পাঁচমিশালি Experiments: ইউনিট ৭৩১! পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর-ঘৃন্য পরীক্ষা! কতশত মানুষের শিউরে ওঠা পরিণতি, জেনে ভয়ে কাঁপবেন Gallery July 5, 2024 Bangla Digital Desk দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বিতীয় চিন-জাপান যুদ্ধের (১৯৩৭-১৯৪৫) সময়পর্বে প্রাণনাশী মানব গবেষণা করা জাপানী সেনার একটি গোপন জৈবিক এবং রাসায়নিক অস্ত্র গবেষণাকে ইউনিট ৭৩১ বলা হয়। জাপানী সেনার করা কিছু কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধের জন্য এটি দায়ী ছিল। এই ইউনিটের স্থান ছিল হার্বিনের পিংফাং জেলা (এখনকার উত্তর-পূর্ব চিনে)। মানুষ নিয়ে পৃথিবীতে যত ঘৃণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ইউনিট ৭৩১ সম্ভবত সবচেয়ে বেশি জঘন্য এবং ভয়ঙ্কর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খলনায়ক হিসেবে সবসময়েই জার্মানির নাম নেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রেই বলা হয় রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের ঋণাত্মক ভূমিকার কথা। জাপানের নাম সেখানে খুব কমই নেওয়া হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই জাপানেই গড়ে উঠেছিল ভয়ানক ইউনিট ৭৩১ নামে এক ক্যাম্প, যেখানে যুদ্ধবন্দী ও অন্যান্য সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে চালানো হত অমানুষিক পরীক্ষা। প্রথমে ক্যাম্পটির নাম ছিল Epidemic Prevention and Water Purification Department of the Kwantung Army, ১৯৩৬ সালে সার্জন জেনারেল শিরো ইশীর হাতে এই ইউনিটের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মাঞ্চুরিয়ার দূরবর্তী এলাকায় এই গবেষণাগারটি স্থাপনের পরিকল্পনাও ছিল ইশীর, কারণ লোকচক্ষুর আড়ালে মানুষের উপর সরাসরি পরীক্ষা চালানো সহজ ছিল তার জন্য। অন্যান্য অনেক নিষ্ঠুর পরীক্ষার মাঝে সবচেয়ে গা শিউরে ওঠা পরীক্ষাটি ছিল ভিভিসেকশান বা কোনও প্রকার অ্যানেসথেশিয়া ছাড়া জীবন্ত মানুষকে কেটে তার শরীরের অভ্যন্তরের খুঁটিনাটি পরীক্ষা বা সেই অবস্থাতেই কোনও অঙ্গ কেটে পৃথক করে নেওয়া। এছাড়াও বন্দীদের ওপর বিভিন্ন বায়োলজিক্যাল অস্ত্র, যেমন- প্লেগ রোগের জীবাণু সম্বলিত বোমা ছুঁড়ে পরীক্ষা করা, প্রেশার চেম্বারে ঢুকিয়ে কতক্ষণ বেঁচে থাকা যায় তা দেখা, বরফ পড়া শীতে দিনের পর দিন বাইরে রেখে ফ্রস্টবাইটের ব্যাপারে গবেষণা করা, এমনকি নারীদের ধর্ষণ করে জোরপূর্বক গর্ভধারণে বাধ্য করা- কিছুই বাদ ছিল না। মানুষকে নিয়ে জঘন্য গবেষণার এরকম ভয়ানক নজির খুব কমই আছে।