হাওড়া: থিম সজ্জার চরম ব্যস্ততা মণ্ডপে মণ্ডপে। কয়েক মাস আগে শুরু হওয়া মণ্ডপে চলছে অন্তিম পর্যায়ের প্রস্তুতি। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয় কয়েক মাস আগে থেকে। প্রতিমা শিল্পালয়ে দেবীর মৃন্ময়ী রূপে পূর্ণতা পায়। অন্যদিকে, পুজো মণ্ডপ সাজে ওঠে। শহরের পাশাপাশি মফস্বল বা শহরতলীতেও মানুষের মধ্যে পুজোর প্রথম থেকে ঠাকুর দেখার রেওয়াজ বাড়ছে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে চরম ব্যস্ততা চোখে পড়ছে।
মানুষ মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখার অপেক্ষায়, সেই দিক গুরুত্ব রেখে অধিকাংশ মণ্ডপ পূর্ণতা পায় পুজোর কয়েক দিন আগে। জেলায় অধিকাংশ মণ্ডপ সাজের কাজ শেষ লগ্নে। চূড়ান্ত পর্যায়ের ব্যস্ততা মণ্ডপে মণ্ডপে। শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেজে উঠছে গ্রামের মণ্ডপ। সেই মতো মণ্ডপে থিমের সাজ হাওড়া আরগোড়ী সেজোরায়ের বাগান দুর্গোৎসব কমিটি। এবারের থিম ‘শক্তিদায়িনী’।
স্বল্প বাজেটেও দারুণভাবে দর্শকদের মন জয় করা যায়। পুজোর শুরু থেকে দারুণ আকর্ষণ, দর্শক হয় মণ্ডপমুখী। তবে চতুর্থী, পঞ্চমী থেকে ঠাসা ভিড় দেখা যায় এখানে। কাঠ, প্লাইউড, টিন, বাঁশ প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। পিতৃপক্ষের সূচনার অপেক্ষায় মানুষ, এমত অবস্থায় জোরদার মনোবল নিয়ে ব্যস্ততা মণ্ডপে মণ্ডপে। গত বছর মণ্ডপ সাজে উঠেছিল ‘কাঠের পুতুল’ থিমে, দারুন জনপ্রিয়তা। এবার মণ্ডপ সাজ ও প্রতিমা আরও বেশি দর্শকের মন আকর্ষণ করবে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
এ প্রসঙ্গে পুজো কমিটির সভাপতি শংকর মাজি জানান, প্রায় ৪ দশক ছুঁইছুঁই এই পুজো। গত কয়েক বছর থিমের মণ্ডপ সাজ। এ বছর পুজোর সাত লক্ষ টাকা বাজেট। প্রতিবছর আকর্ষণীয় থিম, দর্শকদের আকর্ষণীয় বিষয়কে সামনে রেখে মণ্ডপ সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। শহরের বিশাল অংকের বাজেটের পুজো যেভাবে দর্শকদের ঢল নামায়, সেই তুলনায় পুজোর বাজেট এই পুজোয় কম হলেও, চোখে পড়ার মতো মানুষের উপস্থিতি এখানে।
রাকেশ মাইতি