Tag Archives: dengue cases

Alipurduar News: হু হু করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ‍্যা বাড়ছে এই জেলায়! আক্রান্ত প্রায় ৩০০…

আলিপুরদুয়ার: জেলায় নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি।সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩৯ জন। ডেঙ্গির আক্রমণ লাফিয়ে বেড়ে চলায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

আলিপুরদুয়ার জেলায় বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৬১। এই সংখ্যা ৩০০-র ঘরে যেতে বেশি সময় লাগবে না বলে আশঙ্কা। সবথেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে কালচিনি ব্লকে বর্তমানে কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪ জন। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৫০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানা গিয়েছে গতবছরের তুলনায় এবছরের ছবিটা ভয়াবহ। এবছর বর্ষা আসার পূর্বেই ডেঙ্গি ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছিল আলিপুরদুয়ার জেলায়। বিশেষ করে জেলার মধ্যে কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

আরও পড়ুন: চুরি যাচ্ছিল একের পর এক মোটরবাইক, পুলিশি অভিযানে বড় চক্রের হদিস

বর্তমানে জেলাজুড়ে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে আর তীব্র গরম রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান,  এই পরিবেশ ডেঙ্গি বিস্তারের পক্ষে অনুকূল।ডেঙ্গি যাতে বিস্তার লাভ করতে না পারে তার জন্য ইতিমধ্যে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের থেকে রক্তের নমুনা সংগ্ৰহ করা হচ্ছে, এছাড়া সচেতনতা চালানো হচ্ছে।

Dengue Death: ডেঙ্গিতে ১২ বছরের কিশোরের মৃত্যু, তীব্র আতঙ্ক মেদিনীপুরে

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভয় ধরাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক নাবালকের। গতবছর এই জেলায় প্রথম ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল মেদিনীপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই বছর সেই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল এক নাবালকের।

ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে নাবালকের এই মৃত্যুর ঘটনা ইতিমধ্যেই ভয় ধরিয়েছে মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দাদের মনে। যদিও এই মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম নজরদারি শুরু করেছে। এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন নমুনা ও নজরদারি চালাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের গঠন করা বিশেষ টিম। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আতঙ্কিত না হয়ে বাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: কেবল লাইন সারানোর সময় রাস্তায় ছিটকে পড়ল যুবক! তারপর…

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এক নাবালককে ভর্তি করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে ডেঙ্গি রিপোর্ট পজেটিভ আসে এবং বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। চলতি মরশুমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এটি জেলায় দ্বিতীয় ও মেদিনীপুর শহরে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। মৃত নাবালকের বয়স ১২ বছর বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, ওই নাবালক প্রথমে টাইফয়েড ও জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিল। পরে বড়মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ডেঙ্গি রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।

এই বিষয়ে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, খুবই দুঃখজনক খবর। আমরাও আজ সকালে জানতে পেরেছি। আত্মীয়তার সূত্রে, অসুস্থ অবস্থায় ওই নাবালককে ভর্তি করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরপর স্বাস্থ্য দফতরের সার্ভেলেন্স টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে, এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে শহরবাসী এবং পুর প্রশাসনকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

রঞ্জন চন্দ

Dengue Prevention: এই জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোমর বেঁধে নামল প্রশাসন

মালদহ: বর্ষাকাল শুরু হতেই জেলায় তরতরিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গা আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মশা সহ অন্যান্য পতঙ্গবাহিত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিল প্রশাসন। মালদহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।

চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় ব্যাপক হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তিন শতাধিক ছাড়িয়েছে। আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। শুধুমাত্র শহরে নয়, এই বছর মালদহ জেলার গ্রামীণ এলাকাতেও ব্যাপক হারে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই শহরের পাশাপাশি এই বছর গ্রামীণ এলাকাতেও ডেঙ্গি সচেতনতায় একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে পতঙ্গ বাহিত রোগ সম্বন্ধে সচেতন করছেন।

আরও পড়ুন: রাতের রাস্তায় মেয়েদের সাহস জোগাবে পুলিশের শক্তি বাহিনী

প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে ভিসিটি কর্মী গীতা ঘোষ বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও যেন জল না জমে থাকে এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি কীটনাশক ছাড়ানো হচ্ছে। পতঙ্গ বাহিত রোগ নিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।

মালদহের গাজোল ব্লকেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে একাধিক কর্মসূচি চলছে। ভিসিটি কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ডেঙ্গি থেকে কীভাবে বাঁচা যায় সেই বিষয় নিয়ে সচেতন করছেন গ্রামবাসীদের। পাশাপাশি যে সমস্ত জায়গায় জল জমে রয়েছে বা নোংরা আবর্জনা রয়েছে সেই জায়গাগুলিতে চলছে মশার লার্ভা নিধনকারী স্প্রে করার কাজ। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা রামপদ মহন্ত বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা আমাদের ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করে গিয়েছেন। কোথাও যেন জল না জমে থাকে, আবর্জনা যেন জমে না থাকে তা প‌ইপই করে বুঝিয়ে গিয়েছেন।

হরষিত সিংহ

Dengue Prevention Program: কেবল শহরে নয়, গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ, মোকাবিলায় উদ্যোগ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের

তমলুক: গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের। প্রতিবছর বর্ষাকাল এলেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। এ বছরও বর্ষায় তার অন্যথা হল না। রাজ্যে জুড়ে ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। সেই মতো পৌর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাকে ডেঙ্গি মুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন পৌর এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শুধু পৌর এলাকায় নয়, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রকোপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। চলতি বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গ্রামাঞ্চলগুলিতে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। তাই একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: সীমান্তে সেনার উপর আতর্কিত হামলা! গুলি চালাতেই ৪.৫ কোটির সোনা ফেলে চম্পট পাচারকারী

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সব থেকে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ রয়েছে কোলাঘাট, তমলুক ও শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পাশাপাশি পটাশপুর এলাকায়। পূর্ব মেদিনীপুরে সপ্তাহে ২৫ থেকে ৩০ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়ছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই রোগের দাপট কম হলেও, চলতি বছর গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুধু শহর অঞ্চলে নয়, গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গি প্রতিরোধের একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ডেঙ্গির প্রভাব বাড়ায় নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. বিভাস রায় জানান, রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় পরিসংখ্যান দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় বেশি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রতি সপ্তাহে একটি দিন বিশেষ কাজকর্ম করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি ড্রেন-নালা পরিষ্কার ও আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছে কিনা, তার স্ক্রিনিংয়ের কাজ করছে। গ্রামাঞ্চলগুলিতে বিশেষ নজরদারিও চলছে।

সৈকত শী

Night Garbage Cleaning: ডেঙ্গি ঠেকাতে এবার রাতেও জঞ্জাল সাফাই

মুর্শিদাবাদ: বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আর তাতেই নড়ে চড়ে বসল প্রশাসন। ঠিক হয়েছে, এবার থেকে শুধু দিনেরবেলা নয়, নৈশকালীন সাফাই অভিযান হবে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দিতে।

কান্দি পুরসভার উদ্যোগে কান্দি বাসস্ট্যান্ডে এই নৈশ কালীন সাফাই অভিযানের শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার, পুরপ্রধান জয়দেব ঘটক ও কান্দি থানার আইসি মৃণাল সিনহা।

আর‌ও পড়ুন: শিশু ও মহিলাদের সচেতনতায় বিশেষ শিবির হাওড়ার স্কুলে স্কুলে

রাত হলেই কান্দি বাসট্যান্ড চত্বরে জঞ্জালে ঢাকছে শহর। চারিদিকে দুর্গন্ধ। এইদিন পুরসভার সাফাই অভিযানে শহর কিছুটা জঞ্জালমুক্ত হয়। ওই অভিযানে সরকারী কর্মীরা যোগদান করেন। কান্দি শহরের ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টি জায়গাকে এই নৈশকালীন সাফাই অভিযানের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সমস্ত এলাকায় সাফাই অভিযান ও নোংরা আবর্জনা পরিস্কার করা হবে। ফলে ডেঙ্গি সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া-সহ পতঙ্গবাহিত অন্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বহু মানুষ। ফলে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই নৈশ কালীন সাফাই অভিযান করা হবে। এতদিন সকালে মিলত এই পরিষেবা। তবে এবার রাতেও পরিষেবা চালু হাওয়া সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুরবাসীরা।

কৌশিক অধিকারী

Malda News: সাইকেল চালিয়ে শহর ঘুরছেন পুরসভার চেয়ারম্যান, কারণ জানলে অবাক হবেন

মালদহ: ডেঙ্গি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে অভিনব কর্মসূচি পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যানের। পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ নিজে সাইকেল চালিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অলিতে গলিতে ঘুরছেন। সাইকেলের সামনে প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে ডেঙ্গি সচেতনতার বার্তা। সেই সাইকেল নিয়েই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষকে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করছেন। কারণ ইতিমধ্যে মালদহ জেলা জুড়ে ডেঙ্গি নিয়ে বিশেষ সর্তকতা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আরজি করে পৌঁছেই সোজা চারতলার সেমিনার রুমে সিবিআই-এর তদন্তকারীরা, সঙ্গে ফরেন্সিক দল

প্রতিবছর মালদহ জেলা-সহ দুই শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এই বছর বর্ষার অনেক আগে থেকেই জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ শুরু হয়েছে। এই সময় ডেঙ্গির বৃদ্ধির আরও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন থেকেই জেলার দুই পুরসভার কর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। সেই মতো পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বিভিন্ন পরিকল্পনার পাশাপাশি নিজের সাইকেল নিয়ে এলাকায় ঘুরে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন, কোথাও কোন আবর্জনা যেন জমে না থাকে জমা জল যেন নিকাশ করা হয় সেই বিষয়গুলি নিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছেন তিনি।

শুধুমাত্র ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা নয়। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যানের সাইকেল অভিযানের মধ্যে দিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, +”একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো আমি সাইকেল নিয়ে শহর ঘুরে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছি। জনসংযোগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করছি।”

হরষিত সিংহ

Dengue Prevention: ডেঙ্গি রোধে সচেতনতাই হাতিয়ার এই জেলায়

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এই বছর ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়া সংক্রমণও যথেষ্ট মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। তবে মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনাতাই হাতিয়ার প্রশাসনের। জোরকদমে সেই কাজ চলছে।

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। যদিও সুন্দরবন পুলিশ জেলায় সেই অর্থে এখনও প্রভাব পড়েনি। কিন্তু ডায়মন্ডহারবার স্বাস্থ্য জেলা ও ক্যানিং-এর দিকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে আমজনতাকে সচেতন করার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে জমা জল নিয়ে প্রতিটি গৃহস্থকে সচেতন করা হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: বেহাল রাস্তায় যখন-তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা, হুঁশ নেই প্রশাসনের

মশার লার্ভা নষ্টের উপায় জানানো হচ্ছে ক্রমাগত। জেলা জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ সামাল দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। পুরসভা ও পঞ্চায়েত, স্কুলশিক্ষক থেকে পড়ুয়া সব স্তরের কর্মীকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতার প্রচারে শামিল করা হচ্ছে। প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই মশার লার্ভা রোধে পেস্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর ফলে ডেঙ্গির লার্ভাকে সমূলে বিনষ্ট করা যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

নবাব মল্লিক

Malaria Cases: ৮ মাসে ১৪৪ জন আক্রান্ত! এই জেলায় ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বর্ষাকাল শুরু হতেই দক্ষিণবঙ্গে ডেঙ্গি সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। তবে বেশ কিছু জায়গায় ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা‌ও। গত ৮ মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৪ জন। বিষয়টি নিয়ে আমজনতার পাশাপাশি চিন্তিত চিকিৎসকরা‌ও।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ম্যালেরিয়া সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এবারের আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের মতই বলে তাঁরা দাবি করেন। জানা গিয়েছে, জুলাই পর্যন্ত এই জেলার দু’টি স্বাস্থ্যজেলার মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ এবং ডায়মন্ডহারবারে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ জন। জয়নগর-১ ও ২, ক্যানিং-১ ও ২ এবং ভাঙড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির মধ্যেই চাষের কাজ করছিলেন, বাজ পড়ে ফের কৃষকের মৃত্যু

ম্যালেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে এই জেলায় নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। জ্বর হলেই রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বৃদ্ধি করা হয়েছে টেস্টের সংখ্যাও। তবে এখনও জেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে কারোর মৃত্যু হয়নি বলে খবর। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, ২০১৪ সালের পর থেকে আসতে আসতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে ২০২১ সাল পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু ২০২২ সালের পর থেকে সেই সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করে। যদিও আক্রান্তের হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম।

সুমন সাহা

Dengue Prevention: বর্ধমান শহরে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, পরিদর্শনে বিশেষ দল

পূর্ব বর্ধমান: বর্ষাকাল শুরু হতেই ফের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। তবে বর্ষাকাল শুরু হলেও সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। আর পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। বর্ধমান শহরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তায় আছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ভারী বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জলের স্রোতও কম থাকছে। আর তাই বিভিন্ন জায়গায় জমা জলে সহজেই বংশবিস্তার ঘটছে মশার। এই জমা জল ডেঙ্গির লার্ভা জন্মানোর আদর্শ জায়গা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা।

আর‌ও পড়ুন: ভরা শ্রাবণেও বৃষ্টির দেখা নেই, সেচের অভাবে মাথায় হাত পুরুলিয়ার চাষিদের

বর্তমানে তাঁরা জেলার পাশাপাশি, বর্ধমান শহর নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন। বর্ধমান শহরে বাড়তে শুরু করছে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই বর্ধমানের একই এলাকা থেকে একাধিকজনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। বর্ধমানের রসিকপুরে ১২ জন বর্তমানে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এখনও অনেকেই জ্বরে ভুগছেন। কলকাতা থেকে ওই এলাকায় সুডার একটি দল পরিদর্শনেও এসেছিলেন।

এই বিষয়ে কলকাতা থেকে আগত নির্দিষ্ট দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী বলেন, তিন নম্বর ওয়ার্ডে সাম্প্রতিক কয়েকটি ডেঙ্গি কেস হয়েছে। তবে বর্ধমান পুরসভা তৎপরতার সঙ্গে তাদের দল নিয়ে কাজে নেমেছে। সাধারণত বাড়ির ভিতর জল জমিয়ে রাখার কারণে কিছু কিছু জায়গায় মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। ১২ টি পজিটিভ কেস এসেছে, তবে সকলেরই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চলছে। পুরসভার তরফে প্রতিদিন তাঁদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে, বাড়িতে গিয়ে দেখে আসাও হচ্ছে। পুরসভার তরফে কল সেন্টার চালু আছে। কোনওরকম সহযোগিতা লাগলে রোগী বা তাঁর পরিজনরা যাবতীয় সাহায্য পাবেন। হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে হাসপাতালে কেউ এখনও ভর্তি নেই। সকলেই ভাল আছেন, অবজারভেসনে রয়েছেন। কলকাতা থেকে আগত আধিকারিকদের পাশাপাশি , পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পুরসভার প্রতিনিধি, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Dengue Prevention: ডেঙ্গি ঠেকাতে উঠেপড়ে লেগেছে স্বাস্থ্য দফতর

পুরুলিয়া: রাজ্য জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ‌। প্রতিদিনই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের। রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি ডেঙ্গি আক্রান্তের হাদিস মিলেছে পুরুলিয়াতেও।‌ ম্যালেরিয়ার পর এবার ডেঙ্গির প্রকোপ পড়েছে জেলায়।

ইতিমধ্যেই গোটা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৮। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পাঁচ জন। ‌ ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের।‌ ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লক এলাকায়।‌

আর‌ও পড়ুন: রাখি তৈরি করে হাল ফিরেছে এই গ্রামের মহিলাদের

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে। রক্ত পরীক্ষার জন্য গ্রামে গ্রামে মেডিকেল টিম পাঠানো হচ্ছে। ঝোপঝাড় যুক্ত এলাকায় করা হচ্ছে স্প্রে। ডেঙ্গি সংক্রমনের লক্ষণ দেখা দিলেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। এছাড়াও যে এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে সে সমস্ত এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস বলেন, গোটা জেলাজুড়ে আপাতত ১৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বিশেষ জটিলতা দেখা না দিলে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন তিনি। জানান, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলেও শারীরিক জটিলতা না থাকলে বাড়িতে থেকেই দিব্যি চিকিৎসা করা যাবে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি