Improved Paddy Seed: বন্যায় ডুবে যাওয়া জমিতেও ফলবে ধান! কৃষকের মুখে হাসি ফোটাল কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র

পূর্ব মেদিনীপুর: জেলার ধান চাষিদের পাশে জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চলেছেন কৃষকরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান অর্থকারী ফসল ধান। তবে নানান সময়ে বন্যা, অতি বৃষ্টির কারণে ধান চাষের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। আর তাতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে উন্নতমানের ধান বীজ তৈরি করে জেলার চাষিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র। ফলে অতি বৃষ্টির ফলে ধান চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমবে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২৫ টি ব্লকে ধান চাষ হয়। পূর্ব সবচেয়ে বেশি চাষ হয় আমন ধানের। জেলার প্রতিটি ব্লক মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। মূলত বর্ষার জলে এই ধানের চাষ হয় জেলাজুড়ে। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে বহু ব্লক জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ধান চাষের জমিও জলের তলায় চলে যায়। জলের তলায় ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ফসল ঘরে আসে না চাষিদের। তবে জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের এই উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে চালু হিট স্ট্রোক ওয়ার্ড! গরম থেকে বাঁচাতে পদক্ষেপ

কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে উন্নতমানের বীজ উৎপন্ন করা হয়েছে। স্বর্ণভূমি স্যাব ওয়ান নামে এই বীজ ধান জলমগ্ন ও বন্যা কবলিত এলাকার ধান চাষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই ধানের চারা রোপনের পর জলে পচে সহজ নষ্ট হয় না। এই ধানের চারা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত জলের তলায় থাকার পর জল সরে গেলে আবারও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠে এবং ফসল দেয়।

এই বিষয়ে জেলা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বীজ গবেষক সুমন মণ্ডল জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আমন ধান চাষ বর্তমানে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে চাষিদের ক্ষতি হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে জলে ডুবে লড়াই করতে সক্ষম, এমন বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। জেলায় মোট চার ধরনের উন্নতমানের বীজ ধান চাষিদের দেওয়া হচ্ছে।

সৈকত শী