দক্ষিণ দিনাজপুর: বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে ভারতীয় সেনারা শক্তির আরাধনা করে। সেই সময় এই মায়ের প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর থেকেই সীমান্ত লাগুয়া ১৪ হাত রক্ষাকালীন মায়ের পুজো প্রতি বছর হয়ে আসছে।দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগুয়া এলাকায় অবস্থিত এই ১৪ হাত রক্ষা কালীর পুজো প্রতি বছর নিয়মনিষ্ঠা অনুসারে হয়ে আসছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, মায়ের কাছে বলি প্রথা প্রচলন না থাকলেও তবে পুজোর দিন কোনও ভক্ত মানত করলে মা তার মনের আশা পূরণ করে। ফলে প্রতিবছরই প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে এ মেলাকে কেন্দ্র করে। মূলত এখানে মায়ের উদ্দেশ্যে পায়রা নিবেদন করার প্রচলন রয়েছে। পায়রা মানত করে বলি নয়, পুজোর দিন মন্দিরের সামনে উড়িয়ে দেওয়ার রীতি প্রচলন রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্কুলে কমছে পুজোর ছুটি, লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াদের জন্য বিরাট সিদ্ধান্ত রাজ্যের
তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখের প্রচলিত কথা অনুসারে বোল্লা মায়ের সাত বোনের মধ্যে ১৪ হাত রক্ষা কালীর বোন হিসেবে পরিচিত। তাই বড় বোন হিসেবে বোল্লা মায়ের পুজোর দশদিন পরে ছোট বোন হিসেবে ১৪ হাত রক্ষা কালীর এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুজোকে ঘিরে বহু ভক্তবৃন্দদের সমাগম লক্ষ্য করা যায় মন্দির প্রাঙ্গনে। তবে এই পুজোয় মায়ের বিসর্জন হয় না। মা সারা বছরই মন্দিরে বিরাজ করে। তাই ভক্তরা বছরের প্রতিটা দিন এখানে এসে মায়ের দর্শন করতে পারে।
সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর হওয়ার ফলে সীমান্তের ওপারে অবস্থিত বাংলাদেশের বহু মানুষের আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একটা সময়ে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত কঠোর ভাবে না থাকার জন্য প্রতি বছরই ওপার বাংলা থেকে বহু মানুষ আসতেন মাকে দর্শন করার জন্য। তবে সে সমস্ত আজ অতীত হলেও প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু সাধারণ মানুষের সমাগম হয়ে থাকে এই ১৪ হাত কালীর মেলাতে।
সুস্মিতা গোস্বামী