Tag Archives: Kali Puja 2023

Bangla News: রক্ষাকালীর মানত মানেই বলি নয়! পায়রা নিবেদন করে উড়িয়ে দেওয়ায় এই মন্দিরের রীতি

দক্ষিণ দিনাজপুর: বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে ভারতীয় সেনারা শক্তির আরাধনা করে। সেই সময় এই মায়ের প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর থেকেই সীমান্ত লাগুয়া ১৪ হাত রক্ষাকালীন মায়ের পুজো প্রতি বছর হয়ে আসছে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগুয়া এলাকায় অবস্থিত এই ১৪ হাত রক্ষা কালীর পুজো প্রতি বছর নিয়মনিষ্ঠা অনুসারে হয়ে আসছে।

মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, মায়ের কাছে বলি প্রথা প্রচলন না থাকলেও তবে পুজোর দিন কোনও ভক্ত মানত করলে মা তার মনের আশা পূরণ করে। ফলে প্রতিবছরই প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে এ মেলাকে কেন্দ্র করে। মূলত এখানে মায়ের উদ্দেশ্যে পায়রা নিবেদন করার প্রচলন রয়েছে। পায়রা মানত করে বলি নয়, পুজোর দিন মন্দিরের সামনে উড়িয়ে দেওয়ার রীতি প্রচলন রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্কুলে কমছে পুজোর ছুটি, লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াদের জন্য বিরাট সিদ্ধান্ত রাজ্যের

তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখের প্রচলিত কথা অনুসারে বোল্লা মায়ের সাত বোনের মধ্যে ১৪ হাত রক্ষা কালীর বোন হিসেবে পরিচিত। তাই বড় বোন হিসেবে বোল্লা মায়ের পুজোর দশদিন পরে ছোট বোন হিসেবে ১৪ হাত রক্ষা কালীর এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজোকে ঘিরে বহু ভক্তবৃন্দদের সমাগম লক্ষ্য করা যায় মন্দির প্রাঙ্গনে। তবে এই পুজোয় মায়ের বিসর্জন হয় না। মা সারা বছরই মন্দিরে বিরাজ করে। তাই ভক্তরা বছরের প্রতিটা দিন এখানে এসে মায়ের দর্শন করতে পারে।

সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর হওয়ার ফলে সীমান্তের ওপারে অবস্থিত বাংলাদেশের বহু মানুষের আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একটা সময়ে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত কঠোর ভাবে না থাকার জন্য প্রতি বছরই ওপার বাংলা থেকে বহু মানুষ আসতেন মাকে দর্শন করার জন্য। তবে সে সমস্ত আজ অতীত হলেও প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু সাধারণ মানুষের সমাগম হয়ে থাকে এই ১৪ হাত কালীর মেলাতে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Kali Idol Emersion: কালী পূজার ২২ দিন পর হয় বিসর্জন, চাকা ছাড়াই গড়িয়ে যায় প্রতিমা! ৪২ ফুট উঁচু প্রতিমা দেখতে উপচে পড়া ভিড়

মালদহ: কোন চাকা লাগানো নেই, তারপরেও দড়িতে টান দিতেই এগিয়ে চলেছে মা কালীর বিশাল মূর্তি। কয়েকশো ভক্ত দড়ি ধরে মা কালীর মূর্তি বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাচ্ছে। অল্প দূর নয়, মন্দির থেকে প্রায় ছয়শো মিটার দূরে এই ভাবেই ৪২ ফুটের কালী মূর্তি নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিবছর।

বিসর্জন দেখতে বহু দূর দূরান্তের মানুষ ভিড় করেন এখানে। মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী বাজার সার্বজনীন কালী প্রতিমার বিসর্জন আকর্ষণীয়। বিসর্জন দেখতে ও দড়ি টানতে বহু ভক্তের সমাগম হয়।
মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী বাজার সার্বজনীন কালী প্রতিমা ৪২ ফুট উচ্চতার। মন্দিরেই তৈরি করা হয় প্রতিমা। তবে এই বিশাল প্রতিমা প্রতিবছর বিসর্জন দেওয়া হয়। তাই মজবুত করে তৈরি করা হয় প্রতিমার কাঠামো।

আরও পড়ুন: শীতকালে মাথায় দলা দলা খুশকি দূর করার ওস্তাদ, সহজলভ্য এই পাতাটি চেনেন? খুবই পরিচিত

পুজো কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, ‘আমাদের প্রতিমা এই ভাবেই বিসর্জন করা হয়। কোন চাকা লাগানো হয় না। কাঠামোর নিচে বাঁশ দেওয়া হয়। ভক্তরা কাঠামোতে দড়ি বেঁধে টান দেয়। এই ভাবেই প্রতিমা বিসর্জন হয়ে আসছে।’ পুজোর পর এবার ২১ দিন মন্দিরে ছিল প্রতিমা। পুজা উপলক্ষে এতদিন মেলা চলছিল। পুজোর ২২ দিনের বিসর্জন দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: এমনই নেশা যে পকেটে রাখেন, ফাঁস সানি দেওলের গোপন অভ্যেস, লজ্জায় লাল অভিনেতা! দেখুন

বিসর্জনের সময় প্রতিমার কাঠামোর দুই দিকে মোটা দড়ি বেঁধে টান দেওয়া হয়। রাস্তায় ফেলা হয় বাঁশ। কোন চাকার প্রয়োজন হয়না। বাঁশের উপর দিয়েই প্রতিমার কাঠামো এগিয়ে যায় সামনের দিকে। রাস্তার দুই পাশের বাড়ির থেকে প্রতিমা উঁচু। ওই অবস্থায় রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মন্দির থেকে প্রায় ছয়শো মিটার দূরে একটি জলাশয়ে বিসর্জয় দেওয়া হয় প্রতিমা। প্রতিবছরের মত এবারো কয়েক হাজার মানুষের ঢল নামে বিসর্জন দেখার।

হরষিত সিংহ

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

মদ বিক্রিতে মালামাল রাজ্য, টাকার অঙ্ক জানলে অবাক হবেন

মদ বিক্রিতে মালামাল রাজ্য। দুর্গা পুজার পর কালী পুজোতেও কোটি কোটি টাকার আয় মদ থেকে রাজ্যের। কালীপুজোয় কত টাকার আয় করল রাজ্য মদ থেকে? জানলে অবাক হবেন।

কালীপুজোতেও রেকর্ড মদ বিক্রি! রাজ্য় সরকারের লক্ষ্মীলাভ

কালীপুজোয় রেকর্ড মদ বিক্রি! মদ বিক্রিতে ৩৫০ কোটি টাকা আয় রাজ্যের। ৩ দিনে মদ থেকে ৩৫০ কোটি আয় রাজ্যের। ১৩ নভেম্বর সবথেকে বেশি মদ বিক্রি রাজ্যে। গত বছরের তুলনায় মদ বিক্রিতে আয় বাড়ল ২০‍%। কালীপুজোয় দেশে তৈরি বিদেশি মদের চাহিদা তুঙ্গে। উৎসবের মরশুমে মদ থেকে ১০০০ কোটি আয় রাজ্যের।

Kali Puja 2023: ৫০২ বছর ধরে ভট্টাচার্য পরিবারের ছেলেরাই কালীপুজো করে আসছেন

হুগলি: খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়ির ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোকে ঘিরে রয়েছে নানান জনশ্রুতি ও ইতিহাস। ৫০২ বছরে ধরে রীতি মেনে ভট্টাচার্য বাড়ির দক্ষিণা কালীর পুজোপাঠ হয়ে আসছে। কথিত আছে, ৫০২ বছর আগে রাধাবল্লভপুরে সন্ধেবেলা একটি মেয়ে কালীমন্দিরে সন্ধ্যা প্রদীপ দেখাতে এসে অদৃশ্য হয়ে যায়। চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখন গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে মন্দিরে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয় মা কালীকে বনে রেখে আসা হবে। মন্দিরের পাশে বিশাল কচু বনে মাকে ফেলে আসা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: একসময় ছিল মহাশ্মশান! জেলার শেষ প্রান্তে রয়েছে দেবী ছিন্নমস্তার মন্দির

তার কিছুদিন পর খানাকুলের কৃষ্ণনগরের এক বাসিন্দা স্বপ্নাদেশ পান। তিনি মা কালীকে আবার উদ্ধার করে দক্ষিণা কালী রূপে প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই থেকে রীতি মেনে পুজো শুরু হয়। এই বিষয়ে পরিবারের সদস্য সৌরভ ভট্টাচার্য জানান, এই কালী মাকে প্রথম জমিদার বংশের লোকেরা পুজো করতেন। এখানে পঞ্চমুণ্ডের আসনে বসে মা কালীর পুজোপাঠ হয় এবং সারা বছর পঞ্চমুণ্ডের বেদীটি জলে ভিজে থাকে। তাই বংশধরেরা মনে করেন এই মায়ের আসনের সঙ্গে মা গঙ্গার যোগাযোগ আছে।

ভট্টাচার্য পরিবারের আরেক সদস্য বলেন, পুজোর সমস্ত কাজ পুরুষরাই করে থাকে। মহিলাদের গর্ভগৃহে গিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। সব মিলিয়ে মায়ের পুজোয় যাতে কোন‌ঝ খুঁত না থাকে সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখে ভট্টাচার্য পরিবার। আর বৈদিক রীতি মেনে সমস্ত নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে মা কালীর পুজোর প্রস্তুতি চলছে খানাকুলের ভট্টাচার্য বাড়িতে।

শুভজিৎ ঘোষ

Kali Puja 2023: তান্ত্রিক বলভদ্রের ৫০০ বছরের কালীপুজো আজও হয়ে চলেছে

বীরভূম: প্রায় ৫০০ বছর পুরনো কালীপুজোর কথা বলব আপনাদের। এই পুজো দেখতে হলে যেতে হবে লাল মাটির জেলা বীরভূমের বোলপুরে। সেখানকার গোয়ালপাড়া গ্রামে এই বহু প্রাচীন কালীপুজোটি অবস্থিত। গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবার এই পুজো করে আসছে বহু যুগ ধরে।

আরও পড়ুন: বেপরোয়া লরির ধাক্কায় শেষ হয়ে গেল যুবক-যুবতীর স্বপ্ন

জানা যায়, গোয়ালপাড়া গ্রামের বলভদ্র কালী অত্যন্ত ঐতিহ্যপূর্ণ। এই গ্রামের পাশ দিয়ে আপন মনে বয়ে চলেছে কোপাই নদী। আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর আগে এই কোপাই নদীর ধারে একটি বিশাল শেওড়া গাছ ছিল। ওই গাছের তলাতেই সাধনা করতেন তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামী। পরবর্তীতে ঐ তান্ত্রিক নিজের নাম অনুসারে এই কালীপুজো শুরু করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন বলভদ্র কালী। গ্রামের প্রবীণ নাগরিকদের কাছ থেকে জানা যায়, বলভদ্র তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই পুজোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন গ্রামের কাশীনাথ ভট্টাচার্যের হাতে। কিন্তু কাশীনাথবাবুর আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় তিনি এই পুজোর আয়োজন করতে সাহস পাননি। তখন তান্ত্রিক বলভদ্র গোস্বামী তাঁকে অভয় দেন। পরে এই কালীপুজো মহা সমারহে আয়োজিত হয়।

এই পুজোর জন্য গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা থাকুমনি বন্দোপাধ্যায় তাঁর নিজের ৯ বিঘা জমি ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
পরবর্তীকালে এই বলভদ্র কালীপুজোটি কোপাই নদীর তীর থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে গোয়ালপাড়া গ্রামের কেন্দ্রস্থল বটতলায় স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে এই ঐতিহাসিক পুজো গ্রামের কালিদাস সরকারের দেওয়া জমিতে হয়ে আসছে। ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা জানান, বলভদ্র গোস্বামীর শেষ ইচ্ছে ছিল ১০৮ টি মড়ার খুলির নিচে কালীপুজোর জায়গাতেই যেন তাঁর দেহ সমাধিস্ত করা হয়। তাঁর নির্দেশ মতো আজও কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে এই পুজো হয়ে আসছে।

সৌভিক রায়