মাখা সন্দেশ 

Kalna Famous Sweet: এখানকার মাখা সন্দেশ খেলে সেই স্বাদ জীবনে ভুলবেন না!

পূর্ব বর্ধমান: বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক। আর খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে অন্যতম প্রিয় হল মিষ্টি। শেষ পাতে মিষ্টি না হলে চলে না। এই বাংলার বিভিন্ন স্থানের এক একরকম মিষ্টি রীতিমত জগত বিখ্যাত। জয়নগরের মোয়া, কৃষ্ণনগরের স্বরপুরিয়া যেমন তেমনই অতি বিখ্যাত কালনার মাখা সন্দেশ।

মিষ্টির ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ধমানের কথা উঠলে সাধারণত সিতাভোগ, মিহিদানা ল্যাংচার কথা মনে পড়ে। কিন্তু এই জেলার কালনার মাখা সন্দেশ’ও কম বিখ্যাত নয়। এখানকার মাখা সন্দেশ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়েছে ইংল্যান্ড।

আর‌ও পড়ুন: মিনিট টর্নেডোয় থমকে গেছে জীবন, দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে রোজগারের চাকা

কালনার অম্বিকা সুইটস এই মাখা সন্দেশের জন্য অতি বিখ্যাত। ওই দোকানের কর্মচারী অয়ন কুমার দে বলেন, মানুষ এখানকার মাখা সন্দেশ পছন্দ করে। এমনিতেই কালনার মাখা সন্দেশের সুনাম আছে। মাখা সন্দেশের প্রতি মানুষের একটা আলাদা টান রয়েছে। সারাদিন বিভিন্ন ক্রেতা আসেন, তাঁরা সন্দেশ কিনে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। এখনও কিছু সন্দেশ প্যাকিং করা আছে, যেগুলো মুম্বাই যাবে।

কালনা শহরের এই অম্বিকা সুইটস দোকান থেকে বহু মানুষ মাখা সন্দেশ কিনে নিয়ে যান। দোকানের অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি সবথেকে বেশি চাহিদা থাকে এই মাখা সন্দেশের। কেজি হিসেবে এই সন্দেশ বিক্রি হয়। তবে দামের কোনও ঠিক থাকে না। ছানার দামের উপর নির্ভর করে ঠিক হয় মাখা সন্দেশের দাম। এই মাখা সন্দেশ কীভাবে তৈরি করা হয় জানেন?

মাখা সন্দেশ তৈরির প্রণালী বর্ণনা করতে গিয়ে দোকানের কর্মচারীরা জানান, প্রত্যেকদিন ৮০ থেকে ১ কুইন্টাল মাখা সন্দেশ তৈরি হয়। সন্ধেতে ছানা আসে। তারপর সেই ছানা জাঁক দিয়ে সন্দেশ তৈরি করা শুরু হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সন্দেশ তৈরির কাজ। এই মাখা সন্দেশ তৈরি করতে উপকরণ লাগে ছানা আর চিনি। তবে শীতকালে গুড়ের ব্যবহার করা হয়। এতে আরও অনেক কিছু দেওয়া যায়। কিন্তু খাঁটি মাখা সন্দেশে বেশি অন্য জিনিস না মেশানোই উচিত।

আর‌ও পড়ুন: বিশেষ পদ্ধতিতে জৈব সার দিয়ে শসা চাষ করে অবিশ্বাস্য ফলন পান! এই গরমে হবে বিপুল আয়

মিষ্টি প্রেমী হলে আপনিও কিন্তু একদিন কালনায় এসে অম্বিকা সুইটসের মাখা সন্দেশ চেখে দেখতে পারেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী