গাজর চাষ

Crop Damage: লাগাতার বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি চাষের, বিঘার পর বিঘা জমির গাজর নষ্ট

মুর্শিদাবাদ: চাষের জমিতে জমেছে জল। ফসল পচে নষ্ট হওয়ার জোগাড়। তবে লাগাতার ভাবে টানা বর্ষণ আর তার জেরেই মাথায় হাত এবার চাষীদের কপালে। লাভজনক চাষ করেও নিম্নচাপের বৃষ্টি তাদের জীবনে এনেছে দুর্দিন। বিগত পাঁচ বছর ধরে এই এলাকায় আগাম গাজরের চাষ করেন বহু চাষি। এক বিঘা জমিতে হয় ৪০ থেকে ৫০ কুইন্টাল গাজর। জমি থেকেই বস্তাবন্দি হয়ে সেই গাজর চলে যায় হাটেবাজারে, গ্রাম থেকে শহরে। আগস্ট মাসের শুরুর দিক থেকেই জমিতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। লাভের মুখ দেখায় অন্যান্য সবজির তুলনায় সবচেয়ে বেশী গাজর চাষই করেন চাষিরা। যদিও এবছর ছবিটা একেবারেই হতাশাজনক।

আরও পড়ুন: বন্যার জলে ডিঙি নৌকায় সাবধান! মালদহে দুই দিনে নৌকা উল্টে নিখোঁজ ৩

বীজ বোনার পরেই নিম্নচাপের জেরে এক নাগাড়ে বৃষ্টি। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে বিঘা বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজ বোনা হলেও গাছই বেরোইনি। সব্জি চাষিরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ক্ষতি হয়েছে গাজর চাষে। এছাড়াও গাজরের বীজের অত্যাধিক দাম বেড়েছে। এক বিঘা জমিতে লাগে ৬০০ গ্রাম বীজ। কেজি প্রতি ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বীজ কেনা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। রয়েছে লেবার খরচ। জানাচ্ছেন গাজর চাষি মহাদেব মণ্ডল, নাড়ু মণ্ডলরা।

আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত জমিতে গাজর চাষ হয়। শ্রীহরিপুরে মাটির উর্বরতা বেশী হওয়ায় লাভজনক গাজর চাষ। ১০০ বিঘা জমিতে চাষ হলেও বর্তমানে টিকে রয়েছে মাত্র ২০ বিঘা জমির সব্জি। পুজোর মুখে চাষে এতবড় ধাক্কা কীভাবে সামলাবেন চাষিরা? প্রশ্ন বীজ বিক্রেতা রিপন সেখের।

চাষিদের বক্তব্য, এই চাষ লাভজনক। আলু ওঠার পরপরই চাষিরা সেই জমিতে গাজর বা অন্যান্য চাষ করেন। এ বার ফলন ভাল হলেও শেষ মুহূর্তের বৃষ্টি চাষিদের সমস্যায় ফেলেছে। কোথাও কোথাও খেতে জল জমেছে। চাষিদের আশঙ্কা, গাজর চাষ সব নষ্ট হবে। তা কিছুটা পাওয়া গেলেও গুণমান বজায় থাকবে না। ফলে, দাম মিলবে না। অন্যদিকে এই বর্ষণের জেরে মাথায় হাত এখন চাষীদের কপালে।

কৌশিক অধিকারী