Jute Cultivation: বৃষ্টির অভাবে সঙ্কটে পাট চাষ, নবাবের জেলায় ভয়াবহ অবস্থা

মুর্শিদাবাদ: এবার গ্রীষ্মের শুরু থেকেই চালিয়ে ব্যাট করছে দাবদাহ। যার দাপটে নাজেহাল বঙ্গবাসী। এই তীব্র গরমে শুধু যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে তাই নয়, ক্ষতি হচ্ছে কৃষি কাজের‌ও। এই অত্যাধিক গরম পড়ায় এবং বৃষ্টি না হওয়ায় মুর্শিদাবাদ জেলায় এবার পাট চাষ ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন চাষিরা।

পাটের বীজ লাগানো হলেও অত্যধিক সূর্যের তাপের কারণে পাটের চাষ ঠিক মত করা যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চাষের জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। জলাভাবে ক্ষতি হতে শুরু করেছে পাট ও তিল চাষের। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছোঁয়া তাপমাত্রায় ফসল নিয়ে চিন্তিত মুর্শিদাবাদের চাষিরা। তাঁদের দাবি, আবহাওয়া দফতর এই সপ্তাহজুড়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে ফসল বাঁচবে কি না সেটাই চিন্তার। অন্যদিকে কবে বর্ষা আসবে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষিরা।

আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই বাড়িতে পড়ছে ঢিল! ভৌতিক কাণ্ড জলপাইগুড়ি শহরে

মুর্শিদাবাদ জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের পাট চাষের আঁতুর ঘর বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই জেলার ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় পাট চাষ করতে গিয়ে রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। পুরোপুরি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বার এমনিতেই বহু জমিতে আলুর ফলন তলানিতে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে পাট চাষেরও ক্ষতি হওয়ায় চলতি বছর ব্যাপক আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে এই জেলায়। কারণ বহু কৃষক ঋণ নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন।

চাষিদের দাবি, এ বার এখনও পর্যন্ত কালবৈশাখীর দেখা নেই। এর ফলে অনেক চাষি পাট চাষ শুরুই করতে পারেননি। অনেকে পুকুর, নালা, বিলের মতো ছোট জলাশয়ে চাষ শুরু করলেও বর্তমানে ওই জলাশয়গুলোর বেশিরভাগ শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে পাট চারা বাঁচাতে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে ভারী বর্ষনের অপেক্ষায় চাষিরা।

কৌশিক অধিকারী