ড্রাম সিডার মেসিন 

Drum Seeder Paddy Cultivation: এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ফলন হবে অনেক বেশি, খরচ পড়বে কম

পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার নামে পরিচিত এই জেলা। অনেকে আবার পূর্ব বর্ধমান জেলাকে ধানের গোলা বলে থাকেন। পাশাপাশি এই জেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফুল, পাট চাষ হয়। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তনসহ নানান কারণে জন্য ধান চাষিদের খরচ ও পরিশ্রম ক্রমশ বাড়ছে। সার, চারা, জল নিয়ে একটা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হয় ধান চাষিদের। এছাড়াও চারা রোপণের জন্য মজুরদের মজুরি বাবদ’ও বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হয়। আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে চারা রোপণের জন্য শ্রমিক পাওয়া যায় না। সঠিক সময়ে শ্রমিক না মেলায় অনেক সময় চাষিদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এবার আর চিন্তার কোনও প্রয়োজন নেই।

ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে সহজেই করতে পারবেন ধান চাষ। কিন্তু কী এই ড্রাম সিডার পদ্ধতি? কীভাবেই বা এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক। এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-১ ব্লক বীজ খামারের কর্মী হেমন্ত দাস জানিয়েছেন, বীজ প্রথমে জলে ভিজিয়ে নিতে হয়। তারপর সেখান থেকে অল্প অঙ্কুর বের হলে সেটাকে শোধন করে নিতে হয়। সেই বীজ ড্রাম সিডারের ড্রামের মধ্যে রাখতে হয়। তারপর চাকাযুক্ত ড্রাম সিডার মেশিন জমির মধ্যে দিয়ে লাইন বরাবর টানলে সেখান থেকে সমানভাবে বীজ পড়তে থাকে। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাছ তৈরি হয়। সাধারণ পদ্ধতির থেকে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেক সুবিধাজনক।

আরও পড়ুন: মাথা দোলানো পুতুল! রথের বাজারে দেদার বিক্রি

পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম-১ ব্লকের বীজ খামারে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে শ্রমিক বাবদ খরচ কম পড়ছে। এছাড়াও অনেক তাড়াতাড়ি বীজ রোপণ হয়ে যাচ্ছে। রোগ, পোকার আক্রমণ কম থাকার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে চাষ করলে জল কম লাগবে। স্বভাবতই জলের খরচ কমে যাবে অনেকটাই। বর্তমানে আউশগ্রাম-১ ব্লকের বেশকিছু চাষি এই পদ্ধতির মাধ্যমে চাষও শুরু করেছেন। এই বিষয়ে বৃন্দাবন আঁকুড়ে নামে এক চাষি বলেন, এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করে আমি খুশি। অল্প সময়ের মধ্যেই বীজ রোপণ করা যাচ্ছে। এছাড়াও আমাদের খরচও অনেক কম হচ্ছে।

সবমিলিয়ে সাধারণ পদ্ধতিতে ধান চাষের থেকে এই ড্রাম সিডার পদ্ধতিতে ধান চাষ অনেকটা সুবিধাজনক। মজুর খরচের পাশাপশি কমে যাবে জলের খরচও। এছাড়াও অল্প সময়ের মধ্যে বীজ রোপণ করা যাবে এবং ফলনও পাওয়া যাবে অনেকটা আগে। এই পদ্ধতিতে ধান চাষের জন্য চাষিদের নির্দিষ্ট ব্লকের এডিএ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী