সুমন সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রুপোর পাখায় বাতাস, রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা সাফ, তাছাড়াও দশমীতে উড়ে যায় নীলকণ্ঠ পাখি বারুইপুর জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোতে। জমিদারি না থাকলেও, কোনও অংশে বনেদিয়ানাতে খামতি নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের রায়চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজোয় ।জেলার অন্যতম পুরনো পুজো এটি। বয়স ৩০০ বছরের বেশি। ব্রিটিশ শাসক লর্ড কর্নওয়ালিশের আমলে জমিদারির পত্তন হয় রায়চৌধুরীদের। সেই থেকেই শুরু হওয়া দুর্গাপুজো নিজস্ব জৌলুস নিয়ে আজও অমলিন।
সরকারিভাবে নীলকণ্ঠ পাখি ধরা ও বিজয়া দশমীতে তা ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, আজও এটাই প্রধান বিশেষত্ব এই বনেদি বাড়ির পুজোর। প্রতি বছর দশমীতেই প্রতিমা বিসর্জন হয়। রায়চৌধুরী বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হওয়ার পর এলাকার বাকি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
আরও পড়ুন : বিজয়া দশমীতে চকোলেট বিতরণ! জেনে নিন কোন ঠাকুরদালানে অপেক্ষা করে থাকে এই চমক
রুপোর পাখা দিয়ে দেবীকে হাওয়া দিতে-দিতে এবং রুপোর ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করতে-করতে প্রতিমাকে বিসর্জন করতে নিয়ে যাওয়া হয়।দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ালে, সে গিয়ে কৈলাসে শিবকে খবর দেবে দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসের দিকে রওনা দিয়েছেন। এই বিশ্বাস থেকে আজও বিসর্জনের পর বারুইপুরের আদি গঙ্গার সদাব্রত ঘাট থেকে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে আসছে রায়চৌধুরীরা।
তার রীতি ঐতিহ্য কোনওদিন নষ্ট হয়নি। এ বিষয়ে রায়চৌধুরী পরিবারের অমিয় রায়চৌধুরী বলেন এই রীতিনীতি তিনশো বছরের বেশি পদার্পণ করেছে। এ বারও দেবীর আগমনে একটুও খামতি থাকবে না।