আম ফলিয়েছেন কৃষক

Business Idea: ‘এই’ আম চাষে বিরাট লাভ! আয় হবে লাখ লাখ টাকা, রাতারাতি হবেন ‘মালামাল’

পশ্চিম মেদিনীপুর:  শখ করে কেউ গাছ লাগান। ফুল, ফলের গাছ লাগানো বহু মানুষের নেশা। কিন্তু জানেন, সেই নেশাকে পেশা করে বার্ষিক লাখ লাখ টাকা আয় হতে পারে। এবার শখকে পেশা করে গ্রামীণ চাষিদের স্বনির্ভরতার দিশা দিচ্ছেন প্রান্তিক এলাকার এক কৃষক। প্রায় ১৪ ডেসিমেলের বেশি জায়গাতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ও বিদেশি আমের চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন এই চাষি। বর্তমান যুব প্রজন্ম, গ্রামীণ চাষিদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। ভিয়েতনামের আম, বাংলাদেশের আম এমনকি ভারতের বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ করছেন তিনি। বার্ষিক নানা পরিচর্যায় জুটছে লাভ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম পিংলা। এই প্রান্তিক গ্রামের চাষি মিলন কুমার ওঝা। গ্রামের মধ্যে নিজের প্রায় ১৪ ডেসিমেলেরও বেশি জায়গাতে লাগিয়েছেন বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছ। ভিয়েতনাম কাটিমন, দেশিয় প্রজাতির মধ্যে দিল্লির পুষা কেন্দ্র থেকে প্রস্তুত অরুণিমা, অরুনিতা, কিং অফ চাকাপাদ, ডকোমো, বাংলাদেশের দুটি প্রজাতির আম রয়েছে তার কাছে। শুধু তাই নয়, জাপানি মিয়াজাকি আমেরও চাষ করেছেন তিনি। যার দাম লক্ষাধিক টাকা। স্বাভাবিকভাবে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকার চাষিদের বিকল্প চাষে স্বনির্ভরতার দিশা দিচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

এখনও গাছে ফলে আছে আম। গরম কেটে গিয়ে বর্ষা নামলেও গাছ থেকে আম পেড়ে তিনি বিক্রি করেন বাজারে। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি তার গাছের আম যায় নানা জায়গায়। জাপানি মিয়াজাকি বিক্রিও হয় ভাল টাকা দরে। প্রসঙ্গত, এই আম গাছের চারা এনে লাগাতে খরচ হয়েছে বেশ কয়েক হাজার টাকা।মাটি প্রস্তুত করে চারাগাছ লাগিয়ে এবং প্রতিদিন নিজেই তার পরিচর্যা করেন মিলন বাবু। তবে বেশ কয়েকটি গাছ থেকে তিনি বছরে তিনবার ফলন পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

বছরে বেশ কয়েকবার দিতে হয় সার ওষুধ। তবে এই আমের চাষ করে বছরে বেশ কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ জুটতে পারে। গ্রামীণ এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছেন। চাষ করছেন পেশাগত হিসেবে। গ্রামীণ এলাকায় থেকেও বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ করে বার্ষিক বেশ লক্ষাধিক টাকা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন তিনি।

রঞ্জন চন্দ