Category Archives: বীরভূম

Birbhum News: চিড়ে-মুড়ি বেঁধে আনার দরকার নেই, এবার তারাপীঠে মিলবে নিরামিষ হোটেল

বীরভূম: তারাপীঠ এলে এখনও অনেকেই চিড়ে-মুড়ি বেঁধে আনেন। মন্দিরে পুজো দিয়ে অনেকেই নিরামিষ খাবারের কোঁজ করেন কিন্তু পান না। তবে এবার সেই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে এখানে।

তারাপীঠ মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ছোট বড় প্রায় কয়েক হাজার লজ। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে এই তারাপীঠ চত্বরে। অনেকে আসেন যারা তারাপীঠের বিভিন্ন খাবারের হোটেলে মাছ মাংস কিংবা ডিম দিয়ে রকমারি খাবার খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে আছেন যারা সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার খেতে চান। কিন্তু তারাপীঠে সেই অর্থে এতদিন কোনও নিরামিষ খাবারের হোটেল ছিল না।এবার তাদের কথা চিন্তা করেই খুবই স্বল্প মূল্যে ভাত-ডাল, দু’রকমের সবজি, চাটনি, পাপড় দিয়ে নিরামিষ ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাত্র ৭০ টাকার বিনিময়ে এই নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

আরও পড়ুন: তারাপীঠে নামমাত্র খরচে দারুণ থাকার জায়গা! মায়ের পুজো সঙ্গে নিরিবিলিতে ছুটি কাটান!

কী ভাবে পৌঁছাবেন এই হোটেল?এই হোটেল এ যেতে গেলে আপনাকে তারামা সরণী থেকে বেরিয়ে ডান দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সেখানেSBI ATM এর সামনে বামতারা হোটেলের একদম সামনে পড়বে এই মাধবী হোটেল।হোটেলের মালিক বুবাই রায় জানান ৭০ টাকায় ভাত ডাল দু’রকমসবজি, আলুভাজা, চাটনি পাওয়া যায়। এছাড়াও পনিরের বিভিন্ন রান্না যেমন পনির বাটার মাসালা,পনির টিক্কা, চিলি পনির এসবও মিলবে এখানে।রাতের মেনুতে থাকছেরুমালি রুটি, তড়কা, চানা মশলা সমেত রকমারিখাবার পাওয়া যায় সম্পূর্ণ নিরামিষ।

কলকাতা থেকে আগত এক দর্শনার্থী জানান, আগে অনেকবার তিনি তারাপীঠ এসেছেন তবে এসে মা তারার পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন উপবাস থেকেই। কারণ তিনি সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার খান।এর আগে তারাপীঠ এলাকায় তেমন কোনও নিরামিষ খাবারের দোকান ছিল না।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে এবার থেকে তিনি তারাপীঠ এলে অন্তত দু’দিন থাকবেন কারণআর খাবার নিয়ে কোনওঅসুবিধা রইলনা।

 

সৌভিক রায়

Birbhum News: অশ্বমেধের নয়, রাস্তার ভবঘুরে ঘোড়া ধরতে নাজেহাল পুলিশ

বীরভূম: ঘোড়ার তাণ্ডবে নাজেহাল বীরভূমের সদর শহর। দিন দুয়েক আগেই ঘোড়ার লাথিতে গুরুতর জখম হন এক ব্যক্তি। বর্তমানে তিনিহাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরেএলাকাবাসী এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় ঘোড়া গুলি ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা দেওয়ায়পথ অবরোধ তুলে নেন এলাকার বাসিন্দারা।

কড়িধ্যা এলাকায় কিছু সময় যাবৎ তিনটি ঘোড়া ঘুরে বেরাচ্ছে। সাধারণত ঘোড়াগুলি স্বাভাবিক মনে হলেও হঠাৎ করেতার মধ্যে দুটি ঘোড়া মাঝে মধ্যেই আক্রমণত্মক হয়ে উঠছে। আক্রমণ করছে পথচারি থেকে যান-বাহন। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। দিন কয়েক আগেএক ব্যক্তিকে লাথি মেরে গুরুতর জখম করে এই ঘোড়াতে। এছাড়াও এক টোটো চালককে আহত করে। শুধু টোটো চালকই নয়, ঘোড়ার আক্রমণে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় টোটোর উইন্ড স্ক্রীন।

আরও পড়ুন: তারাপীঠে নামমাত্র খরচে দারুণ থাকার জায়গা! মায়ের পুজো সঙ্গে নিরিবিলিতে ছুটি কাটান!

টোটো চালক আক্রান্ত হওয়ারপ্রতিবাদে সিউড়ি পাথরচাপুড়িরকড়িধ্যা এলাকায়পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি ঘোড়াগুলিকে অবিলম্বে জনবহুল এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে।রাস্তায় বেরোলে ভয় করছে বলে জানান তারা। এছাড়াও রাস্তায় বাচ্চাদের একা ছাড়তে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। পরে অবশ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উঠে যায় অবরোধ। পুলিশ এসে ঘোড়াগুলিকে ধরে নিয়ে যায়।

গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে এই ঘোড়াগুলি ঘোরাফেরা করত রাস্তায়। তাদের দেখে মজাও পেতেন অনেকে। মাঝে মধ্যে দু একটি বিক্ষিপ্ত দুর্ঘটনা ঘটালেও তা মেনে নিয়েছিলেন বাসিন্দারা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

তবে ইদানীং দুটি ঘোড়া হঠাৎ হঠাৎ করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছিল ও সাধারণ পথচারিদের আক্রমণ করা শুরু করেছিল। আপাতত ঘোড়াগুলি রয়েছে প্রশাসনের কব্জায়। পরে এগুলিকে সুস্থ পরিবেশে ফেরানোর পরিকল্পনা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

সৌভিক রায়

Birbhum News: ১০ তলা ওপিডি বিল্ডিং, উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার পথে রামপুরহাট মেডিকেল

বীরভূম: এবার রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তৈরি হতে চলেছে আধুনিকমানের ১০ তলা ওপিডি বিল্ডিং। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার গাইডলাইন মেনে তৈরি করা হচ্ছে এই বিল্ডিং। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিল্ডিং তৈরির জন্য টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এর ফলে মেডিকেল চিকিৎসা পরিষেবা আরও উন্নত থেকে উন্নততর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বল বাসনে খাওয়ার শখ? এই গ্রামে এলেই ইচ্ছে পূরণ

বীরভূমের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলা ও ঝাড়খণ্ডের বহু রোগী রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য আসেন। বর্তমানে হাসপাতালের পরিকাঠামোগত অভাব থাকার ফলে অনেক রোগীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কিংবা কলকাতায় স্থানান্তরিত করতে হয়। যার জন্য গরিব রোগীদের পরিবার আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়েন।

প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ২০১৪ সালে এই হাসপাতাল ক্যাম্পাসেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগড়ে তোলা হয়েছে। আর স্পেশালিটি হাসপাতালগড়ে তোলার পরই একের পর এক উন্নত পরিষেবা নিয়ে এসেছে রামপুরহাট হাসপাতাল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এছাড়াও হাসপাতালের পুরানো বিল্ডিংয়ে মা ও শিশুদের জন্য পৃথক বিভাগ চালু হয়েছে। নিচের তলায় রয়েছে সিসিইউ ইউনিট। এছাড়াও এই হাসপাতালে আছে এসএনসিইউ বিভাগ। ২০১৯ সালের ওই বিল্ডিংয়েই পথ চলা শুরু করেছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রামপুরহাট মেডিকেলের ১০ তলা ওপিডি বিল্ডিং তৈরি হলে আরও উন্নত মানের পরিষেবা মিলবে।

সৌভিক রায়

Birbhum News: মা তারা ছাড়া তারাপীঠ মন্দিরে অন্য দেবীপুজো নিসিদ্ধ,তবে বাধা নেই এই পুজোয়

তারাপীঠ, বীরভূম: সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ। আর এই তারাপীঠে সব দেবীর উর্ধ্বে মা তারা। যেকারণেতারাপীঠে মা তারা ছাড়া কোনও দেবী মূর্তির পুজো করা হয় না। দুর্গাপুজোর সময় মা তারাকে দুর্গার রূপে,কালীপুজোর সময় কালী রূপে, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় জগদ্ধাত্রী রূপে,লক্ষ্মী পুজোর সময় লক্ষী রূপে পুজো করা হয়ে থাকে।

তবে এই নিয়মের বাইরেকার্তিক পুজো ও নবান্ন উৎসব। নবান্ন উৎসবে এদিন মেতে উঠল তারাপীঠবাসী। তারাপীঠ চত্বরে কোনও দেবী মূর্তির পুজোর প্রচলন না থাকলেওনবান্ন উপলক্ষে কার্তিক পুজো হয় মহা ধুমধাম এর সঙ্গে। অগ্রহায়ণ মাসে বিশেষ তিথিতে এই নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। সেই মত তারাপীঠ মন্দির চত্বর এলাকায় নবান্ন উৎসব উপলক্ষে কার্তিক পুজোর বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। পান্ডাপাড়া ছাড়াও রয়েছে তারাপীঠ ধর্মরাজ তলা সবজি বাজার,পালপাড়া,লেট পাড়া রবীন্দ্রপল্লী সমেতমোট কুড়িটি জায়গায় ছোট বড় কার্তিক পুজো হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: এ বারে শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠেই ফের পৌষমেলা? উপাচার্য বদলি হতেই বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত

রবীন্দ্রপল্লী ক্লাবের সদস্য রঞ্জিত দত্ত জানান তাদের এ বছরের পুজোর থিম জল জাহাজ।প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা খরচ করে তাদের পুজোর থিম গড়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে পান্ডা পাড়া মিলন সংঘ ক্লাবেরএবছরে পুজোর ভাবনা \”পাঠাগার বৃদ্ধাশ্রম\”। প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে এই থিমের পিছনে। অন্যদিকে লেট পাড়া শিশু সংঘ ক্লাবেরএবছরের পgজোর থিম \”আলিবাবা চল্লিশ চোর\”।মোট ৪০টি ছোট পুতুল দিয়ে মণ্ডপটিসাজিয়ে তোলা হয়েছে।

প্রায় পাঁচ দিন ধরে আনন্দে মাতবে তারাপীঠেরমানুষ জন। শুধু তারাপীঠ এলাকার মানুষই নয়,এই পুজো দেখতে আসেনবাইরে থেকেও বহু ভক্তরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সবমিলিয়ে আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের থিমে সেজে উঠেছে তারাপীঠ চত্বর নবান্ন উৎসবে।

 

সৌভিক রায়

Travel-Tarapith: তারাপীঠে নামমাত্র খরচে দারুণ থাকার জায়গা! মায়ের পুজো সঙ্গে নিরিবিলিতে ছুটি কাটান!

বীরভূম: সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ মন্দির। প্রত্যেকদিন দূর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে মন্দিরে।বিশেষ দিনে ভক্তের সমাগম পেরিয়ে যায় লক্ষাধিক। আর এই তারাপীঠ মন্দিরকে কেন্দ্র করে রয়েছে ছোট-বড় কয়েক হাজার লজ। গরিব মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত সকলের থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের লজের ব্যবস্থা রয়েছে।

তবে তারাপীঠে আগত অনেকেই চান মা তারার পুজো দেওয়ার পর একটু নিরিবিলি পরিবেশে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। এবার সেই সমস্ত আগত দর্শনার্থীদের জন্য এক নিরিবিলি পরিবেশে রিসর্টের খোঁজ মিলল। তারাপীঠ মন্দির থেকে মাত্র দু কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত লোকনাথ রিসর্ট। এই রিসর্টের মধ্যে রয়েছে আটটি রুম এছাড়াও চিলড্রেন পার্ক, গাড়ি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা থেকে শুরু করে কফি হাউস এবং রেস্টুরেন্ট।

আরও পড়ুন: কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা বুঝবেন কী করে? এইসব উপসর্গ আপনার নেই তো!

এখানে গাড়ি রাখার সুব্যবস্থা রয়েছে। যদি ট্রেনে করে রামপুরহাট স্টেশন থেকে মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই রিসর্টে। সেখান থেকে মন্দির যাওয়ার জন্য রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টোটো পরিষেবা দেওয়া হয় । আর এই রিসোর্ট এর অন্যতম আকর্ষণ হল এই রিসোর্ট এর পাশেই রয়েছে লোকনাথ এবং নারায়ণ মন্দির। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রিসোর্টে মালিক । শুধুমাত্র এই রিসোর্টে থাকা দর্শনার্থীরা এই মন্দিরের দর্শন করতে পারেন সেটা নয়, তারাপীঠ আগত সমস্ত দর্শনার্থীও সন্ধ্যের পর ভিড় জমান এই রিসোর্টের পাশে অবস্থিত লোকনাথ মন্দিরে।

সৌভিক রায়

Birbhum News: জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো মা তারার, রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজানো হয় মাকে

বীরভূম: তারাপীঠে সব দেবীর ঊর্ধ্বে মা তারা আর সেই কারণেই তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার দেবী মূর্তি ছাড়া অন্য কোন দেবী মূর্তির পূজা হয় না। তাই তারাপীঠ মন্দিরে তারা অঙ্গে সমস্ত দেবীর পূজা করা হয়।আর নবমীর সেই পুণ্যতিথিতেই তারা মা সেজে উঠবেন জগদ্ধাত্রী রূপে। পরণে ডাকের সাজ। উপরি পাওনা, এটাই বছরের একমাত্র দিন যেখানে বাইরের বাজনা সহযোগে মায়ের আরতি হয়।

তারা মায়ের এই রূপ দেখতে ইতিমধ্যে তারাপীঠে আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা।কথিত আছে, তিনি শিবের পত্নী। দুর্গা, কালী, তারা, পার্বতী, সতী, চণ্ডী সবই সমার্থক। স্থানভেদে বিশেষ নামে শিবজায়া পূজিত হন। আর কালক্রমে চণ্ডীপুর গ্রাম বর্তমানে তারাপীঠ নামে পরিচিত লাভ করেছে।
দেবী তারাই এখানে আরাধ্যা দেবী হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তারাপীঠে মূর্তি পুজোর চল নেই। তাই বহু যুগ ধরে কালী, তারা, দুর্গা, সরস্বতী, জগদ্ধাত্রী ইত্যাদি সকল দেবীর আরাধনা তারা মায়ের মূর্তির উপরই হয়।

আজ এমনই এক তিথি। আজ ভোরে মায়ের স্নান ও আরতির পর ভক্তদের জন্য গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হয়। সারাদিন দেবী তারা রূপে পূজিতা হয়।এর পরেই সন্ধ্যায় দেবীকে ডাকের সাজে সাজিয়ে রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজিয়ে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করা হয়।

আরও পড়ুন: Cyclone Michaung: ফের ঘূর্ণিঝড়ের হুঙ্কার! নভেম্বরের শেষেই সাগরে ভয়ঙ্কর রূপ, ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাংলায়

আরও পড়ুন: Malda News: ২ সন্তানের মা এখনও নাবালিকা! শিশু বিক্রির তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

মায়ের অন্যরকম এই রূপ দেখতে প্রতিবছরই এই দিনে তারাপীঠে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। কলকাতা থেকে আগত এক দর্শনার্থী জানান তিনি প্রত্যেক বছর জগদ্ধাত্রী পূজার দিন মা তারার অপরূপ দর্শন করবার জন্য ছুটে আসেন। বিশেষ এই তিথিতে মায়ের কাছে ডালা সাজিয়ে পুজো দিলে পূর্ণ অর্জন হয়।

সৌভিক রায়

Jagadhatri Puja 2023: ৪৫০ বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে দেখুড়িয়া গ্রামে

বীরভূম: সম্পত্তি রক্ষা করতে এবং গ্রামের সমৃদ্ধি ফেরাতে এই গ্রামে শুরু হয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজো। তা প্রায় ৪৫০ বছর আগের ঘটনা। সেই থেকে আজও জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে চলেছে দেখুড়িয়া গ্রামে। গ্রামবাসীরা সকলে মিলে পুজোর আয়োজন করলেও সেই প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত ভট্টাচার্য পরিবার এই পুজোর সেবাইতের ভূমিকা পালন করছে।

গ্রামবাসীরা জানান, মায়ের নিত্যপুজোর জন্য গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল ভট্টাচার্য পরিবারকে। তাঁদের বংশধররা আজ‌ও পুজো চালিয়ে আসছেন। পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দেখুড়িয়া গ্রামে একসময় তেজচন্দ্র রায়, সতীশ রায়দের পূর্বপুরুষেরা এখানে জমিদারি শুরু করেছিলেন। গ্রামে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফেরাতে তাঁরাই জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা করেছিলেন। তখনই পুজোপাঠ করার জন্য সত্যঞ্জিব ভট্টাচার্য নামে এক পুরোহিতকে গ্রামে নিয়ে আসেন জমিদাররা। শুরু হয় গ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজো।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে রক্ষার আর্তি ফুটে উঠল বালিতে

মা জগদ্ধাত্রীকে ইষ্ট দেবতা হিসাবে পুজো করেন গ্রামবাসীরা। তার পরই গ্রামে শুরু হয় কালী পুজো। মা কালীকে গ্রাম্যদেবী রূপে পুজো করেন এখানকার বাসিন্দারা। পুজোর জন্য জমি দান করে গিয়েছিলেন পুজোর প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু কালক্রমে সেই জমির বেশ কিছু অংশ বেহাত হয়ে গিয়েছে। তাই এখন পুজো হয় সবার সাহায্যে। বর্তমানে পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সৌমব্রত রায়, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ময়ূখ চট্টোপাধ্যায়, পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায়রা জানান, প্রাচীন রীতি মেনে এখানে শুধুমাত্র নবমীর দিন পুজো করা হয়। ওইদিনই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর পুজো হয়। যেহেতু দ্বারকা নদী উত্তরদিকে বয়ে চলেছে, তাই দ্বারকা নদীর জল গঙ্গার সমান পবিত্র বলে বিশ্বাস মানুষের। মঙ্গলবার ভোরের দিকে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কাঁসর, ঘণ্টা, ঢাক ঢোল নিয়ে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকা নদী থেকে সুসজ্জিত ঘট ভরে আনা হয়। বলিদান প্রথা আজও রয়ে গিয়েছে এখানে। অন্যান্য বারের মত এবারেও সন্ধেত হাজার পাঁচেক মানুষের মধ্যে পুজোর ভোগ বিতরণ করা হয়। দশমীর সন্ধেয় মাকে গ্রাম ঘুরিয়ে নিরঞ্জন দেওয়া হবে বড় পুকুরে। এটাই এই পুজোর রীতি।

এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে পার্শ্ববর্তী উদয়পুর, বলরামপুর, কাঁদা, কামাখ্যা, সাতঘড়িয়া সহ আট-দশটি গ্রামের মানুষ। তারাপীঠের সেবাইত থেকে রামপুরহাট শহরের মানুষও পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস গ্রামের ইষ্ট দেবীর কাছে মানত করলে তা পূরণ হয়। সেই বিশ্বাসে বহু মানুষ মায়ের কাছে মানসিক করে পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। কেউ কেউ প্রতিমা দেওয়ার অঙ্গীকারও করে থাকেন। সেই মত এবার কাটোয়ার বনকাপাসির বাসিন্দা পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিমা দিয়েছেন। প্রতিমা তৈরি করেছেন রাপুরহাটের শিল্পী অঙ্কন শর্মা। পুজো উপলক্ষ্যে গ্রামে মেলা বসে। কর্মসূত্রে কিংবা বিবাহ সূত্রে গ্রামের বাইরে থাকা মেয়ে কিংবা পুরুষরা জগদ্ধাত্রী পুজোয় গ্রামে ফেরেন। পুজোয় তাঁদের অংশগ্রহণ গ্রামে মিলন উৎসবের চেহারা নেয়।

সৌভিক রায়

Birbhum News: বিশ্বভারতীতে নয়া ফলক, বার্তা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের

বীরভূম: বিশ্বভারতীতে পুরানো ফলক সরিয়ে দ্রুত নয়া ফলক বসানোর বার্তা পাঠাল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। পাশাপাশি প্রাক্তন উপাচার্যকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ‘পূর্বিতা’ বাসভবন খালি করার কথাও বলা হয়েছে।

ইউনেস্কোর দেওয়া বিশেষ তকমাকে নিয়ে যে ফলক বিতর্ক চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে, অবশেষ তার অবসান করতে আসরে নামল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফলকে শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম রাখা যেতে পারে। তবে এই বিষয়ে একটি ছ’জনের কমিটি গঠন করা হয়েছে তারাই ঠিক করবেন ফলকে কি লেখা থাকবে। এছাড়াও বাংলা, হিন্দি ও ইংরাজিতে ফলকের লেখাগুলো রাখার কথা বলা হয়েছে বলে বিশ্বভারতীসূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: এ বারে শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠেই ফের পৌষমেলা? উপাচার্য বদলি হতেই বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত

অন্যদিকে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘পূর্বিতা’ বাসভবনে থাকতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে।। বর্তমানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। দায়িত্বভার পাওয়ার পরই সঞ্জয় কুমার মল্লিক কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের বৈঠকে যোগদান করেন। বৈঠক শেষে শান্তিনিকেতনে ফিরেই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন তিনি।

আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দেওয়াল লিখন মানা বীরভূমের এই গ্রামে

ফলকের লেখা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেই তা শীঘ্রই কার্যকর করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রাক্তন উপাচার্যের মেয়াদ শেষের পরেও ‘পূর্বিতা” বাসভবনে থাকার বিষয়টিও নির্ধারিত তারিখের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সৌভিক রায়

Birbhum News: অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়িতে মরা টিকটিকি! খাওয়ার পরই আতঙ্কে হাসপাতালে ভর্তি ২০ জন

বীরভূম: আবারও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে মিলল মরা টিকটিকি। এর আগেও বেশ কয়েকবার বীরভূমের বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে মরা টিকটিকি বা অন্য বিষাক্ত প্রাণী পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি খয়রাশোলের। এদিকে খাবারে মরা টিকটিকি পড়েছিল, এই খবর ছাড়াতেই আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই খাবার খাওয়া শিশু সহ মোট ২০ জন। তাঁদেরকে খয়রাশোলের নকড়াকোন্ডা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: স্কুলটাইমে লাগাতার হামলায় আহত এক মহিলা-সহ তিন, আততায়ীকে ঘিরে পুলিশ, কী ঘটল খাকুড়দায়

বুধবার খয়রাশোল ব্লকের রানীপাথর গ্রামের দাসপাড়া ৩৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়ি দেওয়া হয় স্থানীয় শিশু এবং তাদের মায়েদের। মোট ১০০ জনের জন্য রান্না করা হলেও এদিন ৬০ জনকে খিচুড়ি দেওয়া হয়েছিল। এরপরই খিচুড়ির মধ্যে মরা টিকটিকি দেখতে পান অভিভাবকরা। এই ঘটনাতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরই তৃণমূল এবং বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে হাজির হন। সেখানে গিয়ে পৌঁছন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা। তিনি গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।

প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই রাজনগরে লক্ষ্মীপুজোর প্রসাদের বাসি খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোট ২১ জন। তাঁদের মধ্যে এক শিশু সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। তার কয়েকদিন পর এবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে মরা টিকটিকি পাওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে।

সৌভিক রায়

Kali Puja 2023: তান্ত্রিক বলভদ্রের ৫০০ বছরের কালীপুজো আজও হয়ে চলেছে

বীরভূম: প্রায় ৫০০ বছর পুরনো কালীপুজোর কথা বলব আপনাদের। এই পুজো দেখতে হলে যেতে হবে লাল মাটির জেলা বীরভূমের বোলপুরে। সেখানকার গোয়ালপাড়া গ্রামে এই বহু প্রাচীন কালীপুজোটি অবস্থিত। গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবার এই পুজো করে আসছে বহু যুগ ধরে।

আরও পড়ুন: বেপরোয়া লরির ধাক্কায় শেষ হয়ে গেল যুবক-যুবতীর স্বপ্ন

জানা যায়, গোয়ালপাড়া গ্রামের বলভদ্র কালী অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ। এই গ্রামের পাশ দিয়ে আপন মনে বয়ে চলেছে কোপাই নদী। আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে এই কোপাই নদীর ধারে একটি বিশাল শেওড়া গাছ ছিল। ওই গাছের তলাতেই সাধনা করতেন তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামী। পরবর্তীতে ঐ তান্ত্রিক নিজের নাম অনুসারে এই কালীপুজো শুরু করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন বলভদ্র কালী। গ্রামের প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে জানা যায়, বলভদ্র তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই পুজোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন গ্রামের কাশীনাথ ভট্টাচার্যের হাতে। কিন্তু কাশীনাথবাবুর আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় তিনি এই পুজোর আয়োজন করতে সাহস পাননি। তখন তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামী তাঁকে অভয় দেন। পরে এই কালীপুজো মহা সমারহে আয়োজিত হয়।

এই পুজোর জন্য গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা থাকুমনি বন্দোপাধ্যায় তাঁর নিজের ৯ বিঘা জমি ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
পরবর্তীকালে এই বলভদ্র কালীপুজোটি কোপাই নদীর তীর থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে গোয়ালপাড়া গ্রামের কেন্দ্রস্থল বটতলায় স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ঐতিহাসিক পুজো গ্রামের কালিদাস সরকারের দেওয়া জমিতে হয়ে আসছে। ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা জানান, বলভদ্র গোস্বামীর শেষ ইচ্ছে ছিল ১০৮ টি মড়ার খুলির নিচে কালীপুজোর জায়গাতেই যেন তাঁর দেহ সমাধিস্ত করা হয়। তাঁর নির্দেশ মতো আজও কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে এই পুজো হয়ে আসছে।

সৌভিক রায়