চা বাগান এলাকা

River Erosion: এগিয়ে আসছে বসরা নদী, চা বাগানের ৮০ হেক্টর জমি তলিয়ে গিয়েছে

আলিপুরদুয়ার: নদীতে বাঁধ না থাকার কারণে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের দিকে এগিয়েছে নদী।ইতিমধ্যেই নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে কয়েকশো চা গাছ। পাশাপাশি পানীয় জল দূষণ সহ একাধিক সমস্যায় জর্জরিত কালচিনি ব্লকের সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগান। সব মিলিয়ে বসরা নদী ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে চা বলয়ে।

খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করেছেন আলিপুরদুয়ার বিধায়ক তথা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি চা বাগানের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। ভুটান সীমান্ত ঘেঁষা এই সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকার এক দিকে রয়েছে পানা ও উপর দিকে রয়েছে বাসরা নদী। প্রতিবছরই ভুটান পাহাড়ের জল মিলিত হয় সেন্ট্রাল ডুয়ার্সের এই দুই নদীতে। ফলে বৃষ্টি শুরু হলেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে এই দুই নদী।বাসিন্দাদের দাবি, এই বাসরা নদী ধীরে ধীরে চা বাগানের দিকেই এগোচ্ছে। যারফলে ইতিমধ্যেই অনেক চা গাছ সহ জমি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত হওয়ার পথে ফরাক্কা, আধুনিক চিমনি বসাচ্ছে এনটিপিসি

এই পরিস্থিতিতে ঘর হারানোর ভয়ে আছে একাধিক শ্রমিক পরিবার। অবশেষে জমি বাঁচাতে অস্থায়ীভাবে বাঁধ তৈরির করলেও তাতে সফলতা পাননি বাগান কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এই বাগানের পাশেই রয়েছে ভুটানের শিল্পাঞ্চল। সেখানের ধোঁয়ায় দূষণ ছড়াচ্ছে বাগানে। চর্মরোগ সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে দাবি বাসিন্দাদের। পাশাপাশি পানীয় জলের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বাগানের পানা ডিভিশনের কয়েক হাজার বাসিন্দা। এছাড়াও বাগানের প্রবেশের সড়কও একদিকে ধসে গিয়েছে।

এই বিষয়ে বাগানের ম্যানেজার শান্তনু বসু বলেন, নদী বাঁধ সহ সড়ক, পানীয় জল, দূষণ সহ একাধিক সমস্যা রয়েছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি পুরো বিষয়টা। আশা করছি তাঁরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।’

বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, নদীতে বাঁধ না থাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ হেক্টর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বেশ কয়েকটি শ্রমিক আবাসনও এই নদীর গ্রাসে চলে যাবে বলে আশঙ্কা বাগান কর্তৃপক্ষের।

অনন্যা দে