উচ্চ মাধ্যমিকে নবম তেহট্টের কুশল

Higher Secondary Topper 2024: রসায়নে ভয় জয় করে কুশল উচ্চ মাধ্যমিকে নবম! রইল কৃতীর সাফল্যের রহস্য

মৈনাক দেবনাথ, তেহট্ট: মামার সাজেশনেই কেমিস্ট্রিতে বাজিমাত! স্কুলের পরীক্ষায় রসায়নবিজ্ঞানে ৪০ পাওয়া ছাত্রই আজ উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায়। এ বছর নদিয়ার তেহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের কুশল ঘোষ জেলায় প্রথম এবং রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ এবং সর্বমোট ৯৭.৬ শতাংশ। এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও বেশিরভাগ বিষয়তেই তিনি পেয়েছিলেন ৯০ এর উপরে নম্বর। ছোটবেলা থেকেই টিভিতে খেলাধুলো কিংবা সিনেমা খুব একটা বেশি দেখা হয়নি কুশলের। তবে খেলাধুলো করতে তাঁর ভাল লাগত।

দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঁচটি টিউশন পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত বিদ্যালয় উপস্থিত থাকত সে। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং টিউশনের শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য বলে জানান তিনি। বিশেষ করে  ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর মামাকে। যিনি নিয়মিত তাঁকে বাড়িতে পড়াশোনা করতে সাহায্য করতেন।

তার প্রিয় বিষয় জীবন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান। রসায়ন বিজ্ঞানের প্রতি কিছুটা ভয় থাকলেও পরীক্ষার আগে মামার দেওয়া সাজেশন পড়েই বাজিমাত করেন তিনি! জানান, মামার দেওয়া প্রত্যেকটি সাজেশন পেয়ে পরীক্ষায় যথেষ্ট ফলাফল এসেছে তাঁর। ফলাফল ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ার তাঁর বাড়িতে, পাড়ায় এবং বিদ্যালয়ে। প্রত্যেকেই এসে অভ্যর্থনা জানিয়ে যাচ্ছে তাকে। তাঁর ইচ্ছে ভবিষ্যতে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে একজন সফল ডাক্তার হওয়ার।

আরও পড়ুন : বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, কলাবিভাগে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম ভাঙা টিনের ঘরের মেধাবী

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিনি জানান, সেল্ফ স্টাডির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং শিক্ষকেরা যা পড়াচ্ছেন প্রত্যেকটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া জরুরি। কোনও কিছু বাদ যাওয়া যাবে না। তার কারণ উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসটি খুবই বড়। এছাড়াও তিনি জানান ‘‘আমার শিক্ষক বলতেন স্টাডি আর রিভিশনের রেশিও হবে ১:৩। আর আমি সেই রেশিওতেই পড়াশোনা করতাম।’‘

কুশলের সাফল্যে তাঁর পরিচিত মহলে এখন উচ্ছ্বাসের রেশ।