প্রশিক্ষণ 

Farmers Training: মেকানিকের আর দরকার পড়বে না, এবার কৃষকরাই সারিয়ে ফেলতে পারবেন চাষের যন্ত্র!

পূর্ব বর্ধমান: চাষের কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার অথবা হারভেস্টর হঠাৎ খারাপ হয়ে গেলে কীভাবে সারাতে হবে তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। রাজ্য কৃষি দফতরের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই শিবিরের মূল উদ্দেশ্য পাওয়ার টিলারের সামান্য যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য যেন কৃষিকাজ কোনওভাবেই ব্যহত না হয়। মেরামতের টুকটাক কাজ কৃষকরা নিজেরাই যাতে সেরে ফেলতে পারেন সেই বিষয়ে দক্ষ করে তুলতেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এর আগেও কৃষকদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য কৃষি দফতরের উদ্যোগে। এবার আগের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষকদেরই আরও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রাজ্য কৃষি দফতরের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার, জেলা কৃষি দফতরের মাটিগাঁথা-তে এই প্রশিক্ষণ শিবির চলছে।

আর‌ও পড়ুন: ফের হাতির তাণ্ডব! পাঁচিল ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় বধূর মৃত্যু

২২ জুলাই এই শিবির শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। বর্ধমানে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনের দিন উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এগ্রিকালচার অফিসার (ট্রেনিং) শেখ খাইরুল আলম সহ অন্যান্য বিশিষ্ট আধিকারিকরা। এই প্রশিক্ষণ শিবির প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান এটিসি ডেজি ফেসিলিটেটর কিরণ চক্রবর্তী জানান, চাষ করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকরা পাওয়ার টিলার অথবা হারভেস্টর সংক্রান্ত বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যা যাতে কৃষকরা নিজেরাই সমাধান করে ফেলতে পারেন তার জন্যই এমন উদ্যোগ। এই বিষয়ে আগে একবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এবার আরও অ্যাডভান্স প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জটিল বেশ কিছু সমস্যা ও তার সমাধানের উপায় এই শিবিরে তুলে ধরা হবে কৃষকদের সামনে। যাতে পাওয়ার টিলারের ছোট খাটো সমস্যার সমাধান চাষিরা নিজেই করতে পারেন।

কৃষি দফতরের আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ শিবিরে পাওয়ার টিলার মালিক বা চালক ও কৃষকরা অংশগ্রহণ করেছেন। কারণ কৃষি কাজের সময় তাঁরাই মূলত এই যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করেন। জানা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ২৫ জনকে বর্তমানে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এক কৃষক এই প্রসঙ্গে জানান, এই প্রশিক্ষণের ফলে আমরা অনেকটাই উপকৃত হতে পারব বলে মনে করছি। পাওয়ার টিলারে সমস্যা হলে কোনও মেকানিক বা টেকনিশিয়ান ছাড়াই সেটা কীভাবে তৎক্ষণাৎ ঠিক করা যাবে, সেটাই এই শিবিরে শেখানো হচ্ছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী