Category Archives: ফুড

Summer Recipe: গরমে হিট শসা মাখা! নতুন রেসিপিতে মজেছে আলিপুরদুয়ার

আলিপুরদুয়ার: এই প্রচন্ড গরমে শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হয়। পথচারীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে শসা খেলে শরীরে জলের ঘাটতি অনেকটাই মেটে। তাই পথে ঘাটে দেখবেন এই সময় দেদার শসা বিক্রি হয় এবং মানুষও তা কিনে খেয়ে স্বস্তি পায়। তবে এবারের গরমে আলিপুরদুয়ারে হিট মাত্র ১০ টাকার শসা মাখা!

গ্রীষ্মকালে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। যেসব খাবার জলের ঘাটতি মেটায় এবং শরীর শীতল রাখে সেগুলো বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ধরনের খাবারের তালিকায় শুরুতেই থাকে শসার নাম। শসায় থাকে জল , ফাইবার, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন-সি ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি খেলে দেহে এনার্জির ঘাটতি পূরণ হয়, সেইসঙ্গে পাওয়া যায় শীতল অনুভূতি।

আর‌ও পড়ুন: সারা গায়ে এ কী করল যুবক! মোদি ভক্তের অবাক কাণ্ড সংখ্যালঘু প্রধান জঙ্গিপুরে

আলিপুরদুয়ার জেলায় বহুদিন ধরে শসা বিক্রি করে চলেছেন মহম্মদ জহিরুদ্দিন। সেই তিনিই ক্রেতাদের কথা ভেবে এই গরমের মধ্যে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শসা বিক্রি করছেন। ১০ টাকা দিলেই তিনি মেখে দেন শসা। আগে শসা কেটে তাতে বিট লবণ দিয়ে বিক্রি করতেন। কিন্তু জেলাবাসীর মুখের স্বাদে পরিবর্তন আনতে এখন শসা ছোট ছোট করে কেটে টমেটো, ধনে পাতা, কাসুন্দি ও লবণ দিয়ে মেখে তা বিক্রি করেন। এই নতুন শসা মাখার স্বাদে মজেছে এখানকার মানুষ।

অনন্যা দে

Veg Thali: এই রাজধানীতে মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ভেজ থালি! খাওয়ার খরচ কমে অর্ধেক

নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার যে কোন‌ও পাইস হোটেলে দুপুরের ভেজ থালির দাম কত হয়? এর কোন‌ও নির্দিষ্ট রেট নেই। তবে আজকের বাজার দরে ৫০ টাকার নিচে ভেজ থালি পাওয়া হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে গেলে রীতিমত চমকে যাবেন। এখানকার একটি ভাতের হোটেলে আপনি মাত্র ২০ টাকায় ভেজ বা নিরামিষ থালি পেয়ে যাবেন!

লকডাউনের ঠিক আগে জানু দত্ত নামে গুয়াহাটির এক স্থানীয় মহিলা এই হোটেলটি চালু করেছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ায় সংসার চালাতে তিনি এই ব্যবসায় নামেন। হোটেলটি শহরের উলুবাড়ির ডাঃ বিকে কাকতি রোডে অবস্থিত। এখানে ভেজ থালিতে ভাত, ডাল, সবজি, লেবু এবং চাটনি থাকে। এছাড়াও ২০ টাকায় ডিমের তরকারি, ৪০ টাকায় মটর পনির, ৪০ টাকায় চিকেন কষা, চিকেন কারি, ৪০ টাকায় ডিম পাটোরি এবং মাত্র ৪০ টাকায় এখানে ফিশ কারিও পাওয়া যায়।

আর‌ও পড়ুন: চিড়ে, দই, লাড়ু, পিঠে খাওয়ার জন্য এই সময় বিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা!

এই ভাতের হোটেলের মালকিন জানু দত্তের দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। জানু দত্তের এই ভাতের হোটেলে প্রতিদিনই ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দুপুরে ফুসরত ফেলার সুযোগ পান না তিনি। অত্যন্ত সস্তায় খাবার খাইয়েও সংসারে ফিরেছে স্থিতিশীলতা।

Fermented Fish: শুঁটকি সিদল’ও প্যাকেটজাত! বাড়িতে বসেই ওপার বাংলার স্বাদে ডুব

নিজস্ব প্রতিবেদন: শুঁটকি মাছের কথা শুনলেই আজও বহু ঘটি পরিবারের সদস্যরা চোখ-মুখ কুঁচকে ওঠেন। আবার যারা শুঁটকির স্বাদ পরখ করে দেখেছেন তাঁদের কাছে এটা লা জবাব। আর যারা সিদলের স্বাদ একবার চোখে দেখেছেন তাঁরা বোধহয় জীবনে অমৃতের স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন। মলা, পুঁটি, টাকি ইত্যাদি মাছের শুঁটকির সঙ্গে কচু বা মানকচুর ডাঁটা মিশিয়ে সিদল তৈরি করা হয়। গরম গরম ভাতের সঙ্গে সিদল, আহা যেন স্বর্গ সুখ! বাংলাদেশের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের একাংশে সিদলের ব্যাপক প্রচলন আছে। পশ্চিমবঙ্গেও বহু মানুষ সিদল খেতে পছন্দ করলেও তা সহজে এখানে পাওয়া যায় না। তবে তাঁদের জন্য এবার মুশকিল আসান। চাইলেই এবার বাড়িতে নিয়ে আসতে পারবেন প্যাকেটজাত সিদল।

আর‌ও পড়ুন: ঘুরতে গিয়ে বাঘ দেখার নিশ্চয়তা চান? ট্যুর প্ল্যানে থাকুক কাজিরাঙা

আজকের প্রজন্মে বাঙাল পরিবার গুলিতে শীতল তৈরির উপায় বা পদ্ধতি অনেকেরই অজানা কিন্তু খেতে বহু মানুষ পছন্দ করে। তাছাড়া আজকাল বহু ঘটি পরিবারের সদস্যরাও সিদলের স্বাদে মজেছেন। তাদের সকলের জন্য এবং মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিয়েছে অসমের সুদর্শন এথনিক ফুড সোসাইটি। তারা ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ দ্য ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্স স্টাডি ইন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইএএস‌এসটি) করিমগঞ্জ শাখার সাহায্যে শুঁটকি সিদল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ‘গাছতলার বিহু’ দেখেছেন? অসমের মাত্র দুটি জেলায় জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়

অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই এই বিশেষ প্যাকেটজাত সিদল যে কেউ কিনতে পারবেন। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও মলয় জয়রাজ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। যাতে অন্য কেউ এই সিদল তৈরির ফর্মুলা নকল করতে না পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই জিও ট্যাগ করা হয়েছে। আপাতত অসমের মধ্যে এই প্যাকেটজাত সিদল পাওয়া যাবে। তবে আগামী দিনে চাহিদা বাড়লে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও পাওয়া যেতে পারে।

Kalna Famous Sweet: এখানকার মাখা সন্দেশ খেলে সেই স্বাদ জীবনে ভুলবেন না!

পূর্ব বর্ধমান: বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক। আর খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে অন্যতম প্রিয় হল মিষ্টি। শেষ পাতে মিষ্টি না হলে চলে না। এই বাংলার বিভিন্ন স্থানের এক একরকম মিষ্টি রীতিমত জগত বিখ্যাত। জয়নগরের মোয়া, কৃষ্ণনগরের স্বরপুরিয়া যেমন তেমনই অতি বিখ্যাত কালনার মাখা সন্দেশ।

মিষ্টির ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ধমানের কথা উঠলে সাধারণত সিতাভোগ, মিহিদানা ল্যাংচার কথা মনে পড়ে। কিন্তু এই জেলার কালনার মাখা সন্দেশ’ও কম বিখ্যাত নয়। এখানকার মাখা সন্দেশ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়েছে ইংল্যান্ড।

আর‌ও পড়ুন: মিনিট টর্নেডোয় থমকে গেছে জীবন, দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে রোজগারের চাকা

কালনার অম্বিকা সুইটস এই মাখা সন্দেশের জন্য অতি বিখ্যাত। ওই দোকানের কর্মচারী অয়ন কুমার দে বলেন, মানুষ এখানকার মাখা সন্দেশ পছন্দ করে। এমনিতেই কালনার মাখা সন্দেশের সুনাম আছে। মাখা সন্দেশের প্রতি মানুষের একটা আলাদা টান রয়েছে। সারাদিন বিভিন্ন ক্রেতা আসেন, তাঁরা সন্দেশ কিনে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। এখনও কিছু সন্দেশ প্যাকিং করা আছে, যেগুলো মুম্বাই যাবে।

কালনা শহরের এই অম্বিকা সুইটস দোকান থেকে বহু মানুষ মাখা সন্দেশ কিনে নিয়ে যান। দোকানের অন্যান্য মিষ্টির পাশাপাশি সবথেকে বেশি চাহিদা থাকে এই মাখা সন্দেশের। কেজি হিসেবে এই সন্দেশ বিক্রি হয়। তবে দামের কোনও ঠিক থাকে না। ছানার দামের উপর নির্ভর করে ঠিক হয় মাখা সন্দেশের দাম। এই মাখা সন্দেশ কীভাবে তৈরি করা হয় জানেন?

মাখা সন্দেশ তৈরির প্রণালী বর্ণনা করতে গিয়ে দোকানের কর্মচারীরা জানান, প্রত্যেকদিন ৮০ থেকে ১ কুইন্টাল মাখা সন্দেশ তৈরি হয়। সন্ধেতে ছানা আসে। তারপর সেই ছানা জাঁক দিয়ে সন্দেশ তৈরি করা শুরু হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে সন্দেশ তৈরির কাজ। এই মাখা সন্দেশ তৈরি করতে উপকরণ লাগে ছানা আর চিনি। তবে শীতকালে গুড়ের ব্যবহার করা হয়। এতে আরও অনেক কিছু দেওয়া যায়। কিন্তু খাঁটি মাখা সন্দেশে বেশি অন্য জিনিস না মেশানোই উচিত।

আর‌ও পড়ুন: বিশেষ পদ্ধতিতে জৈব সার দিয়ে শসা চাষ করে অবিশ্বাস্য ফলন পান! এই গরমে হবে বিপুল আয়

মিষ্টি প্রেমী হলে আপনিও কিন্তু একদিন কালনায় এসে অম্বিকা সুইটসের মাখা সন্দেশ চেখে দেখতে পারেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Famous Village Singara Shop: গ্রামের এই দোকানে রোজ ১২০০ পিসের বেশি শিঙাড়া বিক্রি হয়! কিনতে গেলে দিতে হবে লাইন

পূর্ব বর্ধমান: দিন পাল্টাচ্ছে। বাঙালিও এখন পিজ্জা, বার্গারে মজেছে। তবে বিকেল হলেই শিঙাড়া খাওয়ার অভ্যাসটা এখনও তার যায়নি। বর্ধমানে আছে এমনই এক জনপ্রিয় শিঙাড়ার দোকান। এখানে বিকেল হলেই রীতিমতো লাইন পড়ে যায় ক্রেতাদের।

আর‌ও পড়ুন: আদিবাসী মহল্লার খুকুরি ভাজা খেলে স্বাদ ভুলতে পারবেন না

পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-১ ব্লকের রায়না শ্যামসুন্দর রোডে, শ্যামসুন্দর গ্রামের কাছেই অবস্থিত এই জনপ্রিয় শিঙাড়ার দোকানটি। প্রতিদিন বিকেল ৪ টেতে খোলা হয় এই দোকান। এখানে এক পিস শিঙাড়ার দাম ৭ টাকা। তবে দাম যেমন ৭ টাকা তেমনই আকার ও স্বাদেও কিন্তু অতুলনীয় এই শিঙাড়া। শুধুমাত্র এই শিঙাড়া খাওয়ার জন্য দূর দূরান্ত ছুটে আসে মানুষ।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই বিখ্যাত দোকানটি চাতরের শিঙাড়া নামে পরিচিত। এখানে দৈনিক প্রায় ১২০০-এর বেশি শিঙাড়া বিক্রি হয় বলে জানান দোকানের মালকিন আঙুরবালা হাটি। তিনি বলেন, আগে ৪০/৫০ পিস বিক্রি হত। তবে এখন দৈনিক প্রায় ১২০০ পিসের বেশি বিক্রি হয়। আগে খড়ের চালের বাড়ি ছিল। এই ব্যবসার হাত ধরেই তৈরি হয়েছে পাকা বাড়ি, দিয়েছেন তিন মেয়ের বিয়ে। ৩৩ বছর ধরে এই জনপ্রিয় শিঙাড়ার দোকানটি চলছে।।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Tribal Food Recipe: আদিবাসী মহল্লার খুকুরি ভাজা খেলে স্বাদ ভুলতে পারবেন না

আলিপুরদুয়ার: বাজারের কেনা মাশরুম নয়, মাঠের মাশরুম সংগ্রহ করে তা ভেজে খান আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। এই সুস্বাদু ভাজাটির নাম খুকুরি ভাজা।

আর‌ও পড়ুন: এক কিলোমিটারের মধ্যে আর কেউ পুজো করতে পারে না! সংগ্রামপুরের প্রাচীন কালী মন্দিরের পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস

মাঠে পাওয়া মাশরুমকে আদিবাসী ভাষায় বলা হয় খুকুরি। ছোট, বড় ও মাঝারি হিসেবে এই খুকুরির বিভিন্ন নাম হয়। এই সময় পাওয়া যায় ছোট খুকুরি।মনে হতেই পারে মাঠে পাওয়া এই খুকুরি বিষাক্ত নয়তো? সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এক আদিবাসী যুবক। তিনি বলেন, আমরা বাজারজাত মাশরুম খুব কম খাই। মাঠ থেকে সংগ্রহ করা মাশরুম নিয়ে এসে রান্না করি। এই মাশরুম সংগ্রহের পর তা বাছাই করি।যেসব মাশরুমের নিচের দিক কালো হয় সেগুলি ফেলে দিয়ে বাকিগুলো রান্না করা হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

খুকুরি ভাজা করার জন্য আগের দিন মাশরুম তুলে আনতে হয়। রাতে শোয়ার আগে মাশরুমগুলো গরমজলে ভিজিয়ে দিতে হবে। সকালে সেই জল ফেলে দিয়ে আবারও জলে পরিস্কার করে নিতে হয় মাশরুমগুলি। তারপর কেটে নিতে হয়। পাশাপাশি আলু ও পেঁয়াজ সরু করে কেটে নিতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম হয়ে এলে জিরে ফোড়ন দিতে হয়। এরপর পেঁয়াজ, লঙ্কা ভেজে নিতে হয়। তারপর আলু ভেজে নিয়ে দিতে হবে মাশরুম। এরপর দিতে হবে হলুদ ও লবণ। ভাজাটি লালচে হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। এই খুকুরি ভাজা বেশ জনপ্রিয়।

অনন্যা দে

Street Food: দিল্লির বিখ্যাত ছোলে-কুলচা এখন শিলিগুড়িতেও, আহা কী স্বাদ!

শিলিগুড়ি: দিল্লির জনপ্রিয় ছোলে-কুলচা এবার শিলিগুড়িতে। এতদিন এখানে রাস্তার অলিতে-গলিতে মোমো পাওয়া যেত। এবার থেকে তারই বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এসে হাজির ছোলে কুলচা। উত্তর ভারতীয় এই খাবারের স্বাদে এবার মজবে বাংলার শিলিগুড়ি।

আরও পড়ুন: GI ট্যাগ অতিরিক্ত অর্থ এনে দেবে? সেই আশাতেই সুন্দরবনের মৌলেরা

স্কুলের বাচ্চা থেকে শুরু করে অফিসযাত্রী, দিল্লির প্রায় সকলেই ছোলে-কুলচার ভক্ত। এর স্বাদ নেওয়ার জন্য আর কষ্ট করে আপনাদের দিল্লি যেতে হবে না। বরং শিলিগুড়ির এস এফ রোডের ‘দিল্লী মাশালা’ দোকানেই এখন থেকে উপভোগ করতে পারবেন ছোলে-কুলচার সেই দুর্দান্ত স্বাদ।

সিদ্ধ ছোলা (মটর) এবং নরম সাদা আটার রুটি (কুলচা)-এর সমন্বয়ে কাটা পেঁয়াজ, রসালো টমেটো, গুঁড়ো মশলা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। প্রত্যেকের নিজস্ব একটি রেসিপি থাকার কারণে, এই খাবারটি সাধারণত আপনার পছন্দের রাস্তার বিক্রেতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন স্বাদের হয়। এস এফ রোডের এই দোকানে একজন ব্যক্তি তার চারপাশে মশলার সম্ভার নিয়ে বসে ছিলেন। তিনি তামার পাত্র থেকে ছোলা বের করেন, তার উপরে আলু এবং মশলা তারপরে তাতে এক চামচ আমচুর-চাটনি দেন, গরম মশলা ছিটোন এবং সবুজ ধনিয়া , মূলো এবং সূক্ষ্মভাবে কাটা আদা যোগ করেন। শেষে পাশে এক জোড়া তুলতুলে কুলচা রেখে পরিবেশন করেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

শিলিগুড়ির লোকেরা মনের আনন্দে এই ছোলে-কুলচা খাচ্ছেন। দোকানের কর্নধার বিনয় কুমার খেরিয়া বলেন, দিল্লিতে এই খাবার খুব জনপ্রিয়। আমার দোকানে দিল্লির সব প্রিয় খাবারগুলি পাবেন। প্রতি প্লেটের দাম ৮০ টাকা। সারাদিনে ১০০ প্লেটের উপর বিক্রি হচ্ছে ছোলে-কুলচা।

অনির্বাণ রায়

Health Tips: কম দামের ছোট এই মাছই সর্বরোগহরা! কাছে ঘেষতে দেয় না ক্যানসারকে, আরও অনেক রোগের যম

মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া বাঙালির খাওয়া যেন অসম্পূর্ণ। বাইরে যাওয়ার আগে গরম ভাতের সঙ্গে মাছের পদ না থাকলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় বহু গৃহকর্তারই।
মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছ ছাড়া বাঙালির খাওয়া যেন অসম্পূর্ণ। বাইরে যাওয়ার আগে গরম ভাতের সঙ্গে মাছের পদ না থাকলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় বহু গৃহকর্তারই।
রুই-কাতলা-ইলিশ-চিংড়ি, এই সমস্ত মাছ দুপুরে গরম ভাতে খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও আমুদি মাছ সচরাচর বাঙালির পাতে খুব একটা দেখা যায় না।
রুই-কাতলা-ইলিশ-চিংড়ি, এই সমস্ত মাছ দুপুরে গরম ভাতে খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও আমুদি মাছ সচরাচর বাঙালির পাতে খুব একটা দেখা যায় না।
কিন্তু আমুদি মাছের গুণাগুণ অনেক, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও। চিকিৎসক পেয়ারীমোহন বিশ্বাস জানাচ্ছেন, অমুদি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এবং এই মাছ সর্দি-কাশিরও উপশম করে।
কিন্তু আমুদি মাছের গুণাগুণ অনেক, যা জানলে অবাক হবেন আপনিও। চিকিৎসক পেয়ারীমোহন বিশ্বাস জানাচ্ছেন, অমুদি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এবং এই মাছ সর্দি-কাশিরও উপশম করে।
আমুদি মাছে আছে প্রচুর প্রোটিন। ছোট-বড় সকলের জন্যই উপকারী। ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃৎপিণ্ডকে ভাল রাখে।
আমুদি মাছে আছে প্রচুর প্রোটিন। ছোট-বড় সকলের জন্যই উপকারী। ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। রয়েছে ওমেগা থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃৎপিণ্ডকে ভাল রাখে।
ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধেও উপকারী এই মাছ। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ করে। উপকারী সন্তানধারণের সময়েও।
ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধেও উপকারী এই মাছ। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। চোখের দৃষ্টি স্বচ্ছ করে। উপকারী সন্তানধারণের সময়েও।
তাই আর দেরি না করে রুই কাতলা ইলিশ চিংড়ি মাছের মত আজই দুপুরের মেনুতে যোগ করে নিন গরম ভাতের সঙ্গে আমুদি মাছ।
তাই আর দেরি না করে রুই কাতলা ইলিশ চিংড়ি মাছের মত আজই দুপুরের মেনুতে যোগ করে নিন গরম ভাতের সঙ্গে আমুদি মাছ।

Evening Snacks: মুচমুচে মুড়িতে জমে যাবে সন্ধের আড্ডা, খেতে ঠিক দোকানের মত! রইল সহজ রেসিপি

সন্ধে হতেই চটকদার কিছু খাবার জন্য মনটা আনচান করছে? নির্দ্বিধায় বানিয়ে ফেলুন ঝাল মুড়ি। সামান্য উপকরণে টেস্টি খাবার। স্বাদ হবে দোকানের মত। শরীরও থাকবে ফিট। জেনে নিন সহজ রেসিপি।
সন্ধে হতেই চটকদার কিছু খাবার জন্য মনটা আনচান করছে? নির্দ্বিধায় বানিয়ে ফেলুন ঝাল মুড়ি। সামান্য উপকরণে টেস্টি খাবার। স্বাদ হবে দোকানের মত। শরীরও থাকবে ফিট। জেনে নিন সহজ রেসিপি।
দীর্ঘদিনের ঝাল মুড়ি বিক্রেতা শিবম কেশরী বলছেন, সামান্য কিছু জিনিস ব্যবহার করে বাড়িতে ঝাল মুড়ি তৈরি করা যাবে। এর জন্য অবশ্যই লাগবে মুড়ি, সঙ্গে ব্যবহার করুন অল্প চানাচুর, একটু ভাজা মশলা, অল্প কাঁচা তেল, ছোলা, বাদাম ইত্যাদি।
দীর্ঘদিনের ঝাল মুড়ি বিক্রেতা শিবম কেশরী বলছেন, সামান্য কিছু জিনিস ব্যবহার করে বাড়িতে ঝাল মুড়ি তৈরি করা যাবে। এর জন্য অবশ্যই লাগবে মুড়ি, সঙ্গে ব্যবহার করুন অল্প চানাচুর, একটু ভাজা মশলা, অল্প কাঁচা তেল, ছোলা, বাদাম ইত্যাদি।
এছাড়াও অল্প সিদ্ধ আলু ছোট ছোট করে কাটা, পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি ব্যবহার করবেন। বাড়িতে নারকেল এবং বেদানা থাকলে অবশ্যই ছোট কুচি করে মিশিয়ে দিতে ভুলবেন না। স্বাদ বেড়ে যাবে অনেকখানি।
এছাড়াও অল্প সিদ্ধ আলু ছোট ছোট করে কাটা, পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি ব্যবহার করবেন। বাড়িতে নারকেল এবং বেদানা থাকলে অবশ্যই ছোট কুচি করে মিশিয়ে দিতে ভুলবেন না। স্বাদ বেড়ে যাবে অনেকখানি।
শিবমবাবু বলছেন, প্রথমেই একটা বড় পাত্রে মুড়ি নিন। তার মধ্যে অল্প একটু নুন দিন। দিন ভাজা মশলা, অল্প কাঁচা তেল, চানাচুর, শুকনো খোলায় ভাজা বাদাম, ছোলা ইত্যাদি। প্রথমে সবগুললিকে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কাঁচা সরষের তেলের বদলে অল্প একটু আমতেল ব্যবহার করতে পারেন।
শিবমবাবু বলছেন, প্রথমেই একটা বড় পাত্রে মুড়ি নিন। তার মধ্যে অল্প একটু নুন দিন। দিন ভাজা মশলা, অল্প কাঁচা তেল, চানাচুর, শুকনো খোলায় ভাজা বাদাম, ছোলা ইত্যাদি। প্রথমে সবগুললিকে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কাঁচা সরষের তেলের বদলে অল্প একটু আমতেল ব্যবহার করতে পারেন।
পরবর্তী ধাপে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, নারকেল কুচি ইত্যাদি পাত্রে ঢালুন। আর একবার ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর আলু দিয়ে হালকা করে মেশান। তবেই মুড়ি মুচমুচে থাকবে। সবশেষে ওপরে নারকেলের টুকরো আর ভুজিয়া ছড়িয়ে দিন। তাহলেই রেডি আপনার ঝালমুড়ি।
পরবর্তী ধাপে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, নারকেল কুচি ইত্যাদি পাত্রে ঢালুন। আর একবার ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর আলু দিয়ে হালকা করে মেশান। তবেই মুড়ি মুচমুচে থাকবে। সবশেষে ওপরে নারকেলের টুকরো আর ভুজিয়া ছড়িয়ে দিন। তাহলেই রেডি আপনার ঝালমুড়ি।

South Dinajpur News: গরমে শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে চটজলদি বানিয়ে ফেলুন কালোজিরে-শসার ঘণ্ট! রইল রেসিপি

দক্ষিণ দিনাজপুর: চৈত্রের তীব্র গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন শরীর ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত জরুরি। তেল, ঝাল, মশলা বিহীন খাবার এইসময় স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। আর তার জন্য শসার জুড়ি মেলা ভার। শসা শরীরের উপকার করার পাশাপাশি গরমে ডিহাইড্রেশন রোধে দারুণ কাজ করে। তাই দেরি না করে চটজলদি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন কালোজিরে-শসার ঘণ্ট।

শুনতে অবাক লাগলেও মশলাবিহীন এই ঘণ্টর যা স্বাদ তাতে বাড়ির সবাই চেটে পুটে খাবে। উপকরণ হিসেবে, প্রথমে শসার খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। সঙ্গে লাগবে কয়েকটি চেরা কাঁচালঙ্কা, ফোড়নের জন্য কালোজিরে এবং পরিমাণ মত হলুদ, নুন ও সামান্য চিনি।

আরও পড়ুন: শুশুনিয়ার ঐতিহ্যবাহী পাথর শিল্পের সে এক দিন ছিল!

প্রথমেই গ্যাসে পাত্র বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতন সর্ষের তেল গরম করে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কাগুলো দিয়ে দিন। এবার তাতে ফোড়নের জন্য কালোজিরে দিয়ে একটু নেড়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, লঙ্কা যেন পুড়ে না যায়। এবার তাতে ছোট টুকরো করে কেটে রাখা শসা দিয়ে দিন। মশলার জন্য দিতে হবে স্বাদমত নুন, হলুদ গুঁড়ো ও সামান্য চিনি। এবার বেশ ভালভাবে নেড়ে চেড়ে মশলার সঙ্গে শসা মিশিয়ে নিয়ে ভেজে নিন। তবে এতে কিন্তু কোনভাবেই জল দেওয়া যাবে না। কারণ শসা থেকে যে জল বেরোবে তা দিয়েই সিদ্ধ হয়ে যাবে।

এবার বলি শসার গুণাগুণের কথা। প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয় তার বেশিরভাগই শসার মধ্যে আছে। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। শসায় যে জল থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে বেশ কার্যকরী। ক্যানসার প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে শসা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আবার ফিরে আসি রান্নায়। সবজি ভালভাবে ভাজা হয়ে গেলে দেখা যাবে শসার জলেই পুরোটা কষে গিয়ে সিদ্ধ হয়ে গেছে। বেশ ভালভাবে কষে নিয়ে মাখো মাখো হয়ে এলে উপর থেকে সামান্য ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই পুরো তৈরি হয়ে যাবে কালোজিরে-শসার ঘণ্ট। তবে বাজারের কচি শসা দিয়ে নয়, বুড়ো বা পাকা শসা দিয়ে এই তরকারি রান্না করুন। বাজারে শসার তরকারি বানানোর মত আলাদা করে শসা পাওয়া যায়। সেই শসা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন এই ঘণ্ট। দুপুরের গরম ভাত বা রাতে রুটি সঙ্গে এই মশলাবিহীন শসার ঘণ্ট পরিবেশন করুন, সকলে চেটে পুটে খাবে।

সুস্মিতা গোস্বামী