উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণবঙ্গ, লাইফস্টাইল Durga Puja 2024: পেরিয়েছে ৩৫০ বছর, দত্তপুকুরের বুড়িমার পুজো ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে Gallery October 8, 2024 Bangla Digital Desk জেলার প্রাচীন পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম দত্তপুকুরের বুড়িমা বা বুড়োমার দালানের পুজো লোকমুখে জানা যায়, কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বংশধর শিবচন্দ্র রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে দত্তপুকুরে এই দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন। রায়বাড়ির এই পুজো স্থানীয়দের কাছে তাই বুড়িমা বা বুড়োমার পুজো বলে পরিচিত প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে হাজারও গল্পকথা। সেই সময় নৌকাবিহারে বেরিয়েছিলেন রাজা শিবচন্দ্র। ভাগীরথী হয়ে সুতি নদী ধরে এগোতেই ঝড় জলে আটকে পড়েন দত্তপুকুরে। ঝড় জলের সেই রাতে রাজাকে স্বপ্নে দেখা দেন মা দুর্গা। বলেন, “এখানে তালপাতার ঘর বানিয়ে আমার পুজো কর”। স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেরি করেননি শিবচন্দ্র। দত্তপুকুরে তালপাতার কুড়ে ঘর বানিয়ে দেবী দুর্গার বোধন করেছিলেন। এই পুজো উপলক্ষ্য করেই দত্তপুকুরে বসতিও স্থাপন করেন রাজা পরবর্তীকালে রাজা শিবচন্দ্রের নামেই দত্তপুকুরের এই অঞ্চলের নাম হয় শিবালয়। শিবচন্দ্রের স্বপ্নে দেখা দেবী ছিলেন নৃসিংহের আদলে। দত্তপুকুরের এই পুজোর প্রথম বছরে স্থানীয় এক বুড়ি পুজোর আচারের কাজ করেছিলেন। সেই থেকেই দত্তপুকুরের শিবালয়ের দুর্গাপুজো বুড়িমার পুজো নামেই প্রচলিত। সেই থেকে একই নিয়ম এবং নিষ্ঠা মেনে হয়ে আসছে পুজো। পুজোর ক’দিন প্রতিদিন ভোগ এবং আরতি হয়। নবমী পর্যন্ত চলে চণ্ডীপাঠ আখ, চাল, কুমড়ো এবং কলা বলি দেওয়ার রীতিও বহুদিনের। দেবী দুর্গা এখানে সিংহবাহিনী নন। সিংহের বদলে আছে ঘোড়া। তবে সেই ঘোড়ার কেশর রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম প্রাচীন পুজো এটি। পুজোর জন্য রয়েছে স্থায়ী মন্দির। জাগ্রত বুড়িমার এই পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমান পূজার কদিন। মনের ইচ্ছা মাকে জানালে কাউকেই নাকি খালি হাতে ফেরান না বুড়ি মা, এমনটাই বিশ্বাস