কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা

Kanchenjunga Express Accident: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ঘটনা ফেরাল গাইসালের স্মৃতি! প্রতক্ষ্যদর্শীদের চোখে আতঙ্ক

শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে এনজেপি থেকে রাঙাপানির কাছে। জানা গিয়েছে, শিয়ালদাগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মেরেছে মালগাড়ি। তার জেরে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। রেলের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮ ,আহত ৫০ জন। রেলের তরফে রেসকিউ টিম সহ, সেনা এবং পুলিশ সকলেই উদ্ধারকাজ করছে।

আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের! মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেই ঘটনায় অনেক যাত্রীই আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ হাকিম বলেন , ‘ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ জোরে বিকট একটা আওয়াজ শুনি। দেখি মালগাড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেনকে ধাক্কা মেরেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা গ্রামের লোকেরা এসে দেহ উদ্ধার করার চেষ্টা করি। বহু লোক আহত হয়েছে। ৫-৬ টা মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। আহতদের মেডিক‍্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, নির্ধারিত সময় মেনেই আজ সকালে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি চলে আসে। আর সেটি ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সজোরে ধাক্কা মারে। তার জেরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়।

এক যাত্রী বলেন, ট্রেনের গতি সেভাবে ছিল না।মনে হচ্ছে ২০ কিমি গতিতে যাচ্ছিল ট্রেনটা। তখনও ঘুমের মধ্য়ে ছিলাম। আচমকাই বিরাট ঝটকা। আমাদের কামরা কিছুটা পেছনের দিকে ছিল। এরপর ট্রেন থামার পরে দেখলাম এস৪ আর এস৫ আলাদা হয়ে গিয়েছে। তার পেছনের কামরাগুলি দেখলাম উলটে গিয়েছে। সবাই চিৎকার করছিল, কাঁদছিল…অপর এক যাত্রী বলেন, দুর্ঘটনার পরে কেউ সহায়তার জন্য় আসেনি। নিজেরাই আমরা বেরিয়ে আসি। প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে আছি।

শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ৪২জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০জনকে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকারী টিম দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেছে সকলকে। এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘উদ্ধারকাজ কেমন চলছে সেটা পরিচালনার জন্য এসেছে। আবহাওয়া খারাপ থাকা সত্ত্বেও সকলে কাজ করছেন। আমাদের অনুরোধ সকলে যেন একজায়গায় থেকে এই কাজ করে যান।’ তবে সূত্রের খবর, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি বগিকে বাদ দিয়ে বাকি ট্রেন রওনা দিয়েছে শিয়ালদার দিকে।

অনির্বাণ রায়