গাপ্পি মাছ

Dengue Prevention: ডেঙ্গি রোধের মাধ্যমে জেলায় কর্মসংস্থান! অভিনব ঘটনা এখানে

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের মানচিত্রে এই জেলা অন্যতম ডেঙ্গি প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত। আর তাই এবার আগেভাগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি রোধের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। যা জেলায় কর্মসংস্থানের পথ খুলে দিয়েছে। গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষাকাল দরজায় কড়া নাড়ছে। বর্ষাকাল মানেই ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে ওঠে। আর ডেঙ্গি রোধে বা ডেঙ্গি দমনে একাধিক উপায় গ্রহণ করে প্রশাসন। যার মধ্যে অন্যতম হল শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় ড্রেন ও খাল নালাতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। কারণ গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে মশার বংশ বিস্তার রোধ করে। আর এই গাপ্পি মাছ-ই কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে আবার সবুজ চা বাগান, মুখে হাসি মালিক থেকে শ্রমিকদের

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ডেঙ্গি প্রবণ হওয়ায় এবার জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকার ড্রেন, নালা ও জলাশয়ে প্রায় ১০ লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এই বিপুল পরিমাণ মাছের বরাত দেওয়া হয়েছে সিএডিসি তমলুক প্রজেক্টকে। সিএডিসি এই কাজের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিযুক্ত করেছে। তাঁরা দায়িত্ব পেয়ে গাপ্পি মাছ উৎপাদন শুরু করেছেন। জেলার ২৫ টি ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্ট নিজেরাই ২ লক্ষ গাপ্পি মাছ উৎপাদন করবে। বাকি ৮ লক্ষ গাপ্পি মাছ জেলার ২৫ টি ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের মহিলাদের দিয়ে উৎপাদন করানো হবে। এর ফলে গ্রামের মহিলাদের একাংশ গাপ্পি মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

এই বিষয়ে সিএডিসি তমলুক প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, এই মাছ চাষের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের পর মহিলাদের বিনামূল্যে চাষের জন্য গাপ্পি দেওয়া হবে। গাপ্পি মাছের বাজার মূল্য এক থেকে দেড় টাকা। আর এর চাষের খরচ বাজার মূল্যর থেকে তিন ভাগের এক ভাগ। ফলে এই মাছ চাষ করে লাভবান হবে মহিলারা।

সৈকত শী