Tag Archives: Agriculture Training

Agriculture Drone: কৃষিতে খরচ বাঁচতে ভরসা ড্রোন! কোথায় কিনবেন, সরকারি সাহায‍্য কীভাবে পাওয়া যাবে?

মুর্শিদাবাদঃ এবার কৃষি কাজেও ব্যবহার হবে ড্রোন অভিনব ভাবনা নিয়েছে কৃষি দফতর। ড্রোনের মধ্যে দিয়েই কীটনাশক স্প্রে হচ্ছে চাষের জমিতে। এমনই মহড়া দেখান হল নবগ্রামের কিষাণ মান্ডি এলাকায়। ড্রোনের মাধ্যমে দেখানো হয় কিভাবে কাজ করবে এই ড্রোন মেশিন। আর কৃষকরা যাতে সহজেই লোন নিতে পারেন তাও জানানো হয়েছে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে।

ইতিমধ্যেই কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার কৃষি কাজে আমূল পরিবর্তন এনেছে। তেমনই চাষের ক্ষেতেও কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করার ক্ষেত্রেও আরও সহজ পদ্ধতি নিয়ে আসা হয়েছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ যাওয়ার কথা ভাবছেন? ট্রেনের টিকিটের চিন্তা? বড় সুখবর দিল রেল, এখনই জানুন

জানা গিয়েছে, নবগ্রামের কিষাণ মান্ডি এলাকায় ডেমোর মাধ্যমে ড্রোনের সাহায্যে কৃষকেরা জমিতে ওষুধ স্প্রে কিভাবে করবেন দেখানো হয় তা চাষীদের। আর এই মেশিন দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায় সেখানে।
শুধু স্প্রে নয় বহু সুবিধা রয়েছে। চাষীদের তিন বিঘা জমি খুব সহজেই বিষ স্প্রে করা হবে এই ড্রোন মেশিনের মাধ্যমে। তাতে সাশ্রয় হবে শ্রম, সময় ও অর্থ, চাষীদের সুবিধার্থে এমনই ভাবনা আধুনিক প্রযুক্তির।।

উপস্থিত চাষিরা জানান, অন্যান্য মেশিনের মাধ্যমে বিষ স্প্রে করেছেন বহু চাষী তবে এই নতুন প্রযুক্তি দেখে খুশি তারাও। সময়ের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে নিত্য নতুন যন্ত্রের ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাড়তি লাভের আশায় চাষিরাও। ফলে শ্রমিকের পরিশ্রম কমবে।

আরও পড়ুন: বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা! আগামী ৭ দিন কেমন থাকবে উত্তরের আবহাওয়া?

FSSM ও CHC প্রকল্পের মাধ্যমে ড্রোন স্প্রে মেশিনের জন্য আবেদন করতে পারেন উদ্যোগী চাষীরা। জানিয়েছেন নবগ্রাম ADA বরুণ খাঁ। ইতিমধ্যেই বহু চাষী উদ্যোগী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ড্রোনের দাম সাত লক্ষ টাকা। চাষীরা আবেদন করলেই তা পেতে পারেন ভর্তুকি নিয়ে। ধীরে যা ঋণ শোধ করে ড্রোন চাষীরা নিজেরাও ভাড়া দিতে পারবেন চাইলেই।

কৌশিক অধিকারী

Agriculture Business: কৃষিভিত্তিক ব্যবসায় তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে চলছে প্রশিক্ষণ শিবির

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের গ্রামীণ এলাকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করতে বিশেষ উদ্যোগ। তাঁদের কৃষি নির্ভর ব্যবসায় দক্ষ করে তুলতে শুরু হলো প্রশিক্ষণ শিবির। একমাসের এই প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে নিমপীঠে।

সুন্দরবনের মানুষ মূলত কৃষিকাজের উপরে নির্ভরশীল। আর তাই সুন্দরবনের গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের কৃষি নির্ভর ব্যবসায় আকৃষ্ট করে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ৩০ দিনের এই প্রশিক্ষণ‌ শিবির। এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হল, ভারত সরকারের ‘ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের’ এআর‌ওয়াইএ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোগী যুবক-যুবতীদের দিয়ে কৃষিভিত্তিক ব্যবসা শুরু করানো ও তাঁদের উপার্জনের সুযোগ করে দেওয়া।

আর‌ও পড়ুন: উত্তাল বাংলাদেশ, সীমান্তে নজরদারি চালাতে অত্যাধুনিক সিসিটিভি

এই প্রশিক্ষণ শিবিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বিভিন্ন ব্লক থেকে ৩০ জন উৎসাহী যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছেন। কৃষি নির্ভর উদ্যোগ যেমন- হটিকালচার নার্সারি, মাশরুম চাষ, মাছের হ্যাচারি ও মুরগির হ্যাচারি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ শিবিরটি ২৯ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম ১৫ দিন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে সমস্ত বিষয়। আর শেষের ১৫ দিন তাঁদেরকে নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সফল কৃষি উদ্যোগীদের ফার্মে থেকে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ করে তোলা হবে। এই প্রশিক্ষন শিবিরের প্রশিক্ষক কৃষি বিশেষজ্ঞ অরিত্র সরকার বলেন, গ্রামীণ যুবক-যুবতীদের কৃষি নির্ভর ব্যবসায়িক উদ্যোগ বাড়ানোর লক্ষে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণরত যুবক-যুবতীরা কর্মসংস্থানের লক্ষে এগোতে পারবেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-১ ও ২, কুলতলি, মথুরাপুর-১ ও ২, কুলপি, নামখানা, কাকদ্বীপ, মন্দিরবাজার, কাকদ্বীপ, সাগর সহ মোট ১৫ টি ব্লক থেকে ৩০ জন প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ গ্রহণ করেছেন।

সুমন সাহা

Farmers Training: মেকানিকের আর দরকার পড়বে না, এবার কৃষকরাই সারিয়ে ফেলতে পারবেন চাষের যন্ত্র!

পূর্ব বর্ধমান: চাষের কাজে ব্যবহৃত পাওয়ার টিলার অথবা হারভেস্টর হঠাৎ খারাপ হয়ে গেলে কীভাবে সারাতে হবে তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। রাজ্য কৃষি দফতরের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। এই শিবিরের মূল উদ্দেশ্য পাওয়ার টিলারের সামান্য যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য যেন কৃষিকাজ কোনওভাবেই ব্যহত না হয়। মেরামতের টুকটাক কাজ কৃষকরা নিজেরাই যাতে সেরে ফেলতে পারেন সেই বিষয়ে দক্ষ করে তুলতেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

এর আগেও কৃষকদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য কৃষি দফতরের উদ্যোগে। এবার আগের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষকদেরই আরও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রাজ্য কৃষি দফতরের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার, জেলা কৃষি দফতরের মাটিগাঁথা-তে এই প্রশিক্ষণ শিবির চলছে।

আর‌ও পড়ুন: ফের হাতির তাণ্ডব! পাঁচিল ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় বধূর মৃত্যু

২২ জুলাই এই শিবির শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। বর্ধমানে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধনের দিন উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এগ্রিকালচার অফিসার (ট্রেনিং) শেখ খাইরুল আলম সহ অন্যান্য বিশিষ্ট আধিকারিকরা। এই প্রশিক্ষণ শিবির প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান এটিসি ডেজি ফেসিলিটেটর কিরণ চক্রবর্তী জানান, চাষ করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকরা পাওয়ার টিলার অথবা হারভেস্টর সংক্রান্ত বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যা যাতে কৃষকরা নিজেরাই সমাধান করে ফেলতে পারেন তার জন্যই এমন উদ্যোগ। এই বিষয়ে আগে একবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এবার আরও অ্যাডভান্স প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জটিল বেশ কিছু সমস্যা ও তার সমাধানের উপায় এই শিবিরে তুলে ধরা হবে কৃষকদের সামনে। যাতে পাওয়ার টিলারের ছোট খাটো সমস্যার সমাধান চাষিরা নিজেই করতে পারেন।

কৃষি দফতরের আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ শিবিরে পাওয়ার টিলার মালিক বা চালক ও কৃষকরা অংশগ্রহণ করেছেন। কারণ কৃষি কাজের সময় তাঁরাই মূলত এই যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করেন। জানা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ২৫ জনকে বর্তমানে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এক কৃষক এই প্রসঙ্গে জানান, এই প্রশিক্ষণের ফলে আমরা অনেকটাই উপকৃত হতে পারব বলে মনে করছি। পাওয়ার টিলারে সমস্যা হলে কোনও মেকানিক বা টেকনিশিয়ান ছাড়াই সেটা কীভাবে তৎক্ষণাৎ ঠিক করা যাবে, সেটাই এই শিবিরে শেখানো হচ্ছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

South Dinajpur News: গতানুগতিক সবজি ছেড়ে ‘এই’ চাষ করে দ্বিগুন লাভ! আচমকাই বেড়েছে বাজারদর, চাষের পদ্ধতি জানুন এক নজরে

দক্ষিণ দিনাজপুর: চিরাচরিত চাষের বাইরে গিয়ে গাঠি কচুর চাষ করে ব্যাপক লাভবান প্রশান্ত মণ্ডল। অন্যান্য শাকসবজির পরিবর্তে প্রশান্ত তাঁর নিজের জমিতে বেশ কিছু এলাকা জুড়ে দেশি প্রজাতির গাঠি কচুর চাষ করেছেন। কীটনাশক প্রয়োগের পাশাপাশি সারের বেশি প্রয়োজন হয় না বলে এই কচুর চাষ করতে খরচও অনেকটাই কম। ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে গাঠি কচু চাষ করে তিনি লাভের মুখ দেখছেন।

আরও পড়ুন: সাইক্লোনে বিধ্বস্ত রাজ্যে কি বর্ষার প্রবেশ হয়ে গেল? কলকাতায় বর্ষা শুরু ঠিক কত তারিখে? যা জানাল হাওয়া অফিস…

এই কচুর অনেক ধরনের নাম আছে। কেউ বলেন বই কচু, কেউ বলেন সুজি কচু, তো কারও কাছে পরিচিত মুখীকচু হিসেবে। খেতে সুস্বাদু। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের হলদিডাঙা এলাকার কৃষক প্রশান্ত লাভজনক সবজি হিসেবে এই গাঠি কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বিগত তিন বছর ধরে।

তবে শুধু এই জেলায় নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা-সহ এই গাঠি কচু রফতানি হচ্ছে অন্য রাজ্যেও। এই কচু গাছের রোগবালাই নাই বললেই চলে। তাই কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এ ছাড়াও এই কচুর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ ও আয়রন থাকে। বিষমুক্ত সবজি হিসেবে দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে।

চাষি প্রশান্ত জানান, এই গাঠি কচু হতে প্রায় ৫-৬ মাস সময় লাগে। তবে ̈আগাম বাজার ধরতে হলে আরও ২-১ মাস আগে গাঠি কচু উঠিয়ে বাজারজাত করা যেতে পারে। বিগত কয়েক বছর আগেও এর তেমন দাম না পাওয়া গেলেও কয়েক বছর যাবৎ গাঠি কচুর চাহিদা বাজারে যথেষ্ট। ফলে দামও বেশ ভালই মিলছে। এই সময়ে যে সমস্ত শাক সবজি চাষ হয় তার পরিবর্তে এই কচু চাষ করে ব্যাপক লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে।

বেলে ও দোআঁশ মাটিতে কচু চাষ খুব ভাল হয়। এমনকি এই কচু চাষে জল একটু বেশি পরিমাণে দরকার। তাই নিচু জল জমা জমি এই গাঠি কচু চাষের পক্ষে উপযোগী। সারাদিন রোদ পায় এমন স্থানে এই কচু জন্মানো উচিত। জল সেচের ব্যবস্থা থাকলে ফাল্গুন মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে বীজ বপনের সবচেয়ে ভাল সময়। উর্বর মাটির জন্য এক এক সারির দূরত্ব ২ ফুট এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১.৫ ফিট হতে হবে। সেইভাবেই বীজ রোপন করতে হয়।

সুস্মিতা গোস্বামী