মাঠেই পুড়ছে পাটগাছ 

Jute Cultivation: জল কিনতেই বেরিয়ে যাচ্ছে সব টাকা! বৃষ্টির অভাবে পাট পচাতে গিয়ে মাথায় হাত চাষিদের

মুর্শিদাবাদ: রাজ্যের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট। যার বেশিরটাই উৎপাদন হয় মুর্শিদাবাদ জেলায়। জেলায় বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতিতে সঙ্কটের মুখে পড়েছে জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল পাটের চাষ। জেলায় এই বছর ১ লক্ষ ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন কয়েক লক্ষ চাষি। জল সঙ্কটে পড়ে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন পাট চাষিরা। মূলত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কৃষকেরা পাট গাছ কাটা ও জাঁক দেওয়া বা পচানোর কাজ করেন। এলাকার খাল-বিল ও পুকুর-ডোবায় প্রথাগত পদ্ধতিতে পাট পচানোর জন্য জাঁক দেওয়া হয়। এই বছর শ্রাবণ মাস শুরু হলেও দক্ষিণবঙ্গে এখন‌ও পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি, যথেষ্ট ঘাটতি আছে। ফলে জলাশয়গুলিতে পর্যাপ্ত জল না থাকায় পাট পচাতে সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা।

মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম অর্থকারী তন্তু জাতীয় ফসল হল পাট। জেলার বৃহৎ অংশে পাট চাষ হয়ে থাকে। একাধিক চাষি নির্ভর করেন পাট চাষের উপর। পাট চাষে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল। কিন্তু শ্রাবণ মাস পড়ে গেলেও ভারী বর্ষণ না হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার পাট চাষিরা।

আর‌ও পড়ুন: হেলমেট না পরেই বাইক নিয়ে গতির ঝড়, নরেন্দ্রপুরের দুই যুবকের মৃত্যু

মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে বহরমপুর, জঙ্গিপুর মহকুমা এমনকি হরিহরপাড়া এলাকায় পাট চাষ করে থাকেন চাষিরা। জলঙ্গি থেকে হরিহরপাড়া ব্লক সর্বত্রই অবস্থা একই। হোসেনপুর, দস্তুরপাড়া, শ্রীহরিপুর, চোঁয়া, ট্যাংরামারি সহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে পাট চাষ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টি না তেমন না হওয়ায় চরম সঙ্কটে পাট চাষিরা। সারাদিনে তিন-চারবার করে জমিতে সেচ দিয়েও গাছ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না বলে আক্ষেপের সুরে জানান তাঁরা।

বৃষ্টির না দেখা মেলায় কার্যত জমিতে শুকিয়ে যাচ্ছে সমস্ত পাটগাছ। এমনিতে এই সার ও কীটনাশকের দাম অনেকটা বেড়েছে। তার উপর বৃষ্টির অভাবে নিয়মিত জল কিনে সেচের ব্যবস্থা করতে হ‌ওয়ায় আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এর ফলে পাট চাষের খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত চাষ করেও লাভ হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা।

কৌশিক অধিকারী