আলিপুরদুয়ার: বয়স ৭০ বছর। কিন্তু এখনও নিখুঁত খুকরি তৈরি করছেন কাইলা বিশ্বকর্মা। খুকরি তৈরি করার সময় আজও প্রথমদিনের মতই শ্রদ্ধা ও নিষ্টার সঙ্গে কাজ করেন। পাশাপাশি বর্তমানে এলাকার যুবকদের খুকরি তৈরির প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন।
খুকরি গোর্খাদের সাংস্কৃতিক অস্ত্র। এতেই লুকিয়ে থাকে গোর্খাদের সম্মান। গোর্খা পরিবারগুলিতে এই জিনিসের উপস্থিতি দেখা যায় আজও। এমনকি বিয়ের সময়েও খুকরি নিয়ে বিয়ে করতে যান গোর্খারা।
আরও পড়ুন: শিল্পের দুরন্ত বাণিজ্যিকরণ, হাতে আঁকা জামা নতুন ট্রেন্ড নববর্ষে
৫০ বছর ধরে এই খুকরি তৈরি করার কাজের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন সাতলি এলাকার কাইলা বিশ্বকর্মা।সাধারণত ৫০ বছর বয়সে খুকরি তৈরির কাজ ছেড়ে দেন প্রস্তুতকারকরা। কারণ অসংখ্য সূক্ষ কাজ থাকে খুকরি তৈরিতে। কিন্তু ৭০ বছর বয়সেও একদিনে তিনটি খুকরি তৈরি করতে পারেন এই বৃদ্ধ। বর্তমানে তিনি খুকরি তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এলাকার যুবকদের। ছোটবেলায় যখন নেপালে থাকতেন তখন বাবার কাছে খুকরি তৈরির কাজে হাতেখড়ি হয়েছিল।
পরবর্তীতে পারিবারিক কারণে চলে আসেন আলিপুরদুয়ারে। তবে গোর্খাদের নতুন প্রজন্ম যাতে এই খুকরি তৈরির কাজ ভুলে না যায় তাই আজও তিনি লড়াই জারি রেখেছেন। কোনও পারিশ্রমিক না নিয়ে এই কাজ শেখান। কাইলা বিশ্বকর্মা জানান, এই সাংস্কৃতিক অস্ত্র তৈরি করে বেকরত্ব দূর করতে পারবে গোর্খা যুবকরা। একবার কাজটি ভাল করে শিখে নিলে আর ফিরে তাকাতে হবে না। বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। একটি খুকরি সাধারণত ৪০-৪৫ সেমি লম্বা হয়। ওজন হয় প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম। ওজনভেদে দামের তারতম্য হয় খুকরির।
অনন্যা দে