জেলার ধান চাষ

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বৃষ্টি শুরু, চওড়া হাসি চাষিদের মুখে

কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের আকাশজুড়ে মেঘ আর রোদের লুকোচুরি। দক্ষিণ বঙ্গ পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে গিয়ে পৌঁছেছে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে এখানকার সবকটি জেলাতেই।

দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিতে ভিজেছে। রিমলের প্রভাব পড়েছে উত্তরেও। আলিপুরে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এই বৃষ্টি চাষের জন্য খুশির খবর নিয়ে এসেছে। বেশিরভাগ চাষিই এতে খুশি। তবে এই বৃষ্টি অন্য কিছু চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে জমিতে ঢুকেছে নোনা জল! উপকূলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা

কোচবিহার জোলার ভুট্টা চাষি মদন দেবনাথ জানান, তাঁর জমির ভুট্টা এখনূ পর্যন্ত সম্পূর্ণ তোলা হয়নি। এরপর ভুট্টা শুকানোর একটা বিষয় আছে। এরই মাঝে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি ভয় পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে চাষের জন্য খরচ করা টাকার অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে তিনি জানান। জেলার আরেক ধান চাষি নরেন্দ্র চন্দ্র দাস জানান, তাঁর জমির সম্পূর্ণ ধান তোলা শেষ হয়ে গেলেও ধান শুকানো সম্ভব হয়নি। তাই কিছুটা হলেও অস্বস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।

কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী শঙ্কর সাহা জানান, যেভাবে গরমের মাত্রা বাড়ছিল তাতে চাষের অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছিল জেলায়। বর্তমান সময়ে এই বৃষ্টিপাত চাষের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুখবর বয়ে নিয়ে এসেছে। গরমের কারণে পাট চাষিরা অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন। বৃষ্টির কারণে এবার পাট চাষে তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হবে। তবে বেশ কিছু কৃষক এখনও ভুট্টা ও ধান সম্পূর্ণ তুলে উঠতে পারেননি। তাঁদের জন্য কিছুটা হলেও চিন্তা রয়েছে। তবে সেই সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। এতে জেলার চাষের ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি ক্ষতি হবে না।

সার্থক পণ্ডিত