দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি 

Durga Puja 2024: জন্মাষ্টমীর পর রীতি মেনে নন্দ উ‍ৎসবে কাদামাটিতে মিশল দই, বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে পুজোর ঢাকে কাঠি

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: কাদা খেলায় শুরু হল দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি! জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো অতি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পুজো। এখানকার ঐতিহ্য, পরম্পরা, রীতিনীতি, দেবী মূর্তি সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে এক বৈশিষ্ট্যের ছোঁয়া। এ বছর ৫১৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির দুর্গোৎসব। সেই পুরাকালের রীতি মেনেই জন্মাষ্টমী তিথির পর দিন আজ নবমী তিথিতে নন্দোৎসব পালিত হল জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে।

দধিকাদো খেলার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সূচনা হল সেখানে। কী এই খেলা? দধিকাদো খেলা আসলে কাদা মাটির সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলা। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সমাজে এটি একটি অত্যন্ত প্রাচীন খেলা। রাজবাড়িতে কাঠামো পুজোর পর নাটমন্দিরের পাশে কাদা খেলার পুকুরে কাদামাটির সঙ্গে দই মিশিয়ে দেয় পুরোহিত। তারপরেই এলাকার কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ মেতে ওঠে এই খেলায়। শুরু করে কাদা খেলা। কাদা খেলার মাটি রেখে দেওয়া হয় নাটমন্দিরে।

আরও পড়ুন : কৌশিকী অমাবস্যায় বড় চমক! তারাপীঠ মন্দিরের পুণ্যার্থীদের জন্য এ বার বছরভর বিশেষ আকর্ষণ! জানুন বিশদে

প্রতিমা গড়ার সময় এই কাদামাটি মিশিয়ে দেওয়া হয় প্রতিমার মাটিতে।রাজ পরিবারের কুলপুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, ‘‘এই দধিকাদো খেলার মাটি সবার প্রথমে কাঠামোতে প্রলেপ দিয়ে দুর্গাপ্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হবে। রাজবাড়ির দুর্গার বাহন সিংহের সঙ্গে বাঘও থাকে। আর থাকে জয়া বিজয়া, ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। রাজ পরিবারের সদস্য প্রণতকুমার বসু জানান, ‘‘নন্দোৎসবের পর দধি কাদো খেলার মাটি রেখে দেওয়া হয়েছে। দেবীর মূর্তি গড়ার সময় এই মাটি মিশিয়ে দেওয়া হবে। এদিন দধিকাদো উৎসব উপলক্ষে ঢাকের আওয়াজে মুখরিত হল রাজবাড়ি।’’