বেতের তৈরি জিনিসপত্র 

Birbhum News: বেতের তৈরি জিনিসপত্র ব্যাবহার করছেন! জানেন কোথায় চাষ হয় এই বেত?

বীরভূম : গ্রামের হাটবাজারে এখন আগের মত বাঁশ–বেতের জিনিসপত্র দেখা যায় না।যেসব কারিগরযুগে যুগে এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছিল তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এ কাজ থেকে। সংসারে বাঁশ–বেতের যেসব জিনিস আগে ব্যবহার করা হত, এখন সেগুলোর বিকল্প হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিকের জিনিস। তবুও কিছু কিছু জায়গায় এখন ও বেতের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তবে সেগুলি আগের মত সাধারণ বেতের ঝুড়ি নয়। বর্তমান সময়ে মানুষের চাহিদা পাল্টেছে আর সেই কারণেই এখন বেত দিয়ে নতুনত্ব ডিজাইনের ঝুড়িথেকে শুরু করে ঘর সাজানোর বিভিন্ন জিনিসপত্র মানুষ বেছে নিচ্ছেন। এছাড়াও বেতের তৈরি সোফা চেয়ার থেকে শুরু করে টেবিল কিনছেন।

শুকনো বেত দিয়ে বিভিন্ন হস্তশিল্প জাতীয় জিনিসপত্র তৈরি করা হয়, যেমন- চেয়ার, টেবিল, মোড়া, ডালা, কুলা, চাঙ্গারী, মুড়া, ঢুষি, হাতপাখা, চালোন, টোকা, গোলা, ডোল, ডুলা, আউড়ি, চাঁচ, ধামা, পাতি, বই রাখার তাক, সোফা, দোলনা, খাট, ঝুড়ি, টেবিলল্যাম্প, ল্যাম্পশেড ইত্যাদি। তবে আপনি ঘর সাজানোর জন্য এই সমস্ত বেতের তৈরির জিনিস তো নিচ্ছেন তবে জানেন এই বেত আসলে কোথায় চাষ হয় এবং কোথা থেকে আসে! এই বেত চাষ করা সম্ভব নয় আমাদের পশ্চিমবাংলায়।তবে ভাবছেন কেন সম্ভব না! এর কারণ আমাদের পশ্চিমবাংলার যে মাটি রয়েছে সেই মাটি বেত চাষের জন্য উপযুক্ত নয়।আর সেই কারণে অন্য জায়গা থেকে বেত নিয়ে আসা হয়এই বাংলায়।

আরও পড়ুন : কমে যাচ্ছে বিক্রি, বই নাকি খুলেও দেখছেন না পড়ুয়ারা! কেন এমন হচ্ছে?

বেতের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবসায়ী আমিনুল হুদা জানাচ্ছেন মূলত এই সমস্ত বেত অরুণাচল প্রদেশ আসাম থেকে নিয়ে আসা হয়। প্রায় ২৭ বছর ধরেতিনি এই বেতের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করছেন বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনে। বর্তমান সময়ে মূলত মানুষজন ছোট চেয়ার,টুল এইসবের বেশি খোঁজ করছেন তাই এই সবই বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ে লভ্যাংশের পরিমাণ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লাভের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে। তার মূলত কারণ বাইরে থেকে নিয়ে আসতে অনেক টাই বেশি খরচপড়ে যায় সেই কারণে লাভের পরিমাণটাও অনেকটা কম হয়।

আরও পড়ুন : স্বপ্ন বাউল গানের প্রতি নতুন প্রজন্মের আকর্ষণ বৃদ্ধি, জেলা-রাজ্য-দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে বীরভূমের রাজু

অন্যদিকে তিনি আরও জানাচ্ছেন আন্দামান থেকে যে সমস্ত বেত নিয়ে আসা হয় সেগুলি ৫ থেকে ৬ ফুটের। আসাম অরুণাচল প্রদেশ থেকে যেগুলো নিয়ে আসা হয় সেগুলোর উচ্চতা সর্বোচ্চ থাকে ১৬ থেকে ১৮ ফুট। আবার হায়দ্রাবাদ গাজিয়াবাদ থেকে যে সমস্ত বেত এই পশ্চিমবাংলায় আসে সেগুলি মোটা বেত হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

যেগুলি ডিজাইন করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

সৌভিক রায়