Tag Archives: Jute Cultivation

Sesame Cultivation: পাটের জমিতে তিল চাষ করে চমক শিক্ষকের! ইউটিউব ভিডিও এনে দিল সাফল্য

উত্তর দিনাজপুর: চাষে অবাক কাণ্ড ঘটিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন এক শিক্ষক। পাট চাষের জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে তিল চাষ করতে গিয়ে রীতিমত সফল হয়েছেন। কালিয়াগঞ্জের এই শিক্ষকের নাম হল প্রভাস সরকার।

উত্তর দিনাজপুর জেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তিল চাষ। তবে কালিয়াগঞ্জ ব্লকে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে তিলের চাষ শুরু করেন শিক্ষক প্রভাস সরকার। কালিয়াগঞ্জের হলদিবাড়ির বাসিন্দা প্রভাস সরকার তাঁর দুই বিঘা জমিতে তিলের চাষ করছেন। অনলাইন থেকে তিলের বীজ কিনে এনে তা পাটের জমিতে রোপণ করেছিলেন। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ভাল ফলন পেয়েছেন এই তিল চাষ করে।

আরও পড়ুন: আয়াদের দাপটে নাজেহাল প্রসূতিরা, সরকারি হাসপাতালে রাত হলেই নৈরাজ্য

ঐ শিক্ষক জানিয়েছেন, পাট চাষের চেয়েও বেশি লাভ তিল চাষে। তাই পাট চাষ বাদ দিয়ে তিলের চাষ শুরু করেছেন। ইউটিউব ভিডিও দেখে তিনি এই পদ্ধতিতে তিলের চাষ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে পারেন। তিল চাষের সুবিধে হল, এই গাছ গরু-ছাগল খায় না। ফলে রক্ষণাবেক্ষণে তেমন খরচ নেই। এছাড়া এই তিলের গাছে অতিরিক্ত জলের প্রয়োজন হয় না। তাই পাট চাষের চেয়েও বেশ লাভজনক এই তিলের চাষ। এই তিল দিয়ে এক দিকে যেমন তেল পাওয়া যায় তেমনই অন্যদিকে এই তিল থেকে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরি হয়।

এমনকি মিষ্টি তৈরিতেও এই তিলের ব্যবহার করা হয়। বাজারে তিলের তেল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। জানা গিয়েছে বিঘা প্রতি তিল চাষে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হয়। উৎপাদন হয় চার থেকে পাঁচ মণ তিল। বাজারে প্রতি মণ তিল ৮ থেকে ১১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। ফলে বুঝতেই পারছেন লাভ কতটা বেশি থাকে।

পিয়া গুপ্তা

Jute Cultivation: গরমের পর কালবৈশাখী, দফারফা পাট চাষের!

কোচবিহার: এবার পাট চাষের মরশুমের শুরু থেকেই অস্বস্তির মুখে পড়েছিলেন চাষিরা। তীব্র গরম পাট চাষের অনেকটাই ক্ষতি করেছে। সেই ক্ষতির ধাক্কা এখনও পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি কৃষকেরা। জলসেচ পর্যাপ্ত পরিমাণে দিলেও পাটের চাষ খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এরই মাঝে জেলাজুড়ে কালবৈশাখের পূর্বাভাস অনেকটাই চিন্তায় ফেলেছে চাষিদের। গরমের দাবদাহে বেশিরভাগ জমির পাট ঝলসে গিয়েছে। এবার কালবৈশাখীর দাপটে বাকি পাট‌ও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় চাষিরা।

আরও পড়ুন: নতুন বাঁধ তৈরি না হলে শেষ হয়ে যাবে চাষবাস! এখানে ভয়ঙ্কর সঙ্কট

কোচবিহার জেলায় মোট চাষযোগ্য জমির প্রায় ৪০ শতাংশতেই পাট চাষ করা হয়। তীব্র গরমের মধ্যে মোট পাট চাষের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষকদের দাবি। জেলার এক পাট চাষি সুভাষ কাহালি জানান, তীব্র গরমে এবার পাট চাষের দফারফা হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ জমির পাট পর্যাপ্ত জল না পাওয়ার কারণে শুকিয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে পাটের চারা গজাতে অনেকটাই সময় লেগেছে। ফলে পাটের মরশুম অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই কারণে চিন্তায় বেশিরভাগ পাট চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে যদি দ্রুত পাট চাষিদের সহায়তা প্রদান করা না হয় তবে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দেবে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত জমিতে পাট অবশিষ্ট রয়েছে সেই জমিগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সেচের প্রয়োজন রয়েছে। না হলে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা।

সার্থক পণ্ডিত

Jute Farmer: অনাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পাট চাষ

দক্ষিণ দিনাজপুর: জেলাজুড়ে গত দু’মাস বৃষ্টির দেখা নেই। প্রবল উদ্যোগে শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। ফলে রাতের ঘুম উড়েছে পাট চাষিদের। এইভাবে চলতে থাকলে এই বছর পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে কৃষকদের।

পাট চাষের জন্য এই সময় ভাল পরিমাণ বৃষ্টির দরকার হয়। কিন্তু এবার বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি চলে এলেও কালবৈশাখীর দেখা নেই। তার‌উপর গত কিছুদিন ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। পারদ ৩৯-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে। এই পরিস্থিতিতে মাঠে পাটগাছ নুইয়ে পড়ছে। বৃষ্টির অভাবে পাট গাছ মরে যেতে বসেছে। অবিলম্বে বৃষ্টি না হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বালুরঘাট সহ জেলার কৃষকদের।

আর‌ও পড়ুন: হাসিমুখে মা-বাবার নতুন বিয়ের সাক্ষী থাকল সন্তানরা!

বিপদ প্রসঙ্গে পাট চাষিরা জানান, এই গরমে মাঠে বোরো ধানের পাশাপাশি পাট চাষ করা হয়েছে৷ প্রায় মাস খানেক আগে পাট রোপন করা হলেও গাছের বৃদ্ধি হচ্ছে না। নুইয়ে পড়ছে গাছ৷ ঝরে যাচ্ছে গাছের পাতা। এমনকি মাটির জলস্তর নেমে যাওয়ায় পাম্পে ঠিক মত জল উঠছে না। তার উপরে আশপাশের খাল-বিলের জল শুকিয়ে যাওয়ায় জলসেচ‌ও সম্ভব হচ্ছে না।

সুস্মিতা গোস্বামী

Line Cultivation: এই বিশেষ পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে কৃষকের লাভ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে! রইল উপায়

কোচবিহার: গ্রীষ্মকালে ধীরে ধীরে পাটের চাহিদা বাড়তে শুরু করে বাজারে। এই কারণে গরম পড়লেই পাট চাষ শুরু করে দেন বহু কৃষক। তবে লাইন পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে লাভের মাত্রা থাকে অনেকটাই বেশি। মূলত এই কারণে অনেকেই এই পদ্ধতিতে চাষ করা পছন্দ করেন।

গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে চিরাচরিত পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে মুনাফার খুব একটা থাকছে না। তাই চিরাচরিত পদ্ধতি ছেড়ে কৃষকরা যদি আধুনিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে লাইন চাষ ও সিড ড্রিলিং পদ্ধতির মাধ্যমে পাট চাষ করেন তবে খুব সহজেই মুনাফা পেতে পারেন।

এই প্রসঙ্গে এক কৃষক মহম্মদ আলি জানান, সাধারণভাবে পাট চাষ ছিটিয়ে করতে গেলে অনেকটাই সময়ের প্রয়োজন। এছাড়াও শ্রমিকের সংখ্যাও লাগে অনেকটাই বেশি। চাষের খেত পরিষ্কার করার পিছনে অনেকটাই বেশি সময় নষ্ট হয়। তবে লাইন চাষ পদ্ধতিতে আবাদ করলে খুব সহজেই হয়ে যায় সমস্ত কাজ। খরচ হয় নামমাত্র, অথচ মুনাফার পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি। মূলত এই কারণেই বেশিরভাগ কৃষকদের এই পদ্ধতিতেই চাষাবাদ করা উচিত। তাহলে স্বল্প সময়, স্বল্প খরচে অধিক মুনাফার মুখ দেখতে পারবেন কৃষকেরা।

আর‌ও পড়ুন: গরমে আগুন লাগার ঘটনা বেড়ে যায়, তেমনটা হলে কী করবেন? রইল টিপস

তিনি আরও জানান, বর্তমানে কৃষকদের একটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলো পর্যাপ্ত শ্রমিকের জোগান। দরকারের সময় পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায় না। ফলে অনেক সময় নষ্ট হয় কৃষকদের। এর পরিবর্তে আধুনিক যন্ত্র নির্ভর কৃষি পদ্ধতি অবলম্বন করলে সময় নষ্ট হবে না কৃষকদের। কোচবিহারের এক ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির সম্পাদক মোজাহিদ হোসেন জানান, বর্তমান সময়ে কৃষকদের যন্ত্রনির্ভর চাষ পদ্ধতির দিকে নিয়ে আসতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে বারংবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

যদি এই অতি সহজ পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকেরা পাট চাষ করেন তবে আগামী দিনে কোচবিহার জেলা থেকে আরও উন্নত মানের পাট রফতানি করা সম্ভব হবে। এছাড়াও কৃষকেরা নিজেদের মুনাফার পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলতে পারবেন স্বল্প সময়ে। তাই কৃষকদের উচিত শ্রমিক নির্ভর কৃষি পদ্ধতির না ব্যবহার করে। যন্ত্র নির্ভর এবং সহজ কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করা। এতে কৃষি ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে আগামীদিনে।

সার্থক পণ্ডিত