুকে। এবারের জামাইষষ্ঠীতে তার তৈরি স্পেশ্যাল চকোলেট পোহা পিঠে মিষ্টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলাকায়।
পাশাপাশি, চকোলেট দিয়ে তৈরি বিশেষ লাড্ডুও এবার নতুন জামাইদের মিষ্টিমুখে বাজার দখল করবে বলেই মনে করছেন দোকান মালিক। বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি চকোলেট ব্যবহার করে এই সন্দেশ এখন চেখে দেখছেন অনেকেই। কম মিষ্টির এই চকলেট পোহা পিঠে ও চকলেট লাড্ডু এবার খেতে পারবেন সব বয়সের জামাইরাই।
এই চকলেটের গোটা মিষ্টির দাম রাখা হয়েছে ৩০ টাকা এবং হাফ চকলেট পোহা পিঠের দাম রাখা হয়েছে ১৫ টাকা, আর চকলেট লাড্ডুও বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকায়। ইতিমধ্যেই জামাইষষ্ঠীর আগে বেশ কিছু অর্ডারও মিলেছে এই বিশেষ মিষ্টির। দোকানের অন্যান্য মিষ্টির থেকে এখন অনেকাংশেই তাই বেশি বিক্রি হচ্ছে নতুন ধরনের এই চকলেটের দুটি আইটেম। ক্রেতারাও বেশ খুশি এই নতুন ধরনের মিষ্টি পেয়ে।
Rudra Narayan Roy
Jamai Sasthi 2024: জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির জন্য কিনুন এই উপহার
উত্তর দিনাজপুর: আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই জামাইষষ্ঠী। তবে এই দিন শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার আগে জামাইরা একটু হলেও বেশ চিন্তিত থাকেন। কারণ শ্বশুরবাড়িতে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না। ফলে শাশুড়িকে উপহার দেওয়ার একটা বিষয় থেকেই যায়। কিন্তু কী উপহার দেবেন শত চিন্তা করেও অনেকেই সেটা বুঝে উঠতে পারেন না।
এবার জামাই ষষ্ঠীতে শাশুড়ির জন্য কী উপহার নিয়ে যাবেন তার দুর্দান্ত সমাধান এসে গিয়েছে। আজকের দিনেহাতে সময় কম। এদিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শাশুড়িদের সাজসজ্জাতেও পরিবর্তন এসেছে। তাই এই সময় শাশুড়ির জন্য উপহার হিসেবে বেছে নিতে পারেন ইউনিক জুয়েলারি সেট। শাড়ি কিংবা সালোয়ারের সঙ্গে দিতে পারেন নতুনত্বের এই টেরাকোটার জুয়েলারি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে বেঁচে গেল বীরভূম, বৃষ্টি হলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি
সময় বদলেছে। শাশুড়িরা এখন রীতিমতো আধুনিক ও স্টাইলিশ জিনিসপত্র পরেন। শুধু শাড়িতেই সীমাবদ্ধ থাকেন না বর্তমানের শাশুড়িরা। কেউ পরেন সালোয়ার কামিজ, তো কেউ জিন্স। তাই উপহার হিসেবে শাশুড়ির জন্য আপনাকেও এমন জুয়েলারি বা গয়না বেছে নিতে হবে যা সমস্ত পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়। আর এইরকম একটি জুয়েলারির সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ হাট পাড়ারর টেরাকোটা শিল্পীরা।
টেরাকোটার শিল্পীদের হাতেই তৈরি হচ্ছে আধুনিক ডিজাইনের পোড়ামাটির গয়না। এই টেরাকোটার জুয়েলারি বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি। ৫০ টাকা থেকে এর দাম শুরু। আপনি পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ধরনের মাটির কারুকার্য করা রংবেরঙের এই জুয়েলারি। এই প্রসঙ্গে এলাকার এক টেরাকোটা শিল্পী জানান, সোনার দাম আকাশছোঁয়া। সেখানে এবারের জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির উপহার হিসেবে জামাইদের কাছে মুশকিল আসান হতে পারে টেরাকোটার এই গয়না। অনেকেই এই গয়না কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
পিয়া গুপ্তা