Tag Archives: Jute

Jute Bag: প্লাস্টিক সরিয়ে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগ তৈরিতে রোজগারের দিশা

দক্ষিণ দিনাজপুর: পাট জাত জিনিসের চাহিদা জেলা জুড়ে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ফলে এই পাট দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে বহু মানুষ বালুরঘাট শহরে ভিড় করছেন। আশেপাশের বহু মহিলাদের পাটজাত সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় কয়েক মাস ধরে চলছে এই প্রশিক্ষণ পর্ব। মহিলারা যাতে পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নিজেদের হাতে তৈরি একাধিক ডিজাইনের ছোট বড় হাতব্যাগ, পুতুল, ফুলদানি সাধারণ মানুষদের মন জয় করেছে।

প্রসঙ্গত, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এই যুগে পরিবেশকে বাঁচানই আমাদের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় বারবার প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, প্লাস্টিক ব্যবহার ও প্রকৃতিতে মিশে যেতে অক্ষম প্লাস্টিক বর্জ্য সাংঘাতিক ক্ষতি করছে পৃথিবীর ভারসাম্যের। আর এই সুযোগেই উঠে আসছে পাটের ব্যাগ তৈরি এবং ব্যবহারের চল। পাট যথেষ্ট পরিবেশ বান্ধব। পাটের সূক্ষ সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা এই ব্যাগ সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যায়। কোন‌ওরকম পরিবেশ দূষনের সম্ভাবনা নেই। তাই পাটের তৈরি এইসব ব্যাগের বহুল ব্যবহার ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টির সুযোগে চা বাগান শ্রমিকদের বাড়ি তছনছ করল বুনো হাতি

এমনকি বর্তমানে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে অন্যতম হল পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করা। দেশের পাশাপাশি পাটের তৈরি এইসব জিনিসের চাহিদা আছে বিদেশের বাজারে‌ও। দূষণ রুখতে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ জোগাচ্ছে সরকার‌ও। এই সকল জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আর সেক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। সহজলভ্য পাটের কাজ শিখে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তাঁরা।

সুস্মিতা গোস্বামী

Jute Cultivation: বর্ষা ঢুকে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির বিপুল ঘাটতি, মাঠেই রোদে পুড়ছে পাটগাছ

মুর্শিদাবাদ: বৃষ্টির দেখা নেই, মাঠেই রোদে পুড়ছে পাট গাছ। বহু বাধা পেরিয়ে বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়লেও সেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে না। জুন মাসে প্রায় ৭০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি আছে বলে আবহবিদরা জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টির অভাবে মাথায় হাত পাট চাষিদের। বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছেন তাঁরা।

ভারী বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার পাট চাষিরা। মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম অর্থকারী তন্তু জাতীয় ফসল হল পাট। মুর্শিদাবাদ জেলার বৃহৎ অংশে পাট চাষ হয়ে থাকে। একাধিক চাষি নির্ভর করেন পাট চাষের উপর। এদিকে পাট চাষে প্রয়োজন পর্যাপ্ত জল। কিন্তু আষাঢ় মাস পড়ে গেলেও ভারী বর্ষণ না হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার পাট চাষিরা।

আর‌ও পড়ুন: পড়ুয়াদের গরম থেকে বাঁচাতে মুর্শিদাবাদের স্কুলে বিরাট কাণ্ড! বেতনের টাকায় শিক্ষকরা যা করল শুনলে চমকে যাবেন…

মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থেকে বহরমপুর, জঙ্গিপুর মহকুমা এমনকি হরিহরপাড়া এলাকায় পাটচাষ করে থাকেন পাট চাষিরা। হরিহরপাড়া থানার হোসেনপুর, দস্তুরপাড়া, শ্রীহরিপুর, চোঁয়া, ট্যাংরামারি সহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে পাট চাষ করা হয়। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় জেরে চরম সঙ্কটে পাট চাষিরা। সারাদিনে তিন-চারবার করে জমিতে সেচ দিয়েও গাছ বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরও সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল চাষিদের। এবছরে তীব্র গরম অন্যদিকে জুন মাসে বৃষ্টির ঘাটতি সেই একই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টির অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করে বসে আছেন জেলার পাট চাষিরা।

কৌশিক অধিকারী

ISRO Research: পাট চাষ নিয়ে ইসরোর গবেষণা, নিয়ে এল অ্যাপ

পূর্ব বর্ধমান: পাট চাষ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো।দেশের কোন কোন এলাকায় কীরকম পাট চাষ হয় এবং পাট চাষ করতে চাষিদের কী সমস্যা হচ্ছে সেই নিয়ে ইসরো এই গবেষণা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, পাট চাষ নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অ্যাপও এনেছে ইসরো৷ সেই অ্যাপে কীভাবে তথ্য আপলোড করতে হবে সেই বিষয়ে মাস্টার ট্রেনারদের প্রশিক্ষণ দিলেন ইসরোর দুই বিজ্ঞানী।

পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের শ্রাবণী লজে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও বেথুয়াডহরি এবং কলকাতা মিলিয়ে মোট ৫০ জন মাস্টার ট্রেনার উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রশিক্ষণ শিবিরে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুট কর্পোরেশন অব ইণ্ডিয়ার কর্মী এবং অফিসাররা।

আর‌ও পড়ুন: যেন আস্ত এক খেলাঘর! এই স্কুলে এলে ছেলেমেয়েরা বাড়ি ফিরতে চায় না

প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল আইকেয়ার নামে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ তাদের অধীনেই রয়েছে মাস্টার ট্রেনাররা। ইসরো দেশে পাট চাষ নিয়ে এবং পাট চাষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কী করা প্রয়োজন সেই নিয়ে গবেষণা করছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নানা অংশে পাট চাষ হয়৷ পাট গাছে কোন এলাকায় কী ধরনের রোগ, পোকার আক্রমণ হয়, কোন এলাকায় উৎকৃষ্ট মানের পাট উৎপন্ন হয় এইসব কিছুই ওই গবেষণার অংশ। এছাড়াও কোন এলাকায় চাষের পদ্ধতি কীরকম সেই বিষয়ে একটি অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছে ইসরো।

নির্দিষ্ট অ্যাপে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তথ্য প্রদান করেন মাস্টার ট্রেনাররা। ট্রেনাররা প্রতিটা পাট জমিতে পৌঁছে পাট চাষিদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন৷ এছাড়াও নির্দিষ্ট জমির ছবি তুলে ওই অ্যাপে আপলোড করেন। আর এই মাস্টার ট্রেনারদের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করেই ইসরোর গবেষকরা গবেষণা করেন। এই প্রসঙ্গে এক মাস্টার ট্রেনার বলেন, আমাদের এদিন ইসরোর দুই বিজ্ঞানী এসে প্রশিক্ষণ দেন৷ কীভাবে অ্যাপে তথ্য দিতে হবে সেগুলো শেখান। অনেক সময় অ্যাপে তথ্য দিতে ভুল হয়৷ তাই সঠিক তথ্য কীভাবে দিতে হবে তা নিয়ে তাঁরা বোঝান৷

পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাট চাষ হয়। জেলার কালনা এবং কাটোয়া মহকুমা জুড়ে সবথেকে বেশি পাট চাষ হয়। কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে প্রায় ২১৫ ও মঙ্গলকোটে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়৷ কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ, জগদানন্দপুর, গাজিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশি পাট চাষ হয়। কেতুগ্রাম ২ ব্লক এলাকায় সীতাহাটি, মৌগ্রাম প্রভৃতি অঞ্চলে বেশি পাট চাষ হয়। তবে দু’ বছর ধরে বৃষ্টির অভাবে পাট পচানো নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন চাষিরা। পাট পচানোর জলের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বহু চাষিকে। তাঁদের আশা, ইসরোর এই গবেষণার সুফল আগামী দিনে পাবেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Jute Cultivation: তিতকুটে পাট পাতায় হাতির অরুচি, তাতেই আশা দেখছেন কৃষকরা

আলিপুরদুয়ার: পাট‌ পাতার স্বাদ খুব‌ই তিতকুটে। মানুষ তো কোন ছাড়, তৃণভোজী অন্যান্য প্রাণীরাও এই পাতা পছন্দ করে না। সবসময়ই পাট পাতা এড়িয়ে চলে তারা। সেই দলে আছে ডুয়ার্সের জংলি হাতিরাও। আর তাই জমির ফসল বাঁচাতে এবার পাট চাষের দিকে ঝুঁকছেন ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকার কৃষকরা।

হাতির চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে তাই এখন নিশ্চিন্তে পাট চাষ করছেন মেন্দাবাড়ি এলাকার কৃষকরা। এই এলাকার ৬০ বিঘা জমিতে নতুন করে পাট চাষ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকদের কেউ ২ বিঘা, আবার কেউ ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন।ধীরে ধীরে গাছগুলি বেড়ে উঠছে। যা দেখে খুশি স্থানীয় চাষিরা।

আরও পড়ুন: শেষ রক্ষা হল না! চিতাবাঘের চামড়া সহ ধৃত দুই

পাট উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ার ফসল। পাট উৎপাদনের অনুকূল তাপমাত্রা ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে ৯০% আদ্রতার প্রয়োজন হয়। পাট বর্ষজীবি, দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ। মাঝারি বৃষ্টিপাত পাট চাষের জন্য অনুকূল। বৃষ্টিপাত ফসলের প্রাথমিক অবস্থায় অর্থাৎ এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে হলে ফলন বৃদ্ধি পায়। চারা বৃদ্ধির প্রাথমিক অবস্থায় আবার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পাট চাষের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ চারা অবস্থায় পাট গাছের গোড়ায় জল দাঁড়ালে গাছ নষ্ট হয়ে যায়।

প্রথম অবস্থায় পাট গাছ রোপণের পর ভয় পেয়েছিলেন এখানকার কৃষকরা। কারণ তাপপ্রবাহ চলায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টিপাত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়েছে। এই বিষয়ে কৃষক চন্দন কার্জি জানান, পাট চাষ করেই লাভ হচ্ছে। এই এলাকার আবহাওয়া চাষের পক্ষে উপযোগী। তাছাড়া এই চাষ করলে হাতি আসে না। ফলে লাভের মুখ দেখা যায়।

ঘটনা হল এইসব এলাকায় অন্যান্য ফসল যেমন- ধান, ভুট্টা, সুপরি চাষ করলেই চলে আসে হাতি। খাবারের লোভে চাষের জমি তছনছ করে দেয়। ফলে চাষ করেও ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। কিন্তু পাট গাছের পাতা তিতকুটে হওয়ায় তার স্বাদে অরুচি হয় হাতির‌। তাই তারা জমিতে পাট চাষ করলে সেই জায়গা সযত্নে এড়িয়ে চলে।

অনন্যা দে

Jute Cultivation: বৃষ্টির অভাবে সঙ্কটে পাট চাষ, নবাবের জেলায় ভয়াবহ অবস্থা

মুর্শিদাবাদ: এবার গ্রীষ্মের শুরু থেকেই চালিয়ে ব্যাট করছে দাবদাহ। যার দাপটে নাজেহাল বঙ্গবাসী। এই তীব্র গরমে শুধু যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে তাই নয়, ক্ষতি হচ্ছে কৃষি কাজের‌ও। এই অত্যাধিক গরম পড়ায় এবং বৃষ্টি না হওয়ায় মুর্শিদাবাদ জেলায় এবার পাট চাষ ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন চাষিরা।

পাটের বীজ লাগানো হলেও অত্যধিক সূর্যের তাপের কারণে পাটের চাষ ঠিক মত করা যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চাষের জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। জলাভাবে ক্ষতি হতে শুরু করেছে পাট ও তিল চাষের। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছোঁয়া তাপমাত্রায় ফসল নিয়ে চিন্তিত মুর্শিদাবাদের চাষিরা। তাঁদের দাবি, আবহাওয়া দফতর এই সপ্তাহজুড়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে ফসল বাঁচবে কি না সেটাই চিন্তার। অন্যদিকে কবে বর্ষা আসবে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষিরা।

আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই বাড়িতে পড়ছে ঢিল! ভৌতিক কাণ্ড জলপাইগুড়ি শহরে

মুর্শিদাবাদ জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের পাট চাষের আঁতুর ঘর বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই জেলার ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় পাট চাষ করতে গিয়ে রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। পুরোপুরি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বার এমনিতেই বহু জমিতে আলুর ফলন তলানিতে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে পাট চাষেরও ক্ষতি হওয়ায় চলতি বছর ব্যাপক আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে এই জেলায়। কারণ বহু কৃষক ঋণ নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন।

চাষিদের দাবি, এ বার এখনও পর্যন্ত কালবৈশাখীর দেখা নেই। এর ফলে অনেক চাষি পাট চাষ শুরুই করতে পারেননি। অনেকে পুকুর, নালা, বিলের মতো ছোট জলাশয়ে চাষ শুরু করলেও বর্তমানে ওই জলাশয়গুলোর বেশিরভাগ শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে পাট চারা বাঁচাতে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে ভারী বর্ষনের অপেক্ষায় চাষিরা।

কৌশিক অধিকারী

Jute Farmer: অনাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পাট চাষ

দক্ষিণ দিনাজপুর: জেলাজুড়ে গত দু’মাস বৃষ্টির দেখা নেই। প্রবল উদ্যোগে শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। ফলে রাতের ঘুম উড়েছে পাট চাষিদের। এইভাবে চলতে থাকলে এই বছর পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে কৃষকদের।

পাট চাষের জন্য এই সময় ভাল পরিমাণ বৃষ্টির দরকার হয়। কিন্তু এবার বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি চলে এলেও কালবৈশাখীর দেখা নেই। তার‌উপর গত কিছুদিন ধরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। পারদ ৩৯-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে। এই পরিস্থিতিতে মাঠে পাটগাছ নুইয়ে পড়ছে। বৃষ্টির অভাবে পাট গাছ মরে যেতে বসেছে। অবিলম্বে বৃষ্টি না হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বালুরঘাট সহ জেলার কৃষকদের।

আর‌ও পড়ুন: হাসিমুখে মা-বাবার নতুন বিয়ের সাক্ষী থাকল সন্তানরা!

বিপদ প্রসঙ্গে পাট চাষিরা জানান, এই গরমে মাঠে বোরো ধানের পাশাপাশি পাট চাষ করা হয়েছে৷ প্রায় মাস খানেক আগে পাট রোপন করা হলেও গাছের বৃদ্ধি হচ্ছে না। নুইয়ে পড়ছে গাছ৷ ঝরে যাচ্ছে গাছের পাতা। এমনকি মাটির জলস্তর নেমে যাওয়ায় পাম্পে ঠিক মত জল উঠছে না। তার উপরে আশপাশের খাল-বিলের জল শুকিয়ে যাওয়ায় জলসেচ‌ও সম্ভব হচ্ছে না।

সুস্মিতা গোস্বামী

Health Tips: অ্যালার্জির সমস্যা, একবার এই ঘরোয়া টোটকা ট্রাই করে দেখুন

খাদ্য গুণের পাশপাশি পাটে রয়েছে উপকারী গুণ, এই পাট দূর করতে পারে অ্যালার্জির মত সমস্যা, কাঁচা হলুদ বা জোয়ানে মিলতে পারে অ্যালার্জির থেকে মুক্তি