বৃষ্টিপাতের ফলে কিছুটা বিপত্তি

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে বেঁচে গেল বীরভূম, বৃষ্টি হলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি

বীরভূম: রিমলের ধাক্কায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকলেও অনেকটাই রেহাই পেল বীরভূম। জেলায় বৃষ্টি হলেও বড় কোন‌ও বিপদ ঘটেনি। টানা বৃষ্টিতে বোলপুরে জল জমেছে বেশ কিছু এলাকায়। অন্যদিকে রামপুরহাটের বিভিন্ন ওয়ার্ড‌ও জলমগ্ন হয়েছে। কোথাও ঝড়ে গাছ পড়ে বিপত্তি ঘটেছে। তবে বড় কোন‌ও বিপর্যয় হয়নি জেলায়।

দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য বহুল জেলায় জনজীবন লণ্ডভণ্ড করার মত পরিস্থিতি তৈরি হলেও সেই বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছে লাল মাটির জেলা বীরভূম। তবে রবিবার রাত থেকে হাওয়ার দাপটে লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার-সহ বহু এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে।কয়েক যায়গায় মাটির বাড়িও পড়ে যায়। যদিও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জেলায়।

আরও পড়ুন: রিমলের প্রভাবে স্বস্তি উত্তরে, পাট-চা চাষে জলের ঘাটতি মেটার আশা

এক কথায় ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বীরভূমে। দিনভর ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২.৩ মিলিমিটার। তবে রিমল বিপর্যয় মোকাবিলায় শান্তিনিকেতন থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে নিয়ে যাওয়া হয় এই জেলার বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাদার ও বিদ্যুৎ কর্মীদের। বীরভূম নিয়ে প্রশাসন নিশ্চিন্ত থাকলেও ভিন জেলার বিপর্যয়ে ব্যতিব্যস্ত করেছে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ দফতরকে। কারণ রবিবার ডায়মন্ডহারবারে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই শান্তিনিকেতন থেকে বাসে করে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা রওনা হন ডায়মন্ডহারবারের উদ্দেশ্যে।

বিদ্যুৎ দফতরের শান্তিনিকেতনের ডিভিশনাল ম্যানেজার পরিমল সরকার বলেন, ডায়মন্ডহারবারের পরিস্থিতি উদ্বেগের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে জরুরি খবর পৌঁছয়। অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে বৃষ্টিপাতের কারণে। ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই মতই তড়িঘড়ি বাস ভাড়া করে প্রায় ৫০ জন ঠিকাদার কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলেই কর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগের কাজে নেমে পড়বেন।

শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি পল্লি ও ইলামবাজারের জঙ্গলে বড় বড় সোনাঝুরি, ইউক্লেক্টর, বট গাছ পড়ে যায়। শান্তিনিকেতনের রতনকুঠির পাশে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ভেঙে পড়লে ঘেরা দেওয়ালের ক্ষতি হয়েছে। লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার-সহ বোলপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কয়েকটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ও অস্থায়ী আস্তানা ভেঙে পড়ে। এদিকে বৃষ্টিপাত হলেও কোনও জলাধার থেকে সেইভাবে জল ছাড়া হয়নি।আর তার ফলে নিচু এলাকাগুলি বিপর্যয়ের মুখ থেকে রেহাই পেয়েছে।

সৌভিক রায়