প্রযুক্তি Health Tips: সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাতে মোবাইল? চরম বিপদের মুখে পড়বেন আপনি Gallery October 15, 2024 Bangla Digital Desk স্মার্টফোনই এখন জীবন। নীল আলোর চারপাশে পাক খায় হাসি-কান্না। জীবনকে সহজ করে তোলাই প্রযুক্তির কাজ। কিন্তু এর বিপদও অনেক। চলতি বছরের শুরুতে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮৪ শতাংশ ভারতীয় সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্মার্টফোন হাতে নেন। স্ক্রোল করে কাটান প্রায় পনেরো মিনিট। দৈনন্দিন জীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্ক ডেল্টা স্টেট (বিশ্রামদায়ক) থেকে থিটা স্টেটে চলে যায়। এটা এক ধরণের স্বপ্নময় অবস্থা। এরপর মস্তিষ্ক পৌঁছয় আলফা স্টেটে। এই পর্যায়ে মস্তিষ্ক জেগে থাকে কিন্তু সমস্ত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে না। এরপর বিটা অবস্থানে পৌঁছয় মস্তিষ্ক। এই পর্যায়ে মাথা সক্রিয় হয়। এখন কেউ যদি ঘুম থেকে উঠেই ফোন ঘাঁটতে শুরু করেন, তাহলে মস্তিষ্ক ডেল্টা স্টেত থেকে সরাসরি বিটা স্টেটে ঝাঁপ দেয়। ফলে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এই দ্রুত পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে শরীরে। উদ্বেগ, জ্বালাভাব দেখা দেয়। এমনকী কর্মক্ষমতাও কমে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে হলে ঘুম থেকে ওঠার পর অন্তত আধ ঘণ্টা ফোন হাতে নেওয়া চলবে না। অনেকে আবার ঘুমনোর আগে রাতে শুয়ে শুয়ে স্মার্টফোন দেখেন। শর্ট ভিডিও, রিলস স্ক্রোল করতে থাকেন। এটাও সমান ক্ষতিকর। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্মার্টফোনের নীল আলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সামগ্রিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। একাধিক বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মার্টফোনের নীল আলো ঘুমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সারকাডিয়ান ছন্দকে তছনছ করে দেয়। ঘুমের বারোটা তো বাজেই, সামগ্রিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে। স্মার্টফোনের নীল আলো কী: স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা এই ধরণের ডিভাইস থেকে স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো নির্গত হয়। এটাই নীল আলো। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪০৬ ন্যানোমিটার। এই আলো মানবদেহের ঘুম এবং জাগরণচক্রকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা সার্কাডিয়ান ছন্দ নামে পরিচিত। এই ছন্দে ব্যাঘাত ঘটলে ব্যক্তি অসুস্থও হয়ে পড়তে পারেন।