মালদহ শহরের হকার্স মার্কেট

Hawker Rehabilitation: শুধু উচ্ছেদ নয়, মালদহে পুনর্বাসন দেওয়া হবে হকারদের

মালদহ: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর রাজ্যজুড়ে ফুটপাথ ও সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় আছে মালদহ জেলার নাম‌ও। মালদহ শহরের অধিকাংশ ফুটপাত দখল হয়ে আছে। সেগুলি মুক্ত করার কাজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে। পাশাপাশি উচ্ছেদ করা হকারদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। ফলে এই দখলমুক্ত অভিযান সমর্থন পাচ্ছে এখানকার হকারদের‌ও।

শুধুমাত্র ফুটপাত নয়, মালদহ শহরের বেশ কিছু রাস্তার উপরেও ঠেলাগাড়ি করে দোকান বসছে। তবে এই সমস্ত ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের উচ্ছেদ করলে সমস্যায় পড়বে তাঁদের পরিবার‌ও। তাই শুধুমাত্র উচ্ছেদ নয়, পাশাপাশি তাঁদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নিয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মালদহ শহরের সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ী ও অস্থায়ী বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মালদহ শহর জুড়ে হকার্স সার্ভে। শহরে কত হকার রয়েছেন, কত ভ্রাম্যমান দোকান আছে বা অস্থায়ী দোকান রয়েছে এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: হেলমেট ছাড়াই বান্ধবীকে বাইকে চাপিয়ে দুরন্ত গতিতে দৌড়! দুর্ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু

পুরপ্রধান শুভময় বসু বলেন, ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে সার্ভে করা হবে। আগামীতে আবারও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে।

ইংরেজবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে এই সার্ভে করা হচ্ছে। সার্ভে শেষে রিপোর্ট জেলা প্রশাসনের কাছে পেশ করা হবে। এই সার্ভের পর চলতি সপ্তাহের শেষে আবারও জেলার প্রশাসন ও পুরসভার মধ্যে একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে হকার ও অস্থায়ী দোকানদারদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ইংরেজবাজার পুরসভার ১ নম্বর থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত এই সার্ভে চলবে। পাশাপাশি কেজে সান্যাল রোড থেকে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ পর্যন্ত নো হকার্স জোন করা হবে। এই রাস্তাটি মালদহ শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা। এখানে অস্থায়ী দোকান বসায় চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারী থেকে গাড়িচালকদের।

এদিকে সূত্রের খবর, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের মধ্যে সরকারি জমি চিহ্নিত করে সেখানে হকার ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমান দোকানগুলি নিয়ে আগামীতে কিছু চিন্তা ভাবনা করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের। মূলত খাবার দোকান ভ্রাম্যমানভাবে শহরের কিছু রাস্তায় বসে। কীভাবে তারা দোকান করতে পারবেন সে ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে খুশি হকাররাও।

হরষিত সিংহ